অনলাইন ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরে দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে দেশে একটা কূটনৈতিক সংকট ছিল, নির্বাচনের পর কূটনীতিকরা মন্ত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন, তাহলে কি বলা যায় কূটনৈতিক সংকট যেটা ছিলো সেটা কেটে গেছে, না কি কিছু কিছু দেশের সঙ্গে সেটা এখনো আছে এমন প্রশ্নেন জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি কূটনৈতিক সংকট বলবো না, আমার মনে হয়, আপনাদের মনে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। আমি সেটাই বলবো একটা কূটনৈতিক সংকট হতে পারে। অবশ্যই আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের পরে সে রকম কোনো কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
হাইকমিশনার বলছিলেন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আইনের যেসব সমস্যা রয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যেসব উন্নয়ন অংশীদার আছে। সেসব উন্নয়ন অংশীজনদের সঙ্গে আইনের প্রয়োগ, আইনের ধারাগুলোর স্পষ্টিকরণ এগুলো সব সময়ই প্রয়োজন হয়। যেসব সমস্যা ও আইনে যে অবকাঠামো সেটা অনেক দিন আগে থেকেই প্রায় এক।
তিনি বলেন, আইনে যেসব পরিবর্তন ভারতে হয়েছে, সে সব পরিবর্তন আমাদের দেশেও সম্ভাবনা আছে কিনা এবং আমাদের দেশে আইনে যেসব পরিবর্তন করেছি সেগুলো ভারতে সম্ভাবনা আছে কিনা সে বিষয়ে আমরা সব সময় আলাপ করে থাকি। আজকেও আলাপ করেছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে বিশেষ একটি বিষয়ে আলাপ করেছি, সেটা হলো, ভারতের ভূপালে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১২০৬ জুডিসিয়াল অফিসার ট্রেনিং নিচ্ছেন। প্রায় দুই হাজার ট্রেনিং নেবেন। আমরা দেশে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি করতে যাচ্ছি। সেখানে ভারতের অভিজ্ঞতা আমাদের প্রয়োজন হবে। এসব বিষয় নিয়েই আলাপ-আলোচনা করেছি। আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, না আজকে সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জয়পুরহাটে রেইজ প্রকল্পের আওতায় বেকার তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বল্প আয়ে উদ্যোক্তা নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিউনিটি আউটরিচ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থিক সহযোগিতায় জাকস ফাউন্ডেশন এ সভার আয়োজন করে।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে জাকস ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এই কমিউনিটি আউটরিচ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাকস ফাউন্ডেশনের উপ নির্বাহী পরিচালক আবুল বাসার।
আরো বক্তব্য রাখেন পরিচালক রফিকুল ইসলাম, উপ পরিচালক খোরশেদ আলম, ওবায়দুল ইসলাম, রেইজ প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জাহাঙ্গীর আলম, কেস ম্যানেজমেন্ট অফিসার আবু তাহের আনসারী প্রমুখ। এই প্রকল্পের আওতায় ১৫০ জন তরুণ-তরুণী মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল সার্ভিসিংসহ ১৭টি বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিবেন।
সভায় স্থানীয় জনগোষ্ঠির বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেয়।
অনলাইন ডেস্ক :
তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রিপনকে (৪৭) আটক করেছে র্যাব-৬ এর একটি দল।
১৯ মে শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা সদর কোম্পানি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ১৮ মে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার নিজ বাড়ির খাটের নিচে বিশেষভাবে তৈরি করা সুড়ঙ্গ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রিপন কলারোয়া হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। তাকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছে র্যাব।
সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় গত ১৮ এপ্রিল বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন ও ৪৪ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এর মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন রিপন। তবে তিনি পলাতক ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার ওপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগের এক ডজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় করা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা দেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। যার রায় ঘোষণা করা হয় গত ১৮ এপ্রিল।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালের মধ্যে আটক হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ২৯ অক্টোবর রবিবার সকাল ৯ টা ২০ মিনিট গুলশান বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে গিয়েছে।
জানা যায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান, মহাসচিবকে তার গুলশান দুইয়ের বাসা থেকে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
এর আগে বাসা থেকে তুলে নিতে উপস্থিত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, অসুস্থ একজন মানুষকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া মেনে নেয়া যায় না
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, রাত থেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ বাড়ির প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করছে। যে কোনো সময় ভেতরে ঢুকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যেতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে জাপানের অর্থ সহায়তায় নির্মিত হতে যাচ্ছে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়ায় পদ্মাপারের প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
সেই সঙ্গে উপজেলায় প্রায় ৪৬২ একর জমিতে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপানের ৩০ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র ও প্রতিনিধি দলের প্রধান সুতোমো সাসাগাওয়া।
গতকাল বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাপানের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা শিবালয় উপজেলার বোয়াল ও পদ্মাপার পাটুরিয়া এলাকা পরিদর্শন করেন।
বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের ফুটস্টুল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক হায়াসি বলেন, জাপান ও বাংলাদেশ সুন্দর সম্পর্কের এক বন্ধন। আমরা এখানে বিনিয়োগ করতে চাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে জানা গেছে, প্রায় এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে স্টেডিয়ামটি তৈরি করে বাংলাদেশকে উপহার দিতে চায় প্রতিনিধি দল।
এ সময় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাপানি প্রবাসী নেওয়াজ শরীফ জানান, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করে বাংলাদেশকে উপহার দিতে চায় তারা। শুধু স্টেডিয়ামের জন্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। আমরা চাই, মানিকগঞ্জে অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোনে বিনিয়োগ করতে। পাশাপাশি টুরিজম সেক্টরে বিনিয়োগ করতে। এর আগেও তারা দুইবার এসে ঘুরে দেখেছেন স্থান দুটি।
পরিদর্শন শেষে জাপানের বাংলাদেশি প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের অন্যতম শরিফ নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, আগামী অর্থবছরে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাপান সরকারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের সঙ্গে জাপানি বিনিয়োগকারীরা সংহতি প্রকাশ করেছে। প্রস্তাবিত এ স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজে শরিক হওয়ায় জাপানিরা গর্ববোধ করবেন।
শিবালয় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ৪৬২ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে তাদের। তাতে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, জাপানের ৩০টি প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা স্টেডিয়াম ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বিনিয়োগ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জাপান সফর করেন, তখন তারা শিবালয়ের এই দুইটি স্থানে বিনিয়োগের কথা জানান। সেই অনুসারে তারা জায়গা পরিদর্শন করেছেন। বর্তমান সরকার মানিকগঞ্জের শিবালয়ের বোয়ালীতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও পদ্মাপারে আন্তর্জাতিকমানের স্টেডিয়াম করার ঘোষণা দিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, প্রতিনিধি দলের প্রধান সুতোমো সাসাগাওয়া, হায়শি নবুয়া, জাপানের বাংলাদেশি প্রবাসী শরিফ নেওয়াজ, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিসুর রহমান প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
২৭ নভেম্বর বুধবার শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস। শামসুল আলম খান মিলনের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি এলাকায় তৎকালীন স্বৈরশাসকের গুপ্তবাহিনীর গুলিতে ডা. শামসুল আলম খান মিলন নির্মমভাবে নিহত হন। তার আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং এক ঐতিহাসিক ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ডা. মিলন। সংগ্রামী মানুষের পথিকৃৎ মিলন ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব এবং স্বৈরাচার ঘোষিত গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতি আন্দোলনের মধ্যমণি। তার শাহাদতকে কেন্দ্র করে চলমান গণআন্দোলন দুর্বার গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পরবর্তীতে আন্দোলন-সংগ্রাম এবং আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ ডা. মিলনসহ সব বীর শহীদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
বাণীতে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ডা. মিলন যেদিন শহীদ হন সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। কিন্তু আবার গত দেড় দশকে দেশে নতুন এক স্বৈরাচার জেঁকে বসে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাতের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বাংলাদেশ নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে।