চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তোরণ নির্মাণের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হানিফ মিয়া (৪৫) নামে এক ডেকোরেটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া (৪২) আহত হয়েছে।
২০ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে আখাউড়া থানা মসজিদের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ মিয়া পৌরশহরের কলেজ পাড়ার মৃত আতর আলীর পুত্র। তিনি ১ ছেলে মেয়ের জনক। আহত ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া রাধানগর ভাড়া বাসায় থাকে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবর্ধনা উপলক্ষে তোরণ নির্মাণ করছিলেন ডেকোরেটর শ্রমিকেরা। ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা।
প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস মিয়া বলেন, হানিফ মিয়া আমার পূর্ব পরিচিত। আমি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলাম হানিফ মিয়া গেইটের উপরে উঠে গেইট বানানোর কাজ করছিল। হঠাৎ দেখি হানিফের হাত দিয়ে ধোঁয়া উড়ছে। সেলিম মিয়া বাঁশ ধরা অবস্থায় কাঁপছে। তৎক্ষনাৎ আমি আরেকটা বাঁশ দিয়ে সেলিমকে সজোরে বারি দিয়ে সরিয়ে দেই। আমিও শট পাই। এসময় হানিফ মিয়া উপর থেকে নীচে সড়কে পড়ে যায়।
আহত সেলিম মিয়া বলেন আইনমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে অর্ডার পেয়ে গেইট নির্মাণ করছিলাম। তখন হানিফ মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইকরাম চৌধুরী বলেন ৫ টা ১০ মিনিটে হানিফ মিয়াসহ দুইজন আহত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে। আমরা রোগীর ইসিজি করে কোন রেসপন্স পাইনি। ব্ল্যাড প্রেসার পাইনি। হাসপাতালের আনার আগেই হানিফ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। সেলিম মিয়া শঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন শ্রমিকরা কার গেইট নির্মাণ করছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে সরিষার বীজ, টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অস্থায়ী সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে এসব পন্য বিতরণ করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারকে ৪ বান টিন, নগদ ৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২০০ পরিবারের মাঝে সরিসার বীজ ও নগদ ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ১০১ পদাতিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ আল মসউদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে রিলিফ বিতরণ করেছি। এখন পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ৫৬০টি টিন বিতরণ করা হয়েছে। আরো ২০০ জনকে টিন দেওয়া হবে। প্রতিটি পরিবারকে ৪ বান টিন ও নগদ ৪ হাজার করে টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পরে ধানের চারা বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ১৭ হাজার কেজি রবিশস্য ১৭ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরন করা হবে। পরে আখাউড়ার নারায়ণপুর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় বৃদ্ধ কুলসুম বেগমের (৬০) বাড়ি পরিদর্শন করেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এসময় তিনি কুলসুম বেগমের সাথে কথা বলেন। তার সুবিধা অসুবিধার কথা শুনেন এবং ঘর নির্মাণের জন্য টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক দুর্ঘটনায় সহকর্মীর মৃত্যুর পর কান্নায় বুক ভাসিয়েছিলেন। কুলখানিসহ আনুষঙ্গিক কাজে লাখ লাখ টাকা খরচের কথা বলেছিলেন। এবার সেই সহকর্মীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন বেগ শাপলুর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নিহত রিফাতের মা পারুল আক্তার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তানজিল শাহ তচ্ছন, মো. ফয়সাল ও মো. আরিফ নামে আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ওই অভিযোগে কী পরিমাণ টাকা ‘আত্মসাৎ’ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত লেখা হয়নি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের মো. শাহ আলমের ছেলে রিফাত পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। টিঅ্যান্ডটি এলাকায় একটি জায়গা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে মধ্যস্থতা হয় যে, লভ্যাংশের টাকা তারা সমবণ্টন করে নেবেন। কিন্তু রিফাতের মৃত্যুর পর তার টাকা না বুঝিয়ে দিয়ে টালবাহানা করা হয়। ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে তার মাধ্যমেও টাকার কথা অস্বীকার করে অভিযুক্তরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিঅ্যান্ডটি এলাকার একটি জায়গা বিক্রি হলে রিফাতসহ অন্যরা সমবণ্টন পাবে বলে নিজেদের মধ্যে চুক্তি হয়। এরই মধ্যে রিফাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যায়। রিফাত মারা যাওয়ার পর তার কুলখানিতে অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে ছাত্রলীগ নেতা শাপলুসহ অন্যান্যরা। এরই মধ্যে শাপলু ওই টাকা খরচের দোহাই দিয়ে চাকরির বদলির তদবির করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নেয়। এসব কারণে রিফাতের কুলখানিতে টাকা খরচের বিষয়টি সামনে চলে আসে।
রিফাতের পরিবারের একাধিক সদস্য জানায়, তার একেবারে ঘনিষ্টরা নিজেরা কুলখানিতে খরচ করে। কিন্তু জায়গা বিক্রির লভ্যাংশের টাকা পরিবারের কারো কাছে দেওয়া হয়নি। এমনটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে টাকা চাওয়া হলে তারা অস্বীকার করে। এখন পর্যন্ত তারা রিফাতের পাওনার আনুমানিক সাত-আট লাখ টাকার মধ্যে এক টাকাও দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে শাহবুদ্দিন বেগ শাপলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন জানান, পার্টনার হিসেবে রিফাত টাকা পাওনা আছে। অনেক চেষ্টা করেও এ টাকা আদায় করা যাচ্ছে না। একজন প্রয়াত সহকর্মীর টাকা নিয়ে তারা এমন কেন করল সেটা বুঝতে পারছি না।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। ২২ জানুয়ারি বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দু’জন মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও একজন সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানা পুলিশ বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় আখাউড়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো: সেলিম মিয়া ও মো: টিটু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। একই সময়ে মাদক মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো: ফজলু মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তিন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে দুপুরে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে সোপর্দ করেছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানান, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মাদক ব্যবসায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে আধুনিক যাত্রীসেবা দিতে হেল্প ডেস্ক চালু হয়েছে।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে ভার্চুয়ালি হেল্প ডেস্কটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান। এই হেল্প ডেস্ক থেকে যাত্রীরা সীমিত ফি দিয়ে বাগী কার, হুইলচেয়ার ও ট্রলি সার্ভিসসহ অন্যান্য সেবা নিতে পারবেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টুয়েলভ ইভেন্টস মিট গ্রেট এসিস্ট এ ডেস্ক খুলেছেন।
জানা যায়, অল্প খরচে মাধ্যমে ইলেকট্রিক্যাল বাগীকার দিয়ে শূন্য রেখা পর্যন্ত যেতে পারবে যাত্রীরা। সেই সাথে অসুস্থ রোগীদের জন্য হুইলচেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে এখান থেকে বিমান ও ট্রেনের টিকেট কাটা যাবে বলে জানান আয়োজকরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হেল্প ডেস্ক স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, ৬০ বিজিবি সহকারী পরিচালক মতিউর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, স্থলশুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ খান, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যাজাই মারমা বলেন, আশা করছি যাত্রীরা এখন সহজেই পারাপার করতে পারবে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২শ জন যাত্রী পারাপার করে থাকেন।
আখাউড়ায় প্রায় এক কোটি টাকার ভারতীয় পণ্যসামগ্রী ও মদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর সীমান্তবর্তী জয়নগর খলাপাড়া এলাকা থেকে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-৬০) সদস্যরা এই ভারতীয় পণ্য ও মদ জব্দ করে। এদিন দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এই সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে উপজেলার গঙ্গাসাগর সীমান্তবর্তী জয়নগর খলাপাড়া এলাকায় সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-৬০) টহল দলের অভিযানের সময় ৬৪৮ পিস ভারতীয় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ডিসপ্লে, দুই লাখ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় ট্যাবলেট, ২৪টি হুইস্কি মদের বোতল এবং ২৪টি বিয়ারের বোতল জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি তিন লাখ টাকা।
এ সময় বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবির এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।