চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
আজ ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন পুতুল বেগম (৬০) কালা মিয়া (২৮), তাজুল ইসলাম ছোটন (২৫), আলো আক্তার (২২), জহুরা বেগম (৫০), রুনা আক্তার (২৫) ও সোহেদা বেগম (৫০)। আহতদের মধ্যে পুতুল বেগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে মৃত মজো মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া তার সৎ চাচা ফারুকের কাছ থেকে এক বছর আগে টাকা ধার নেয়। ওই পাওনা টাকা ফেরত চাইলে দু’জনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হৃদয়ের বড় চাচা আলফাজ মিয়াসহ তাদের লোকজন ফারুক মিয়াকে লাঞ্ছিত করে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত পুতুল বেগমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মেয়ের সঙ্গে অভিমান করে জালাল মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল ৫টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জালাল মিয়ার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মনিয়ন্দ গ্রামে বিষপানের এ ঘটনা ঘটে। নিহত জালাল মিয়া একই গ্রামের তুফানী বাড়ির মৃত সারু মিয়ার ছেলে।
নিহত জালাল মিয়ার ছেলে তানভীর জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে তারা বাবা জালাল মিয়া তার মেয়ে জিন্নাতকে কলা ও রুটি কিনে খাওয়ার জন্য ২০ টাকা দিয়েছিল। পরে জিন্নাতের ছোটবোনকে দিয়ে ২টি কলা ও ২টি রুটি কিনেন। কলাটি পঁচা হওয়ায় জিন্নাত তার বাবা জালাল মিয়ার সামনে ঢিল দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে জালাল মিয়া খুব কষ্ট পায়। পরে ঘরে রাখা গাছের পোকামাকড় মারার বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে জালাল মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে বিকাল ৫টার দিকে সে মারা যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসাইন জানান, হাসপাতাল থেকে জেনেছি এক লোক বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। আখাউড়া থানাকে জানানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুদে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটানো এবং প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আখাউড়ায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মেধা যাচাই (বৃত্তি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্ডারগার্টেন ইউনিটি অব আখাউড়ার আয়োজনে শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্কুলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির দুই শতাধিক ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
১ম থেকে ৩য় শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা বাংলা, অংক, সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি বিষয়ে মোট ৩০০ নম্বর এবং ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীরা ৬ টি বিষয়ে ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা দেয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অংকুর কিন্ডারগার্টেন এর প্রতিষ্ঠা পরিচালক শফিকুল আলম তুরান বলেন, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য মেধা যাচাই বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এতে ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা ভীতি দূর হয়। মেধার বিকাশ ঘটে।
বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীরা একে অপরের সাথে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায় ভূমিকা পালন করে।
এসম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিন্ডারগার্টেন ইউনিটি অব আখাউড়ার উপদেষ্টা রাধা কৃষ্ণ নুনিয়া,
শিক্ষক আহসান কবির লিটন, সরাফুল ইসলাম, সম্রাট খাদেম, ফারজানা আক্তার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কালের কণ্ঠ’র সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ক্লিনিক গুলোতে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে সকল আসামিকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানানো হয়।
এদিকে ঘটনার হোতা সুমন মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ৬ আগস্ট রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে তার জামিন প্রার্থনা করা হলে নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তার জামিন নামঞ্জুর হলো।
২৮ জুলাই আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের ভিজিট চাওয়ায় এক কর্মচারীকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় দৈনিক কালের কণ্ঠ’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরো অন্তত পাঁচজন আহত হন।
এ ঘটনায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আশীষ সাহা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জনকে আসামি করে আখাউড়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ পৌর এলাকার দেবগ্রামের (বরিশলের সাবেক বাসিন্দা) মাহফুজ মিয়া ও তার ছেলে সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে কর্মবিরতি পালন করা হয়। বেলা ৩টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাধানগর চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন কার্যকরী সদস্য মো. আব্দুল আওয়াল।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম সেলিম, সহসাধারণ সম্পাদক সুবল দাস, মো. রওশন মিয়া, পরিমল সাহা, কুদ্দুস মিয়া, শফিক মিয়া, বাবুল মিয়া, মো. পলাশ, জহর লাল চৌহান মো. আমীর, তুহিন মিয়া, দিব্যজিত পাল, বিশাল সাহা প্রমুখ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকব জহর লাল সাহা শারীরিক অসুস্থতায় উপস্থিত না থাকলেও কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে আখাউড়ায় পশু পালনে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষক ও খামারিরা। ছোট বড় খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল, মহিষ, পালন করছেন তারা। তবে এবছর চাহিদার চেয়ে অনেক কম পশু পালন হচ্ছে। গো-খাদ্যসহ অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্য ভালো পেলে কোরবানির পশু বিক্রি করে লাভবান হবার আশা করছেন খামারিরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৭০৩টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে গরু-মহিষ ৩ হাজার ৬৬০, ছাগল-ভেড়া ১ হাজার ৪৩টি।
আখাউড়া উপজেলায় নিয়মিত খামারী আছে ৭০৪ জন। এছাড়াও অনিয়মিত খামারী স্বল্প সময়ে বিক্রির জন্য পশু প্রস্তুত করছে বলে জানা যায়। পশু পালন লাভজনক হওয়ায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে গরু পালন করছেন। এবছর আখাউড়া উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১১ হাজারের বেশি। এরমধ্যে গরু-মহিষ ৮ হাজার ৯০০টি এবং ছাগল-ভেড়া ২ হাজার ৫০০টি । বাইরের জেলা-উপজেলা থেকে আনীত পশুর মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় সদর উপজেলাসহ অন্যান্য স্থান থেকে পশু আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সরেজমিনে কয়েকটি খামার ঘুরে খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদকে উপলক্ষে গরু লালন পালন করছেন। ঘাস, খড়, খৈল ভুষিসহ পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে দেশীয় জাতের গরুই বেশী লালন পালন করছেন বেশি। আশা করছেন লাভবান হবেন।উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের প্রবাস ফেরত খামার মালিক রবিউল্লাহ বলেন, তার প্রবাসী বড় ভাই মো. হাবিব বিগত ৫ বছর আগে শখ করে কয়েকটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। দেশে ফিরে রবিউল্লাহ এখন খামারটি পরিচালনা করছেন। বর্তমানে ২৫টি বড় গরু রয়েছে। দেড় বছর আগে পাবনা থেকে গরুগুলো কিনে এনেছিলেন। দেড় বছর লালন পালন করেছেন। গরু কেনা, শ্রমিকের বেতন, লালান পালন, খাবারসহ অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। আশা করছেন খরচ বাদ দিয়ে ৭/৮ লাখ টাকা লাভ হবে।
দক্ষিণ ইউনিয়নের বঙ্গের চর গ্রামের মো. ইছহাক মিয়া জানান, তিনি বিগত ৫ বছর ধরে গরু লালন পালন করেন। কোরবানিকে সামনে রেখে তার খামারে ২২টি ছোট বড় গরু রয়েছে। দেশী জাতের পাশাপাশি, শাহিওয়াল, ফ্রিজিয়াম জাতের। ঘাষ, খের, ভূষি ইত্যাদি খাবার খাওয়ান তিনি। ভালো দাম পেলে লাভবান হবার আশা করছেন তিনি।
আব্দুল্লাহপুর গ্রামের খামার মালিক সোহাগ ভূঁইয়া বলেন, প্রতিবছরই কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে গরু লালন পালন করি। তবে এবার ছোট বড় ১২টি গরু লালন পালন করছেন। আশা করছেন তিনি লাভবান হবেন।
আখাউড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জুয়েল মজুমদার বলেন, এপ্রিল/২৪ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে আখাউড়া উপজেলায় ৪ হাজার ৭০৩টি পশু লালন পালন হয়েছে। উপজেলায় গরু-মহিষের চাহিদা প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। খামারিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি খামারিদের সচেতন ও তদারকি করছি। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করে দেশীয় খাবার খাইয়ে পশু পালনের জন্য কৃষক ও খামারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় রেলসেতু পারাপারের সময় ৪ জন নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই রেলসেতুটির উভয় পাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশের নিরাপত্তা বেষ্টনী। পাশাপাশি রেললাইন এলাকায় মানুষের চলাচল নিরাপদ রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ঢাকা-সিলেট রেলপথের খরমপুর রেলসেতুটির উভয় পাশে বাঁশ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে যাতে রেলসেতুর ওপর দিয়ে কেউ চলাচল করতে না পারে। ট্রেন আসার সময় বাঁশগুলো সরিয়ে ফেলা হয়, চলে গেলে আবার বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, তিতাস নদী হয়ে নৌকায় করে এসে অনেকেই রেললাইনের পাশ দিয়ে খরমপুর মাজারে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে অতিরিক্ত পুলিশ রেললাইন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। ১২ আগস্ট শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা সরেজমিনে ঘটনার খোঁজ-খবর নেন।
এর আগে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আখাউড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেককে কমিটির আহ্বায়ক করে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সহকারী কমাডেন্ট, একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং একজন সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে ডিআরএম (ঢাকা) মো. শফিকুর রহমান বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায় ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) বার্ষিক ওরস শুরু হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাজার শরীফের পশ্চিম পাশে ঢাকা-সিলেট বাইপাস রেলপথ দিয়ে ভক্ত-আশেকানরা মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন রেলওয়ে সেতু অতিক্রম করার সময় ট্রেনের থাক্কায় এবং নদীতে ছিটকে পড়ে চারজনের মৃত্যু হয়। ওই রাতেই ২ জন এবং পরদিন শুক্রবার দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।