নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বিশেষ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৮ জানুয়ারি শনিবার সকালে স্থানীয় ডাকবাংলো মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. রায়হান আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ভানু চন্দ্র দেবের পরিচালনায় কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিতু মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগ নেতা আল কাউছার।
কর্মী সভায় উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন করার লক্ষ্যে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কর্মী সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হাওড় এলাকায় দুটি টিউবয়েল বসানো হয়েছে। পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কিছু গাছের চারা রোপণেরও। ছোট্ট এ উদ্যোগে যেন বড় প্রশান্তির খবর কৃষকদের জন্য। তপ্ত রোদে ধান কাটতে এসে আপাতত টিউবয়েলের পানিতে তারা তৃষ্ণা মিটাতে পারছে। তারা আশায় আছে কাঠফাঁটা রোদে বৃক্ষের ছায়াতলে জিরিয়ে নিয়ে কাজ করতে পারার সময়টুকুর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের পতইর গ্রামের পূর্বপাড়া ছাত্র ও যুব সমাজের কয়েকজন হাওড়ে টিউবয়েল বসানোর উদ্যোগ নেন। এ কাজে এগিয়ে আসেন কয়েকজন প্রবাসী। তাদের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই পতই এলাকার হাওড়ে দুটি টিউবয়েল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে ধান কাটতে আসা কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা ওই টিউবয়েল থেকে পানি নিতে শুরু করে। অনেকে ওই টিউবয়েলের কাছে বসে খাবারও খায়।
এক কৃষক বলেন, ‘এখন অনেক রোদ। গরমও বেশি। ধান কাটতে এসে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে। সঙ্গে যেটুকু পানি থাকে তাতেও হয় না। যে কারণে এখানে টিউবয়েল বসানোয় আমাদের অনেক উপকার হলো। আমরা অনেক খুশি হয়েছি টিউবয়েলটি বসানোয়।’
ওই এলাকার বাসিন্দা ও উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত একজন বলেন, ‘আমরা চার-পাঁচজন মিলে এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার কথা মাথায় আনি।
ছাত্র ও যুবসমাজের পাশাপাশি প্রবাসীরা এগিয়ে এলে কাজটি সহজ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত দুটি টিউবয়েল বসানো হয়েছে। আরো একাধিক টিউবয়েল বসানো হবে। এ ছাড়া হাওড় এলাকার কৃষকের বিশ্রামের জন্য কিছু গাছের চারা লাগানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীতে বিএনপি-জামায়াতের ‘নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে’ নাসিরনগরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
আজ ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মো: লতিফ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চৌধুরী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ সিদ্দিকী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে আবার নতুন করে নৈরাজ্য শুরু করেছে। আন্দোলনের নামে তারা যদি সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি বা ধ্বংসাত্মক কাজ করে রাজপথে এর জবাব দেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। এ সময়ে তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতীক বরাদ্দের পর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজার ও মোড় ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে।
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে মাঠে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েন। উপজেলার সবর্ত্র বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। প্রার্থী ও সমর্থকরা বিরামহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন শেষ মুর্হূতের প্রচারণা। প্রায় প্রতিদিনই প্রার্থীরা হাট-বাজার-পাড়া-মহল্লায় চষে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন এবং সেই সাথে নিজেদের সৎ ও দূনীর্তিমুক্ত রেখে এলাকার উন্নয়নে ও অসহায় মানুষদের সহযোগিতার আশ্বাস সকলের কাছে দোয়া ও ভোট চাইছেন। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবর্ত্রই চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা। প্রার্থীদের নিয়ে চলছে শেষ মুর্হূতের হিসাব-নিকাশ। তবে মুখ খুলছেন না ভোটাররা। কে চেয়ারম্যান নিবার্চিত হবেন তা নিয়ে চায়ের দোকানে, হাট-বাজার, অফিস-আদালত ও গ্রামাঞ্চলে সবর্ত্রই এখন আলোচিত হচ্ছে। তবে এবার দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে ভোটারদের হিসাব-নিকাশ।
নাসিরনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা খাকলেও অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়ের প্রতীক দোয়াত-কলম, তিনি নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। এ ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার পেয়েছেন কৈ মাছ প্রতীক। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তারের প্রতীক ঘোড়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: ওমরাও খানের প্রতীক আনারস, শ্রী প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধরের প্রতীক মোটরসাইকেল।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন। এরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নেতা আবু আহাম্মদ কামরুল হুদার প্রতীক টিউবওয়েল, হুমায়ুন কবীরের প্রতীক চশমা, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ভানু চন্দ্র দেবের প্রতীক মাইক, সৈয়দ সাজ্জাদ মোর্শেদের প্রতীক তালা ও শাহজাহান চকদারের প্রতীক টিয়া পাখি।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। তারা হলেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তারের প্রতীক কলস, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা হামিদা লতিফ পান্নার প্রতীক প্রজাপতি, সাবেক মহিলা মেম্বার রিটা আক্তারের প্রতীক ফুটবল ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাহিদা আক্তারের প্রতীক বৈদ্যুতিক পাখা।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ভোটার ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৬৬ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫‘শ ১৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ২০ হাজার ৭‘শ ৪৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এ সময় সর্বজনীন পেনশন স্কিম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন প্রান্তিক মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় একদিন বড় সম্পদে পরিণত হবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে সকলকে এই পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহবান জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যার মো: রাফি উদ্দিন আহমেদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: নুরে আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, এনজিও প্রতিনিধি মো: আবু সাঈদ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি কুতুবুল আলম পাটোয়ারি প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন সচিব, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউজিসি) উদ্যোক্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এ‘র আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার উঠান/উন্মুক্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলার সহকারী উপজেল শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ কবীর হোসেন, প্রধান শিক্ষক সমরেন্দ্র রায়, সহকারী শিক্ষক আব্দূল হক, সহকারী শিক্ষক অনিতা রাণী মজুমদার, সহকারী শিক্ষক তানজিনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক রোকসানা পারভীন ও সহকারী শিক্ষক রায়হানা বেগম-পূর্বভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সভাপতির বক্তব্যে দীপক চন্দ্র দাস বলেন ডেঙ্গু, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দান, শিশু ও নারীর অধিকার, শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্যোগকালীন নারী- শিশুর সচেতনতা, জেণ্ডার সমতা ও নিরাপদ মাতৃত্ব ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
উক্ত উঠান বৈঠকে বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ। অনুষ্ঠানে শিক্ষকবৃন্দ ও আগত শ্রোতা প্রায় তিন শতাধিক উপস্থিত ছিলেন।