চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা (৫৫) এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার রাতে উপজেলার হরষপুর রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জসিম উদ্দিন জানান, রাত দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেট অভিমুখী উপবন ট্রেনটি হরষপুর ইউনিয়নের হরষপুর পৌঁছলে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যায়। পরে নিহতের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া র মর্গে পাঠায়। ওই ব্যক্তির লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে। অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ১০নং পাহাড়পুর ইউনিয়নের শীরফুর গাউছিয়া জামে মসজিদের সামনে আউলিয়া বাজার টু চম্পকনগরগামী পাকা রাস্তার উপর হতে ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ জনকে গ্রেফতার করে বিজয়নগর থানা পুলিশ।
বিজয়নগর থানা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ৪ ফেব্রুয়ারি ৭টা ৫ মিনিটে এসআই(নিরস্ত্র) মশিউর রহমান খান, এএসআই সাজ্জাদ হোসেন, সঙ্গীয় পুরুষ ও নারী কং সহ মাদক উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা কালে ১০নং পাহাড়পুর ইউনিয়নের শীরফুর গাউছিয়া জামে মসজিদের সামনে আউলিয়া বাজার টু চম্পকনগরগামী পাকা রাস্তার উপর হতে ৬০০ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ জন নারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত মোসাঃ পপি বেগম (২৪), কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত মাছুম মিয়ার মেয়ে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ লক্ষ্যে আসামিসহ জব্দকৃত আলামত বিজয়নগর থানায় জমাসহ মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পিকআপ ভ্যানের চাপায় জয়নাল মিয়া (২৬) নামে এক সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী নিহত হয়েছে।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার সকালে উপজেলার শশই নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল উপজেলার আনন্দ গ্রামের মাহতাব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আরো এক যাত্রী আহত হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মহাসড়কের শশই নামক স্থানে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে জয়নাল মিয়া নিহত হয় এবং আরেক জন আহত হয়।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মোল্লা সালাউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারসহ ঘাতক পিকআপ ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। তিনি আরো জানান, নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে বাড়ির সীমানা বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয়েছেন।
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর বড় বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ইয়াকুব আলী (৪৮)। তিনি শ্রীপুর গ্রামের মৃত সুরুজ আলী ভূইয়ার ছেলে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পৈত্রিক সম্পত্তির বণ্টন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মো. ইসহাক আলী ভূঁইয়ার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল ছোট ভাই ইয়াকুব আলীর। সকালে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে মো. ইসহাক আলী ভূঁইয়া তার ছেলে সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া, জাহিদ হাসান ভুঁইয়া ও স্ত্রী জোসনা বেগম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হামলা করে ইয়াকুবের ওপর। এক পর্যায়ে মো. ইসহাক আলী ভূঁইয়া হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া (৪৮) মারা যান।
ওসি মো. রাজু আহমেদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ নাসির (৩৫) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে সরাইল ২৫-বিজিবি ব্যাটালিয়নের লক্ষীপুর বিওপির সদস্যরা।
উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ধোরানাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। আটককৃত মো. নাসিরকে বিজয়নগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিজিবি সদস্যরা মো. নাসিরকে ১৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করে। তবে এসময় অপর দুই মাদক কারবারি টিটু ও দুলাল পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তাদের তিনজনের নামে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। নাসিরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক টিটু ও দুলালকে ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। উপজেলাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ ও নবীনগর উপজেলা পরিষদ।
তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন ও মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিন উপজেলায় ৩৬৬ টি কেন্দ্রে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১১৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন।
একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটার ১৩২টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটধিকার প্রদান করবেন। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত বিজয়নগর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ২ লাখ ১০ হাজার ৫৩৮ জন ভোটার ৭৮টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত নবীনগর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫ জন ভোটার ১৫৬ টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিন উপজেলার ৩৬৬ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব-স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তিন উপজেলার ৩৬৬ টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সদর উপজেলার ১৩২ টি কেন্দ্রের মালামাল দুপুর ১২ টার পর থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়েছে। ১৩২টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার বুধবার ভোরে পৌঁছে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৭৬৫ জন পুলিশ, ৫৫জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং তিনজন জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ও র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।