অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে এনামুল হক বিজয়ের খুলনার টাইগার্স। রংপুর রাইডার্সকে ২৮ রানে হারিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করলো দলটি।
খুলনার দেয়া ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। দলীয় ৬ রানে এবং ব্যক্তিগত দুই রানে স্বদেশি মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে এলবিডবিøউ হয়ে ফেরেন পাকিস্তানের সুপারস্টার বাবর আজম। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ব্রান্ডন কিংও। তার বিদায়ে মাত্র ২ রানেই টপঅর্ডারে দুই ব্যাটারকে হারায় রাইডার্স। অন্যদিকে, এই ম্যাচেও আশানুরূপ কিছু করতে পারেননি জাতীয় দলের টি-২০’র ওপেনার রনি তালুকদার। টেস্টের মেজাজে ২৫ বল খেলে মাত্র ১৫ রান করে বিদায় নেন তিনি।
চলতি বিপিএলে ব্যাট হাসছে না টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসানের। মাত্র ২ রান করে দাসুন শানাকার বলে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ৮০ রানে ৭ উইকেট হারানো রংপুর শেষ পর্যন্ত ১৩২ করতে পেরেছে মোহাম্মদ নবীর কল্যাণে। তিনিই রংপুরকে আশা দেখাচ্ছিলেন। তবে তার ৩০ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। খুলনার হয়ে শানাকা তিন ওভার বল করে ১৬ রানে শিকার করেছেন তিন উইকেট। আর মোহাম্মদ নওয়াজ দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে নেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ ওয়াসিমও শিকার করেছেন দুই উইকেট।
আজ ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দেন রংপুরের স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই খুলনার অধিনায়ক বিজয়কে রনি তালুকদারের ক্যাচে পরিণত করেন মেহেদী। টাইগার্স অধিনায়ক ৭ বল মোকাবিলা করেও রানের খাতা খুলতে পারেনি।
তিন নম্বরে নামা খুলনার ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ও এদিন ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন। এই ম্যাচে আরেকবার ব্যর্থ বাঁহাতি ব্যাটার আফিফ হোসেন। ৬ বলে মাত্র ৪ রান করেন এই ব্যাটার। ৫০ রান তুলতে খুলনাকে খেলতে হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ওভার। বিনিময়ে উইকেট হারাতে হয়েছে তিনটি। এই ম্যাচে উইন্ডিজ তারকা এভিন লুইস আগ্রাসী শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৫ বলে তিনটি করে চার-ছক্কায় তিনি ৩৭ রানের ইনিংস খেলেই থামেন।
তবে খুলনার জয়ের ভিত গড়ে দেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ ও লঙ্কান অলরাউন্ডার শানাকা। ৫ম উইকেটে এই জুটিতে আসে ৭৭ রান। শানাকা ৩৩ বলে ৪০ করে ফেরেন। আর নওয়াজ খেলেন ৩৪ বলে ৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে খুলনা।
অনলাইন ডেস্ক :
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর উচ্চতা প্রায় ৮ হাজার ফুট। এই উচ্চতা নিয়ে শঙ্কা ছিল বাংলাদেশ দলের। কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রায় এক সপ্তাহ আগে ভুটান গেলেও উচ্চতার কারণে জামাল-তপুদের যে সমস্যা হচ্ছিল, সেটি শোনা যাচ্ছিল।
বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাইয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ ফুটবল দল জয়ের দেখা পেয়েছিল। তারপর ১০ মাসেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল এর মাঝে খেলেছে ছয় ম্যাচ, যার পাঁচটিতেই পেয়েছে পরাজয়ের স্বাদ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে দলটি অবশেষে জেতার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ল।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় ভুটানের বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে বাংলাদেশ জিতেছে। গোলদাতা শেখ মোরসালিন জয়ের নায়ক।
খেলার ছয় মিনিটের মাথায় অতিথি দল এগিয়ে যায়। ডানপ্রান্ত দিয়ে তৈরি হওয়া আক্রমণে রাকিব হোসেনের ক্রস ডি বক্সে উড়ে আসলে বলে পাঞ্চ করেন ভুটানি গোলরক্ষক তিশেরিং ধেনদুপ। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মোরসালিনের পায়ে বল লাগে। সুযোগ বুঝে মাটিতে পড়ে থাকা গোলরক্ষককে কাটিয়ে এই ফরোয়ার্ড ডান পায়ের টোকায় ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন।
নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে অতিরিক্ত সময়ে তখন গড়িয়েছিল প্রথমার্ধের খেলা। চোট পাওয়া রাকিব হোসেন মাটিতে শুয়ে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন। দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে রেফারি খেলা থামিয়ে দেন। মাঠে স্ট্রেচার নিয়ে কয়েকজন প্রবেশ করেন। ঠিক তখনই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা। স্ট্রেচার বহনকারীদের একজন আকস্মিকভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।
ঘটনার আকস্মিকতায় বাংলাদেশ ও ভুটান দলের ফুটবলাররা হতভম্ব হয়ে পড়েন। মেডিকেল স্টাফ দৌড়ে মাঠে ঢুকে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ব্যক্তির বুকে বারবার চাপ দিতে থাকেন। এ সময় ফুটবলাররা তাকে ঘিরে ধরে রাখেন।
দ্রুততম সময়ের ভেতর মাঠে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে অজ্ঞান থাকা স্ট্রেচার বয়কে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খানিক পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটের খেলা আবারো শুরু হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই গোলের মুখ না দেখায় একমাত্র গোলের জয় নিয়ে বাংলাদেশকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ভুটানের বিপক্ষে এটি দলটির ১১তম জয়। মোট ১৩ দেখায় দুইবার হয়েছিল ড্র। একটিতে পায় পরাজয়ের স্বাদ।
ডেস্ক রিপোর্ট :
২০১৮ সালে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের যুবাদের। এবার সেই স্টেডিয়ামেই ইতিহাস লিখল নতুন প্রজন্মের যুবারা। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপের পর আরও একবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় সাফল্য এল যুবাদের হাত ধরে। এবার এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি সাক্ষী হলেন জুনিয়র টাইগারদের নতুন কীর্তির। বিজয় দিবসের ঠিক একদিন পর দুবাই থেকে ভেসে এলো দেশের ক্রিকেটের গৌরবমাখা অনন্য অর্জনের খবর। এশিয়া কাপের ফাইনালে আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ হারাল ১৯৫ রানের বড় ব্যবধানে। আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৮৩ রান। জবাবে আরব আমিরাত অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ৮৭ রানে।
গ্রুপপর্বেও আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৬০ রানে বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে হারিয়েছে টুর্ণামেন্টে রেকর্ড আট বারের শিরোপাজয়ী ভারতকে। আসরজুড়ে অপরাজিত থেকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল জুনিয়র টাইগাররা। ফাইনালে সেই আমেজটা টাইগাররা ধরে রাখল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। একপেশে ফাইনালে কোনো সুযোগই তারা দেয়নি প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতকে।
শুরুতে ছিল আশিকুর রহমান শিবলীর ১২৯ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আরিফুল ইসলাম। একজনের রান ৬০, আরেকজন করেছেন ৫০। এরপর বল হাতে গতি আর সুইংয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ-মারুফ মৃধারা। বর্ষণ নিয়েছেন তিন উইকেট। দুই উইকেট নিয়ে জয়ের মিছিলে শামিল হয়েছেন আরেক পেসার ইকবাল হোসাইন ইমন।
৩৫ থেকে ৪৫, ১০ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারায় আরব আমিরাত। তিনবারই বাংলাদেশের নায়ক বর্ষণ। তার ইনসুইং আর আউটসুইংয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের মিডল অর্ডার। ৪৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পরেই বরং কিছুটা প্রতিরোধ দেখায় দলটি। ধ্রুব পরশহার এবং ইয়ায়িন রাই মিলে ১৬ রান যোগ করেন। এজন্য দুজনে খেলেছেন ৫ ওভারের বেশি।
তাদের সেই জুটি ভেঙেছেন ইমন। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ একেবারেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এই পেসার। ৬১ রানে পতন ঘটে ৭ম উইকেটের। এরপর ৭১ রানে হার্দিক পাইকে ফেরান স্পিনার জীবন। আর ৭২ রানে মারুফের বলে আউট হন আইমান আহমেদ। বাংলাদেশের জয় তখন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার।
শেষ উইকেটের জন্য খানিকটা সংগ্রাম করতে হয়েছে টাইগার বোলারদের। ধ্রুব প্রতিরোধ করতে চেয়েছেন ১১তে নামা অমিদ রহমানকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে এসেছে আরও কিছু রান। তবে তাতে ম্যাচের গল্প বদলানো যায়নি। আরব আমিরাত আউট হয় ৮৭ রানে। বাংলাদেশ হয়ে যায় যুব এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে ১ উইকেট হারালেও খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি। দলীয় ১৪ রানের মাথায় জিশানের উইকেট হারানোর পর দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় জুনিয়র টাইগাররা।
চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের বড় এক পার্টনারশিপ গড়েন ফর্মের তুঙ্গে থাকা শিবলী। দুজনের এই জুটিই অনেকটা এগিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। দুজনেই রান তোলেন সাবলীল গতিতে। ফিফটির দেখা পান দুজনই। পরে ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেন ওপেনার শিবলী।
২য় উইকেটে বড় জুটি করার পর ৬০ রানে ফিরে যান ওয়ান ডাউনে খেলা রিজওয়ান।
এরপরে ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন আরিফুল ইসলাম। শিবলীর সঙ্গে তার জুটি হয় ৮৬ রানের। ৫০ রান একাই নেন আরিফুল। ৩৯ বলে তুলে নেন ফিফটি।
এই জুটি চলার সময় অপর প্রান্তে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন শিবলী। টুর্নামেন্টে এটি তার দ্বিতীয় শতক। ৪৯তম ওভারে গিয়ে আউট হওয়ার আগে করেছেন ঝলমলে ১২৯ রান।
আরিফুল অবশ্য আউট হয়েছেন ফিফটির পরের বলেই। এরপর কিছুটা ধুঁকেছে বাংলাদেশ। আহরার আমিন এবং মোহাম্মদ শিহাব দুজনেই আউট হয়েছেন দ্রুত।
তবে শেষদিকে দ্রুতগতির এক কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১০ বলে ২১ রান করে দলের ইনিংসে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা।
অনলাইন ডেস্ক :
কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর ঘরের মাঠে দুটো প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা। সেখানে আলবেলিস্তেরা খেলেছে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পানামা এবং কিরাসাওয়ের সাথে। দুটোতেই ছিল জয়। এবার ঘরের বাইরে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
চীনের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াইয়ের সম্ভাবনা থাকলেও সকারুদের দাঁড়াতেই দেয়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। মেসির জাদুতে বেইজিংয়ে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের ওয়ার্কাস স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। এনজো ফার্নান্দেজের পাস থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোলটি করেন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই গোলটি করেই নতুন একটা রেকর্ড গড়লেন লিওনেল মেসি। ৩৫ বছরে বয়সে এসে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে মেসির দ্রুততম গোল এটিই, ১ মিনিট ১৯ সেকেন্ড। এই নিয়ে জাতীয় দলের হয়ে টানা সাত ম্যাচে জালের দেখা পেলেন লিও। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোল হলো ১০৩টি।
প্রথমার্ধে আরো একাধিক সুযোগ পায় লাতিন আমেরিকার দেশটি। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে সকারুদের জালে আর গোল করতে পারেনি মেসিরা। ৬১ শতাংশ বল প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার দখলে ছিল। ৫টি শট অন টার্গেট নেয় ডি মারিয়ারা। যা থেকে একটি গোলে পরিণত হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণাত্নক খেলতে থাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ৬৪ মিনিটে মেসিকে ফাউল করেন অস্ট্রেলিয়ার ডেনিস জেনেরু। ফ্রিকিক পেয়ে বক্সের বাইরে থেকেই শট নেন তিনি। কিন্তু সেটি কর্ণারে রুপ নেয়। কর্ণার থেকে ডি পল ও মেসি নিজেদের মধ্যে পাস করেন। একসময় ডি বল ডিবক্সের দিকে উঁচু করে ক্রস দেন। সেই ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন বদলী নামা জার্মান পেজেলা। তার গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এরপর আরো বেশ কিছু আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এর আগে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ছিল সকারুদের। তবে মেসি-পেজেলাদের নৈপুন্যে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল অস্ট্রেলিয়ার।
অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অভিনেত্রী আঁচল তিওয়ারি। বিহারের কাইমুরে এক মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার অনুষ্ঠান করতে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় এই ভোজপুরি অভিনেত্রীর। একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গায়ক ছোটু পাণ্ডেও। জানা গেছে, দুর্ঘটনায় ভোজপুরি চলচ্চিত্রের চার উঠতি তারকাসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন।
জনপ্রিয় সিরিজ ‘পঞ্চায়েত’-এর দ্বিতীয় সিজনে দেখা গেছে আঁচলকে। এ ছাড়া ভোজপুরি চলচ্চিত্রের অনেক জনপ্রিয় মুখ তিনি। অভিনয় করেছেন হিন্দি চলচ্চিত্রেও।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মোহনিয়া থানা এলাকার দেবকালী গ্রামের কাছে জিটি রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, বিহারের কাইমুর জেলায় একটি এসইউভি এবং মোটরবাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ভোজপুরি অভিনেত্রী আঁচল তিওয়ারি, সংগীতশিল্পী ছোটু পাণ্ডেসহ আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। সিমরান শ্রীবাস্তব নামে এক ভোজপুরি অভিনেত্রীও দুর্ঘটনায় নিহত হন।
মোহনিয়ার ডিএসপি দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, সোমবার মৃতদের শনাক্ত করা হয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে ভোজপুরি শিল্পী বিমলেশ পাণ্ডে ওরফে ছোটু পাণ্ডে। অন্য নিহতদের মধ্যে ছিলেন আঁচল তিওয়ারি, সিমরন শ্রীবাস্তব, প্রকাশ রাম, দধিবল সিং, অনু পাণ্ডে, শশী পাণ্ডে, সত্য প্রকাশ মিশ্র এবং বাগিশ পাণ্ডে। এদের মধ্যে বক্সারের বাসিন্দা ভোজপুরি গায়ক ছোটু পাণ্ডে, তার ভাগ্নে অনু পাণ্ডে, গীতিকার সত্য প্রকাশ মিশ্র বৈরাগী, বারানসির বাসিন্দা অভিনেত্রী সিমরন শ্রীবাস্তব এবং আঁচল তিওয়ারি ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ।
ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দুই নারীসহ আটজনকে বহনকারী একটি গাড়ি প্রথমে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর এসইউভি এবং বাইক উভয়ই অন্য লেনে চলে যায়, যেখানে একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের সঙ্গে এসে ধাক্কা লাগে।
ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের চালকসহ নয়জন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ট্রাকচালক।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘কাইমুর জেলার মোহানিয়া থানা এলাকায় এনএইচ২-এ দেবকালীর কাছে একটি ভয়ংকর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা। আহতদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আজকে যারা জেলা স্টেডিয়ামে ফুটবল প্রতিযোগিতা করছে আগামীতে তাদেরকে বিভাগীয় বা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতায় দেখতে চাই। তিনি বলেন আমরা তোমাদের নিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা করি তোমরা যেন ভাল মানুষ হয়ে দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জল করবে। এ ক্ষুদে খেলোয়াড়রা খেলাধূলায় অংশ গ্রহন করে ক্রীড়াঙ্গনকে আরও সমৃদ্ধি করার আহবান জানান। তিনি বলেন, খেলাধূলার মান উন্নয়নে এবং নিয়মিত পরিচর্চার জন্য তৃর্ণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে জেলা ক্রীড়া অফিস যে আয়োজন করে তা প্রশংসার দাবিদার।
আজ ৬ নভেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে ক্রীড়া পরিদপ্তর যুব আওতায় ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি-২০২৪-২৫ অনুর্ধ্ব-১৫ ফুটবল প্রতিযোগিতা উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম একথা বলেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার। ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, তেলিনগর উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, পাকশিমুল হাজী শিশু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমী। এসময় প্রতিটি বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।