চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মো. কবির মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক উপজেলার যাত্রাপুর এলাকার মো. আমির হোসেনের ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, নিহত কবির পেশায় একজন প্লাম্বার মিস্ত্রি ছিলেন। সকালে কবির যাত্রাপুর থেকে রেলপথ ধরে আশুগঞ্জে যাওয়ার পথে এই ঘটনার শিকার হন। ধারণা করা হচ্ছে ঘন কুয়াশায় কিছু দেখতে না পাওয়ায় তিনি ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোন ট্রেনের নিচে তিনি কাটা পড়েছেন তা জানা যায়নি। তিনি আরো জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। নির্বাচনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বাবের সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার (কলারছড়ি) প্রতীক পক্ষে কাজ করতে ও নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আশুগঞ্জ উপজেলার সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিদের (ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার) নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামীলীগ।
উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধিও অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়। আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নার রতন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারি কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের আহমেদ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপির ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারনে জাতীয় সংসদ থেকে উকিল আবদুস সাত্তার পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তিনি তার ভুল বুঝতে পেরে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করেছেন।
বক্তারা বলেন, উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া একজন ভালো মানুষ। এই আসনের নির্বাচিত ৫বারের সাবেক এমপি। তৃনমূলে তার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। এদিকে এই আসনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী নেই। আওয়ামীলীগ গণতন্ত্র, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী। তাই আওয়ামীলীগ উকিল আবদুস সাত্তারকে সমর্থন দিয়েছে। নির্বাচনে তার জয়ের মধ্য দিয়ে আবারো প্রমান হবে আওয়ামীলীগ অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচনে বিশ্বাসী। দেশ ও বিদেশে এ বার্তা প্রচার হবে। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও তৃণমুলের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। যাতে নির্বাচনের দিন বিএনপি-জামাত কোন ধরনের বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারে। এজন্য এ উপ-নির্বাচনকে নিজেদের নির্বাচন মনে করে বেশী সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল–আশুগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন জামাতা ও শ্বশুর। তবে এ আসনে ভোটারদের মধ্যে আলোচনায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের নাম বেশি চাউর হচ্ছে।
এ আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ফলে এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নেই। তবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সাতজন প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে জাপার প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও তাঁর শ্বশুর স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার (ঈগল) নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি নজর কাড়ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাঁরা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
এখানকার প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি), জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা, তাঁর শ্বশুর জাপার দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির (রওশন) সহসভাপতি জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল প্রতীক), সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসানাত আমিনী ও বিএনপির দলছুট সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেন। সমঝোতার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলমকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা বলছেন, রেজাউল ইসলাম ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। একই আসনে তাঁর শ্বশুর সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জামাই-শ্বশুরের দ্বন্দ্ব ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তখন তাঁরা একে অপরের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ান। রেজাউল তখন মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন। সে সময় ভোটের দুই দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন রেজাউল। তবে শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা সিংহ প্রতীক নিয়ে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন। গত ৫ নভেম্বরের উপনির্বাচনেও জিয়াউল হক অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার সঙ্গে বর্তমানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রার্থী হয়ে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট। ওই নির্বাচনে জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে ৩৯ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। কোনো কোনো নেতা-কর্মীর ভাষ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ও জনপ্রিয়তার কারণে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মঈন উদ্দিন।
রেজাউল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল সারা দেশে ২৬টি আসন জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে, যার একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। আশা করি, আওয়ামী লীগের সভাপতির আদেশ এখানে পালিত হবে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে হতাশ করবেন না।’
জাপার সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘কে নির্বাচন করল, সেটা দেখার বিষয় নয়। আমি এ জনপদে দুবার সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে নির্বাচন করব।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে যেতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর কোনো চাপ নেই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন নিয়ে সকাল থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বরে জড়ো হন।
সেখানে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় ও কাউন্টারে অবস্থান নেন তাঁরা। চলমান অবরোধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো যানবাহন চলতে দিচ্ছেন না আন্দোলনকারীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট যাত্রী ও চালকেরা।
যান চলাচল স্বাভাবিক করতে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সেখানে কাজ করছেন বলে জানান আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সাথে আমরা কথা বলছি। তাঁরা অচিরেই সেখান থেকে সরে যাবেন। আশুগঞ্জে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বগইর মডেল স্কুল এ- কলেজে এসএসসি পরীক্ষাথীদের বিদায় সংবর্ধনা, মিলাদ এবং দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বগইর মডেল স্কুল এ- কলেজের মাঠে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ আবুল কাসেম ভুইয়ার সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব প্রফেসর আলমগীর খন্দকার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন,মুক্তিযোদ্ধা মো.রোকন উদ্দিন,দাতা সদস্য মো.হুমায়ুন কবীর ভুইয়া,অভিভাবক সদস্য মো. শাহজাহান খান, বিদ্যুৎশাহী সদস্য মো.নুরুল হত ঠাকুর, অভিভাবক সদস্য লুৎফুর রহমান, মো. লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, অভিভাবক সদস্য আলমগীল সরকার প্রমুখ।
প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব প্রফেসর আলমগীর খন্দকার এবং ব্ক্তারা বলেন,বগইর স্কুল ইতিমদ্যে আশুগঞ্জ তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে একটি আলোচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে শিক্ষাক্ষেত্রে আরো উন্নতি করবে এমনটাই আশা করছেন এলাকাবাসী।
স্টাফ রিপোর্টার :
আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের কয়েকটি বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৬ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের নোনার বাড়ির মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান, মুন্সিবাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে হাজী সাইফুল ইসলাম এবং বাবরের বাড়ির আমির হামজার ছেলে মনির হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একাইট্টা, বল্লম ও টেঁটা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ও শনিবার গায়ে সিএনজির ধাক্কা লাগার মত তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠি (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠি) এবং বারঘরিয়া (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠি) গোষ্ঠির লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ পুরো গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। দুই দফা সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ও স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনলেও এর রেশ যেন কিছুতেই কাটছে না।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ রহমান জানান, পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দু’পক্ষই তাদের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র জড়ো করতে থাকে। টের পেয়ে পুলিশ উভয় পক্ষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১০৫টি বিভিন্ন জাতের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সংঘর্ষের পর থেকে দুর্গাপুর গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করাসহ সার্বক্ষণিক পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৩-৪শ’ লোকের নামে মামলা দায়ের করেছে।