সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইলে খাদিজা বেগমের (৪৫) পরিবারের দুই ছেলে প্রতিবন্ধী। বড় ছেলে আশেক মিয়া (২২) শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী। মেজ ছেলে লাদেন মিয়া (১৮) শারীরিক প্রতিবন্ধী। মিথ্যা মামলায় স্বামী দুলাল মিয়া (৫০) জেলখানায়। মেয়ে একটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। বইখাতা ও বেতনের অভাবে লেখাপড়া বন্ধের পথে।
বড় ছেলে আশেক জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। কিছুটা চলাফেরা করতে পারলেও লাদেন ঘরের বাইরে যেতে পারে না। লাদেনের যখন আট বছর বয়স তখন টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। সে সময় লাদেনের বাবা জমিজমা বিক্রি করে দেশের নামিদামি বহু হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও লাভ হয়নি। সেই থেকে লাদেনের হৃদয় যেন বেদনার বালুচর।
ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধূলা করা ছোট্ট লাদেন এখন হয়ে গেছেন প্রতিবন্ধী। তখন থেকে বাইরে বের হয়ে দিনের সূর্য আর রাতের চাঁদ কিছুই দেখা হয় না তার। ছোটবেলার ছোটাছুটি আর বন্ধুদের সঙ্গে মাতামাতি এখন কেবলই স্মৃতি। সবই বিধাতার খেলা। আশা ছেড়ে দিয়েছেন সুস্থ হওয়ারও। এখন আর চিকিৎসা করার মতো কোনো ব্যবস্থাও নেই। কোথায় পাবেন অত টাকা? কোথায় করাবেন চিকিৎসা? প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা দিয়ে কোনোরকমে অর্ধাহার-অনাহারে চলে তাদের সংসার।
সকালে খেলে বিকালের খাবার থাকে না। ক্ষুধায় ছটফট করে কাটে সারারাত। তাদের শেষ সম্বল যেটি ছিল, সেই ভিটেবাড়িটুকু বিক্রি করে দিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। অসুস্থ ছেলেমেয়েদের মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় খাদিজা আশ্রয় নিয়েছেন লাদেনের চাচার বাসায়।
এদিকে সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী খাদিজার স্বামী ফেঁসে গেছেন মিথ্যা মামলায়। জেলখানায় রয়েছেন ছয় মাস ধরে। একদিকে দুই সন্তান অসুস্থ, মেয়ের পড়ার খরচ, স্বামী জেলখানায়। অন্যদিকে ২০১২ সাল থেকে বেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত খাদিজা। এ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। চারবার করিয়েছেন বেস্ট ক্যান্সারের অপারেশন। তাতেও সফল হয়নি। ক্যান্সারের জীবাণু ছড়িয়ে গেছে পুরো শরীরে। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার সময় ঘনিয়ে এসেছে। বেলা থাকতেও যেন আঁধার এসে গ্রাস করেছে তাকে। শুধু মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই তার।
উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামে বৃহস্পতিবার সরেজমিন যান এ প্রতিবেদক। তার কাছে নিজের এ ভাগ্যবিড়ম্বনার কথা তুলে ধরেন মৃত্যুশয্যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত খাদিজা। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীর। জানান বাঁচার আকুতি। বাঁচাতে চান ছেলেমেয়েদেরও। দুই ছেলের চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করতে চান। পড়াতে চান মেয়েকে। আর এ জন্য দেশবাসীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। চাইছেন তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়াক। আর এ জন্য দিয়েছেন বিকাশ নম্বর। খাদিজার বিকাশ নম্বর ০১৭৭২২৯৪৬৮৪।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে বিভিন্ন মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানার ৭ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ রাজিব মিয়া (২৫), রাজন মিয়া (৩০), আমিন মিয়া (২৫), সমুজ আলী (৩৫), লিটন মিয়া (৫০), নাছিমা বেগম (২৫) মোঃ আল আমিন (১৯)।
পুলিশ জানায়, তাদের মধ্যে ২জন নিয়মিত মামলার, ৪জন সিআর মামলার ও একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জাতীয় পার্টির সরাইল উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে সরাইলের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়াম হলরুমে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির ১০১ জন সদস্য করে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এতে সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি ও হাফেজ আলী নেওয়াজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও জাতীয় পার্টির নেতা আবু হানিফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
এ কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির পার্টির আহবায়ক শাহ জামাল রানা, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হেলাল, জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ, উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুল হক মৃধা।
বক্তব্য রাখেন- উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আলী নেওয়াজ, সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলু মিয়া, শাহবাজপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মেরাজ মিয়া, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ছায়েদ হোসেন, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিয়া, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির নেতা দুলাল বক্স, উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সহ-সভাপতি দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, সরাইল সদর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ফরিদ মিয়া, সরাইল উপজেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি শিরিন আক্তার, অরুয়াইল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, চুন্টা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা মো. বিল্লাল মিয়া, অরুয়াইল ইউনিয়ন জাতীয় যুব সংহতি সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, পানিশ্বর ইউনিয়ন যুবসংহতির নেতা মো. কামাল হোসেন, পাকশিমুল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মোস্তফা, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল ফাতাহ মোহাম্মদ মাসুক, জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের যুগ্ম আহবায়ক হোসাইন মোহম্মদ আজাদ, উপজেলা ছাত্র সমাজের আহবায়ক হোসাইন আহমদ শাওন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবি’র চোরাচালান বিরোধী অভিযানে কোটি কোটি টাকা মূল্যের উন্নতমানের বিভিন্ন অবৈধ ভারতীয় মালামাল আটক করেছে বিজিবি।
২৫ বিজিবি এর অধীনস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের একটি বিশেষ টহল দল, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স টিম এই অভিযানে অংশ নেন।
আজ ৭ আগস্ট বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে গত ৪ আগস্ট ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় ঢাকাগামী বালু বোঝাই ট্রাকে অভিযান পরিচালনা করে অভিনব উপায়ে বালু বোঝাইকৃত ট্রাকের অন্তরালে আচ্ছাদিত অবস্থায় কোটি কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের সানগ্লাস এবং চশমা আটক করে। যার মূল্য ৯ কোটি ২০ বিশ লক্ষ ৬৮ হাজার একশত টাকা। এছাড়াও গত ১ আগস্ট ২ কোটি ২৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০ টাকা মূল্যের ভারতীয় কসমেটিকস, চকলেট ও চিনি এবং ৩০ জুলাই ২০২৪ তারিখে ৩ জন আসামীসহ ভারতীয় চিনি ১৪ হাজার কেজি এবং ১টি কাভার্ড ভ্যান, যার মূল্য ৭২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সরাইল ব্যাটালিয়ন কর্তৃক আটক করতে সক্ষম হয়।
সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, বিজিওএম, পিএসসি, সিগন্যালস জানান, দেশে চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সময় রাষ্ট্রীয় সম্পদ, স্থাপনা এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সার্বক্ষণিক সচল রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যগণ কর্তৃক দিবারাত্র টহল কার্যক্রম পরিচালনাকালে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সহযোগিতায় এ বিপুল পরিমাণ চোরাচালানী মালামাল আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরো বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা কতৃর্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় অগ্নি সংযোগের কারণে আটককৃত চোরাচালানী মালামাল বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে ফলাফলের গেজেট স্থগিত রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনে আছে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ইসি প্রকাশিত গেজেট স্থগিত রেখে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবে। সে অনুযায়ী তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে তদন্ত প্রতিবেদনে ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইসি নির্বাচন বাতিল বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করতে পারে।
জাহাংগীর আলম বলেন, গণমাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ও লক্ষীপুরের একটি ভোট কেন্দ্রের কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। ইসি সেটির বিশ্লেষণ করেছে। এটার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। সরেজমিন তদন্তের পর তারা যে প্রতিবেদন দেবে, তারপরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে, ৫ নভেম্বর রবিবার লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে একের পর এক সিল মারছেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, যিনি সিল মেরেছেন তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ। পরে বিষয়টি ইসির নজরে আসে।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ রাকিব হোসেন, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. সামছুল করিম ও আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন। ১১৫টি ভোট কেন্দ্রের ৮২৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু এক লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। ভোট পড়ে ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪৬ ভোট।
আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহজাহান আলম ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। এ উপনির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ‘ওপেন ভোট’ নেওয়ার পাশাপাশি ‘জাল ভোট’ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।