অনলাইন ডেস্ক :
বৈদেশিক অর্থায়নভুক্ত প্রকল্পগুলোর দিকে বেশি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
আজ ২৪ জানুয়ারি বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিশন চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী কিছু অনুশাসন দিয়ে বলেছেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের কারণে যে সময় ব্যয় হয়েছে তা মেটাতে আরও বেশি কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। এজন্য সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে চালু করতে হবে। বৈদেশিক ঋণ বা অনুদান যেন দ্রুত ছাড় পাওয়া যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগের দিকে অধিকতর নজর দিতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশের ভেতরে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে। জমি অনাবাদি রাখা যাবে না। উৎপাদন বাড়াতে হবে। গবেষণা বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে হবে। প্রকল্প পরিচালক প্যানেল করে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া যায়। এ বিষয়ে একটি গাইড লাইন করা যায়। এর নাম ‘বিশেষজ্ঞ প্যানেল’ হতে পারে।
তিনি বলেন, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে খুব বেশি আউট সোর্সিংয়ের ওপর নির্ভর করা যাবে না। পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি, ডিজিটাল ডিভাইস ইত্যাদিতে নজর দিতে হবে। পানি ও নৌ-পরিবহন খাতে নজর দিতে হবে।
বৈঠকে কমিশনের বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ভাইস চেয়ারপারসন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনের সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় সেজন্য মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দুই মাস পর রিভিউ করবে। বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সঠিকভাবে টাকা ছাড় হচ্ছে কি না, এসব বিষয় দেখভাল করবে এ কমিটি।
বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, এটা প্রথম সভা। এটা অনেকের জন্য নতুন সভা। ৯ বছর আগে সবশেষ এ সভা হয়েছিল। প্রথম সভায় এজেন্ডা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী কথাবার্তা বলেছেন। শেখ মুজিবের আদর্শ বাস্তবায়ন ও নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনকে উন্নয়নের মেরুদণ্ড বলা হয়। উন্নয়ন ধরে রাখতে হবে। এগুলো তথ্য পর্যায়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের কিছু বিষয়ে বার্তা দিয়েছে, আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করবো।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য প্রয়োজন এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রকল্প নিতে হবে। অহেতুক নতুন প্রকল্প নেওয়া যাবে না। সাধারণ মানুষ কতটুকু লাভবান হবে সেটা দেখতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে গত দু’দিন আগে জাতীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় দেড় দশকের অর্জনকে ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ কিভাবে হবে যদি তারুণ্যকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে না পারি ।
তিনি আজ ৩ জুন শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবমৈত্রীর ৬ষ্ঠ সম্মেলন উপলক্ষে উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসিরের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের পরিচালনায় আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এমপি আরো বলেন, অতীতে আমরা উন্নত অর্থনীতির কথা, নানা স্বপ্নের কথা বলেছি। কিন্তু আজ দুঃস্বপ্ন হচেছ দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, মূল্যস্ফীতি, নানা অপসংস্কৃতি, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার নানা আক্রমণের দাপটে। আজ বেকারত্বে যুব সমাজ হতাশা ও নিরাশায় নিমজ্জিত।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের ঘোষনা দিয়েছি। কিন্তু বেকারত্বের ফলে আমাদের যুব সমাজ মাদকসহ ডিজিটাল ব্যবস্থায় আসক্তিতে ভুগছে।
তিনি বলেন, বাজেটে একশ কোটি টাকা তারুণ্যের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে গবেষণা ও উদ্ভাবনীর জন্য। বলা হয়েছে ২লাখ বিরাশি হাজার কর্মসংস্থানের কথা। কিন্তু বাজেটে এ ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই । যুব সমাজকে স্বউদ্যোগী হতে বলা হয়েছে । কিন্তু স্বউদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতাও প্রয়োজন। কারণ আমাদের জনসংখ্যার শতকরা ৩৫ ভাগই হচ্ছে যুব সমাজ। তারাই দেশকে এগিয়ে নিযে যাবে। তাদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা না গেলে ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারবো না । তাই মাদকমুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্মার্ট যুবশক্তি গড়ে তোলার জন্য তিনি আহবান জানান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ।
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা যুবজোটের সভাপতি জাফর আহমেদ আকসির, বাচিক শিল্পী মনির হোসনে, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির। সম্মেলনে স্থানীয় বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকরি মেডিকেল কলেজ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
সম্মেলনের সাংগঠনিক অধিবেশনে কাজী তানভীর মাহমুদ শিপনকে সভাপতি, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক এবং অ্যাডভোকেট বাছির মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪৯ সদস্য জেলা যুব মৈত্রীরকমিটি ঘোষণা করা হয় ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাফিক আইন মেনে চলতে ঠাকুরগাঁওয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা করেছে জেলা পুলিশ। আজ ১১ অক্টোবর বুধবার সকালে জেলা ট্রাফিক বিভাগের আয়োজনে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।
এসময় জেলা পুলিশ সুপার যানবাহন চালকদের উদ্দেশ্যে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও সচেতনতামূলক কথা তুলে ধরেন। সেই সাথে হেলমেট বিতরণ ও বিভিন্ন চালকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখায় চালককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা বেগমসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গলায় লিচুর বিচি আটকে জুনাইদ নামে দেড় বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার যশরা ইউনিয়নের খোদাবক্সপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জুনাইদ ওই গ্রামের আশরাফুল আলমের ছেলে।
জুনাইদের পরিবারের সদস্যরা জানান, দুপুরে নানার বাড়ি থেকে আনা লিচু খাচ্ছিল জুনাইদ। একটি লিচু খেতে গিয়ে বিচি জুনাইদের গলায় আটকে যায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন জেলা জজরা। পাশাপাশি প্রয়োজন মনে করলে সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজদেরও সরকার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে নিস্পত্তির জন্য বিচারক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে। এমন বিধান যুক্ত করে ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড ট্যানেন্সি অ্যাক্ট (রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন) সংশোধনরে প্রস্তাব উঠেছে সংসদে। বুধবার সংসদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত ‘স্টেট অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড ট্যানেন্সি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
নতুন এই সংশোধনী পাস হলে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত মামলা নিস্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতা কাটবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করছেন।
বিদ্যমান আইনে বলা আছে, ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন যুগ্ম জেলা জজেরা। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার এই বিচারক নিয়োগ দেবে। এই বিধানের সঙ্গে নতুন ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এভাবে বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার যুগ্ম জেলা জজদের ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজের ক্ষমতা দিতে পারবে। এছাড়া ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনাল থেকে স্থানান্তর করা মামলা নিস্পত্তির জন্য এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে সরকার নিয়োগ দিতে পারবে।
বিদ্যমান আইনে বলা আছে, ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি।
আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘২০০৪ সালে আইন সংশোধন করে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান করা হয়। ওই বিধানে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে জেলার যুগ্ম জেলা জজদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারকদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগের বিধান করা হয়। পরবর্তীতে মামলার সংখ্যার তুলনায় ট্রাইব্যুনাল কম হওয়ায় মামলা নিস্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগে সমস্যার কারণে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন না হওয়ায় জনগণের বিচার প্রাপ্তি বিঘ্নিত হয়। মামলা নিস্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা দূরীকরণ এবং যথাসময়ে জনগণের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতমাত নিয়ে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পারিবারিক আদালত বিল
পারিবারিক আদালত আইনের অধীনে বিচারিক আদালতে হওয়া মামলার রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজ মর্যাদার অন্যান্য আদালতেও আপিল করা যাবে। এছাড়া পারিবারিক আদালতের মামলার কোর্ট ফি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকার প্রস্তাব করে সংসদে একটি বিল উঠেছে। ‘পারিবারিক আদালত বিল, ২০২৩’ শিরোনামে বিলটি উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
গত বছরের ৩ জুলাই বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় ফ্যামিলি কোর্টস অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।
আগের আইনে বিচারিক আদালতে হওয়া এ সংক্রান্ত মামলার আপিল শুধু জেলা জজের আদালতে করার সুযোগ ছিল। এতে জেলা জজের ওপর মামলা শুনানির চাপ বাড়ছিল। মামলার চাপ কমাতেই আইনে এই সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, জেলা পর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। সরকার গেজেট জারি করে কোনো জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজ পর্যায়ের অন্যান্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।
উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, এই আদালতে মামলার কোর্ট ফি বর্তমানে ৫০ টাকা রয়েছে। সেটা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দাম্পত্য কলহ, তালাক, বিয়ে এবং শিশুদের ভরণপোষণের বিষয়গুলো রয়েছে।
এটুআই নামে নতুন সংস্থা করতে সংসদে বিল
পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করা এবং নাগরিকের জীবনমানে সৃষ্ট সেবা অধিকতর কার্যকর ও টেকসই করার জন্য এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) নামে একটি নতুন সংস্থা করা হচ্ছে। এজন্য এজেন্সি টু ইনোভেট বিল ২০২৩ জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। মূলত বর্তমান ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’এর প্রতিস্থাপক হিসেবে স্থায়ী কাঠামো হবে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট’। বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি সংসদে তোলেন।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইন কার্যকর হওয়ার পর সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে এটুআই নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করবে। এজেন্সি হবে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এই সংস্থার ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী হবেন এর সভাপতি।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার উদ্ভাবন ও উন্নয়ন, উদ্ভাবনী সংস্কৃতির বিকাশ, পাবলিক সার্ভিসের ইনক্লুসিভ ডিজিটাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ, জ্ঞানভিত্তিক সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা, জনগণের দোরগোড়ায় বিভিন্ন ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালযে়র অধীন ‘একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ প্রকল্প এবং বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ‘এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)’ প্রকল্প নামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও দপ্তর/সংস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সেবা প্রদানসহ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, ই-নথি, ডি-নথি, শিক্ষক বাতায়ন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, জাতীয় কলসেন্টার- ৩৩৩ ইত্যাদির মাধ্যমে স্বল্প সমযে় ও স্বল্প ব্যযে় উন্নত সেবা প্রদানে ‘এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)’ মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিতকরণ এবং নাগরিকের জীবনমানে সৃষ্ট সেবা অধিকতর কার্যকর ও টেকসই করার জন্য ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’র প্রতিস্থাপকরূপে স্থায়ী কাঠামো হিসেবে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা এই আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নকে প্রকারান্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’র পুনর্জাগরণ বলা যেতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) আইন-২০২৩ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।
ইংল্যান্ডের লন্ডন পল মলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের মার্লবোরো হাউসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র বাসসকে জানায়। গত বছরের ২৫ অক্টোবর সুনাক দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দুই নেতার বৈঠক হয়।
জাপানে দ্বিপাক্ষিক সফর ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি নগরীতে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যোগদানের পর প্রধানমন্ত্রী তার সফরের তৃতীয় ধাপে ৬ মে অনুষ্ঠিতব্য রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে লন্ডনে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় গতকাল বিকেলে কমনওয়েলথ রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধানদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ সচিবালয়ে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান কমনওয়েলথ মহাসচিব ব্যারনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড। লন্ডনের কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট মার্লবোরো হাউসে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কমনওয়েলথ প্রধান রাজা তৃতীয় চার্লস-এর সঙ্গে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কমনওয়েলথ চেয়ার ইন অফিস রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সভাপতিত্বে কমনওয়েলথ নেতৃবৃন্দ মূল সম্মেলন কক্ষে একটি বৈঠক করেন। অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথ পরিবারের একটি যৌথ ছবি তোলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী পরে বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা ও রাণী কনসোর্টের রাজ্যাভিষেকের আগে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান ও বিদেশী প্রতিনিধিদের জন্য রাজা তৃতীয় চার্লস-এর দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী জাপানে দ্বিপাক্ষিক সফর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্বব্যাংকের এক অনুষ্ঠানে যোগদানের পর আগামী ৬ মে অনুষ্ঠেয় রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে লন্ডনে পৌঁছান। ৭৪ বছর বয়সী রাজা তৃতীয় চার্লস তার মাতা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজা হন।
রাজা তৃতীয় চার্লসের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাজা ও রানী কনসোর্টের রাজ্যাভিষেকের আগে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং বিদেশী প্রতিনিধিদের জন্য রাজা তৃতীয় চার্লসের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
বিকেলে বাকিংহাম প্যালেসে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী জাপানে দ্বিপাক্ষিক সফর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগদানের পর আগামী ৬ মে অনুষ্ঠেয় রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে লন্ডনে পৌঁছান।
সংবর্ধনার আগে প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে কমনওয়েলথ দেশগুলোর নেতাদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে যোগ দেন।
লন্ডনের কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট মার্লবোরো হাউসে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কমনওয়েলথ প্রধান রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। কমনওয়েলথ চেয়ার ইন অফিস রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সভাপতিত্বে কমনওয়েলথ নেতাদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক প্রধান সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথ পরিবারের একটি যৌথ ছবি তোলা হয়।
৭৪ বছরের রাজা তৃতীয় চার্লস তার মা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজা হন।
রাজকীয় ঐতিহ্য অনুসারে জাতীয় শোক এবং বিশাল প্রস্তুতির কয়েক মাস পরে একজন ব্রিটিশ রাজার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ৬ মে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, বেলজিয়াম, জাপান, হাঙ্গেরি এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর লন্ডনে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন এবং রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।