অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীতে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বিরোধী দল কাকে বলে, তা বিএনপি জানেই না। সেই সক্ষমতাও তাদের নেই। সেই সাথে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে কিনা এখন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শেখ হাসিনার কারিশমার কাছে সবাই হেরে গেছে।
এখন কাজ দেশকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। দেখেন নির্বাচনের পর বহির্বিশ্বের সুর পাল্টে গেছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তর প্রধানগণের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
মতবিনিময়সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে জেলায় প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। এরমধ্যে ১৯১ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ১২৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে। এছাড়া জেলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে উন্নয়ন হিসেবে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিক্যাল কলেজ নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘বেলাবতে একটি শিল্পপার্ক নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
’ পাশাপাশি মনোহরদীতে একটি বিসিক নির্মাণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিল্পমন্ত্রী।
এরপর বিকেলে নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির এমএ মজিদ ভবন মিলনায়তনে আইনজীবীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন শিল্পমন্ত্রী। পরে সন্ধ্যায় মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ২৬ নভেম্বর। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজ ২০ নভেম্বর সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৬ নভেম্বর ফল প্রকাশের বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিনি জানিয়েছিলেন, ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এই তিন দিনের মধ্য থেকে যেকোনো দিন ফল প্রকাশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় শিক্ষা বোর্ডগুলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন সময় দেবেন, সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়।
১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর ও বাসন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাত ও মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে চোরাই চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো রুহুল আমিন (৩৮), শ্যাম খান ওরফে শরীফ ওরফে ফারুক (৩০), আবুল সাঈদ (৩৫), মাহমুদুল হাসান রুবেল (৩১), সোহেল মিয়া ওরফে নাক কাটা সোহেল (৪০) ও সজিব আহাম্মদ (২৬)।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, গত ৩১ সেপ্টেম্বর রাতে সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ পানিশাইল এলাকার বাসিন্দা দুলাল উদ্দিন তার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল বাছেদ এবং ভগ্নিপতি সোলায়মানকে নিয়ে সদর থানার আদাবৈ পেয়ারা বাগান এলাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালামাল কেনার জন্য যান। তাদের বহনকারী প্রাইভেটকার তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে ১৪/১৫ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের বাউন্ডারি ঘেরা একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাকাতরা তাদেরকে এলোপাথাড়িভাবে মারধোর করে নগদ ১৪ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা, মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন দুলাল উদ্দিন সদর থানার মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলার ১০ ঘণ্টা পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রুহুল আমিনকে কালিগঞ্জ থানার নরুন বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে শ্যামল খান, আবুল সাঈদ ও মাহমুদুল হাসান রুবেলকে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মালামাল উদ্ধারসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, চোরাই মোটর সাইকেল কেনাবেচা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিটি করপোরেশনের যোগীতলার সুইচ ফ্যাক্টরির মোড় থেকে সোহেল মিয়া ও সজিব আহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে চোরাই ৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে তারা নিজেদের হেফাজতে রেখে বিক্রি করত। জিএমপির বাসন থানার এস আই সুকান্ত পাল জানান, বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি। মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাসে ৫০ টাকায় সপ্তাহে ৬দিন ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করা হবে। সেই ময়লা নেয়া হবে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে । পৌরসভার ৩ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির গৃহস্থালির উচ্ছিষ্ট আর্বজনা সংগ্রহের জন্য ভ্যান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ৭ মে রবিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘গৃহস্থালির ময়লা ব্যবস্থাপনা পৌরসভার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে সুন্দর একটি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
প্রধানন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে পরিচ্ছন্ন জেলা প্রয়োজন। আমি আশা করবো, ধিরে ধিরে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে এটি চালু হবে। জেলার সব পৌরসভা ও প্রতিষ্ঠানে এটি বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্যমেই আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, পরিষ্কার ও চমৎকার চুয়াডাঙ্গা উপহার দিবো।’ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ বলেন, এই শুরুটা সরকারি কলেজ থেকে শুরু হওয়ায় আমি আনন্দিত। আমরা পরিশুদ্ধ মানুষ হতে চাই। ড্রেননগুলো একটু পরিষ্কার করার জন্য অনুরোধ জানাবো।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গির আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন, সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ স¤পাদক বিপুল আশরাফ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ইসলাম রাকিব।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভূইয়া জানান, জেলা প্রশাসক স্যার আসার পর বার বার তাগিদ দিয়েছেন। এই জেলার উন্নয়নে আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করছি। মাসে ৫০ টাকায় সপ্তাহে ৬দিন ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করা হবে। সেই ময়লা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে নেয়া হবে। আমরা চমৎকার চুয়াডাঙ্গার প্রত্যাশায় আছি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহলদার ইমরান, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ। এ সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের নির্বাচনী দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
২২ নভেম্বর বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত দুটি চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর বিধান অনুসরণ’ এবং ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান’ সংক্রান্ত চিঠি দুটি পাঠানো হয়।
প্রথম চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি (২০২৪) অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও সম্পাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে এবং ওই দায়িত্ব পালনে কোনোরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর বিধানাবলির প্রতি সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। ওই আইনের ৪ ধারায় নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি এবং ৫ ধারায় শৃঙ্খলামূলক বিধানাবলি বিধৃত রয়েছে।
‘নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক বা যে কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ২(ঘ) ধারায় বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে গণ্য হবেন এবং তিনি ওই দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দায়ী থাকবেন। এরূপ দায়িত্ব ও কর্তব্যে নিযুক্তির জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কোনো আনুষ্ঠানিক নিয়োগপত্র নাও থাকতে পারে। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনে অনীহা, অসহযোগিতা, শৈথিল্য, ভুল তথ্য প্রদান ইত্যাদির জন্য অসদাচরণের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা যাবে এবং শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’
চিঠিতে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান সম্পর্কে সজাগ থেকে অর্পিত নির্বাচনী দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে যথাযথভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়।
দ্বিতীয় চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করা সবার জাতীয় দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।
নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হতে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগ করার প্রয়োজন হবে। সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য হতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে এবং প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা প্রয়োজন হবে।
‘নির্বাচন কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। অতীতেও তারা নির্বাচনের কাজে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা সহযোগিতা প্রদান করেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩ নং আইন) রয়েছে। এতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তার ওই নিয়োগের তারিখ থেকে নির্বাচনী দায়িত্ব অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন। প্রেষণে চাকরিরত থাকাকালে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এবং ক্ষেত্রমতে রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং তিনি তার যাবতীয় আইনানুগ আদেশ বা নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকবেন। প্রেষণে চাকরিরত থাকাকালে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব প্রাধান্য পাবে।
এমতাবস্থায় সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রিটার্নিং অফিসারের যে কোনো নির্দেশ জরুরি ভিত্তিতে পালন করার নিশ্চয়তা বিধান করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ও অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান সরকারের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সবার একটি আবশ্যিক পালনীয় দায়িত্ব। এ ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৪৪ক অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচনী সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া ওই অনুচ্ছেদে বর্ণিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না।
চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো-
১. আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজে অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে পালন করে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদান করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থা হতে তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবিলম্বে নির্দেশ প্রদান।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিও অনুরূপ নির্দেশ জারি করা।
৩. নির্বাচন পরিচালনার কাজ অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থাসমূহকে তাদের যে সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচনের কাজে জড়িত আছেন, নির্বাচনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ছুটি প্রদান বা অন্যত্র বদলি করা অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো দায়িত্ব প্রদান হতে বিরত থাকা।
চিঠিতে উল্লিখিত নির্দেশনা জারিসহ আনুষঙ্গিক কার্যাদি সম্পন্ন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসর’র সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শিশু-কিশোর সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার সকালে লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফুলকুঁড়ি শহর শাখা।
ফুলকুঁড়ি শহর শাখার প্রধান উপদেষ্টা আবু খালেদ মো. সাইফুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসা। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) জেলা সভাপতি প্রফেসর জেড এম ফারুকী। প্রধান আলোচক ছিলেন ফুলকুঁড়ির কেন্দ্রীয় সহকারী প্রধান পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কালচারাল ও স্কুল পরিচালক রাকিবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহির আসহাব, অ্যাডভোকেট শাহাতাদ হোসেন ও কবিরুল ইসলাম আরজুসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা।
অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফুলকুড়ি লক্ষ্মীপুর শহর শাখার উপদেষ্টা সভাপতি মোন শাহাদাত, পরিচালক শাফায়াত উল্লাহ, রায়পুর শাখা পরিচালক আহমেদ ফরিদ, কার্যকরী সদস্য কায়সার আহমেদ আফিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কুঁড়িদের বিভিন্ন অনবদ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুখরিত এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় আসরের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শাখার আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে। এতে বৃক্ষরোপণ, চিত্রাঙ্কনসহ ৮টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৪৯ জনকে ক্রেস্ট এবং সনদ বিতরণ করা হয়।