স্পোর্টস ডেস্ক
টানা দ্বিতীয় জয়ে সুপার সিক্স পর্ব নিশ্চিত করল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আরিফুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল তারা।
এরপর বল হাতে দারুণ অবদান রাখলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও অন্য বোলাররা। আর তাতেই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের যুবারা।
২০২৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ ১২১ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্লুমফন্টেইনে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯১ রান সংগ্রহ করে তারা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রকে ১৭০ রানেই অলআউট করে দেন বাংলাদেশের বোলাররা।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য স্বস্তির ছিল না। দলীয় ২৯ রানেই ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিকের (১৩) উইকেট হারায় তারা। এরপর অবশ্য আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি লড়াই চালিয়ে চান চৌধুরী মো. রিজওয়ানকে নিয়ে। তাদের জুটি বড় হওয়ার আগেই অবশ্য বিদায় নেন শিবলি (২৭)।
শিবলির বিদায়ের পর রিজওয়ান ও আরিফুল মিলে ভালো জুটি গড়েন। সেই জুটিও ভাগে দলীয় ১০০-এর আগেই। ৪০ বলে ৩৫ রানের ইনিংস আসে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। তবে এরপর বিপদ হতে দেননি আরিফুল ও আহরান। দুজনের ১২২ রানের জুটিই বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয়।
আহরার ফেরেন ৪৯ বলে ৪৪ রান করে। আর আরিফ খেলেন ১০৩ বলে ৯ চারে সাজানো ১০৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে। এছাড়া লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি খেলেন ১৭ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
বল হাতে যুক্তরাষ্ট্রের বোলার আর্য গার্গ ৩টি এবং আরিন নাদকার্দি নেন ২টি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র সুবিধা করতে পারেনি শুরু থেকেই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। ওপেনার প্রান্নাভ ছেত্তিপালায়াম ও উৎকর্ষ শ্রীবাস্তব ছাড়া বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেননি দলটির অন্য ব্যাটাররা। প্রান্নাভ ৫৭ রান করতে খেলে ফেলেন ৯০ বল। আর ৪৯ বলে ৩৭ রান করেন উৎকর্ষ। কিন্তু আর কেউ তাদের সঙ্গ দিতে না পারায় বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
বল হাতে বাংলাদেশ দলের রাব্বি ১০ ওভারে ৩১ রান খরচে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন, শেখ পারভেজ জীবন, রাফি উজ্জামান রাফি, এবং আরিফুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
সকাল থেকে ছিল বৃষ্টি। মাঝে রোদ উঁকি দিয়ে গেলেও মেঘ কাটলো না প্রায় কখনোই।
শেষ বিকেলে আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হলো ঘণ্টাখানেক আগে। এর মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের পাঁচ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। পরে অবশ্য নিজেরাও হারিয়েছে দুই উইকেট।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মাঠে নামে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে কিউইরা করে ১৮০ রান। এরপর তৃতীয় দিনশেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করেছে স্বাগতিকরা।
পুরো একদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর মাঠ না শুকানোয় তৃতীয় দিনেও এক সেশন খেলা হয়নি। এরপর দুই স্পিনারকে দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। গ্লেন ফিলিপস আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন ড্যারিল মিচেল।
জুটি ভাঙতে মেহেদী হাসান মিরাজকে সরিয়ে নাঈম হাসানকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, সফলও হন তিনি। অবশ্য তাতে বড় ভূমিকা আছে মেহেদী হাসান মিরাজের। মিড অফ থেকে দৌড়ে এসে লং অনে ক্যাচ নেন তিনি। ৩৯ বলে ১৮ রান করে ফিরতে হয় মিচেলকে।
এই জুটি ভাঙার পরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং থামাননি ফিলিপস। তবে পরের ওভারে এসে আরও এক উইকেট এনে দেন নাঈম। ৭ বলে ১ রান করে মিচেল স্যান্টনার এবার ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো শান্তর হাতে।
এক প্রান্তে উইকেট গেলেও থামানো যাচ্ছিল না ফিলিপসকে। এবার শান্ত বোলিংয়ে আনেন একাদশে থাকা একমাত্র পেসার শরিফুল ইসলাম। তার বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন ২৮ বলে ২০ রান করা কাইল জেমিসন। ফিলিপসকেও পরে ফেরান শরিফুল। জেমিসনের মতো বলই তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। ৯টি চার ও ৪টি ছক্কার ইনিংসে ৭২ বলে ৮৭ রান করেন তিনি।
পরের ওভারের প্রথম বলে সাউদিকে আউট করে নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করেন তাইজুল। সবমিলিয়ে ১৬ ওভার এক বল হাত ঘুরিয়ে ৬৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। তিন উইকেট পান মিরাজও, নাঈম হাসান ও শরিফুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় বলেই উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ২ বলে ২ রান করে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। এজাজ প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ নেন মিচেল।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে গিয়ে পেসার আনে স্পিনার দিয়ে শুরু করা নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটটা নেন সাউদি নিজেই। ২৪ বলে ১৫ রান করে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান। তিনি আউট হওয়ার পর আর একটি বলই হয়। এরপর আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ৪টা ৯ মিনিটে দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। ওপেনার জাকির হাসান ১৬ ও মুমিনুল হক শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩ সালে ‘মুজিব’ সিনেমা দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন ঢালিউড অভিনেতা আরিফিন শুভ। যৌথ প্রযোজনার এই সিনেমায় তিনি বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করে পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন মাত্র এক টাকা। পরে জানা যায়, রাজউকের ১০ কাঠার একটি প্লট পেয়েছেন আরিফিন শুভ। গত বছরের ২৭ নভেম্বর রাজউকের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এবার সেই প্লট হারাতে চলেছেন শুভ।
হাসিনা সরকারের বিভিন্ন সময়ে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া প্লট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে আরিফিন শুভকে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া রাজউকের প্লটটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আরিফিন শুভর সঙ্গে সিনেমাটির প্রযোজক লিটন হায়দারের প্লটও বাতিল হচ্ছে।
আরিফিন শুভর প্লট বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার রাজউকের চেয়ারম্যান মে. জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। তবে কী পরিমাণ প্লট বাতিল হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মূলত যেগুলো রেজিস্ট্রেশন হয় নাই, এমন শতাধিক প্লটের তালিকা তৈরি করা হয়েছে; যা বোর্ড সভায় উপস্থাপন করে বরাদ্দ বাতিল করা হবে।’
রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প থেকে শুভকে ১০ কাঠা আর প্রযোজক লিটন হায়দারকে ৩ কাঠা আয়তনের একটি প্লট গত বছরের ২৭ নভেম্বরে রাজউকের বোর্ড সভায় বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এ প্লটের বিপরীতে শুভ সরকার-নির্ধারিত টাকা জমা দিয়ে একটি চুক্তিপত্রও গ্রহণ করেন। কিন্তু সময় স্বল্পতায় তিনি এ প্লটের রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করে নিতে পারেননি। এরই মধ্যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শুভর প্লটসহ রাজনৈতিক বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া প্লটগুলো নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আরিফিন শুভ ও লিটন হায়দারের প্লট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক।
অনলাইন ডেস্ক :
শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৩ রানে ৩ উইকেট। জয় পেতে তখনও ৫৪ বলে ৫২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। এমন উইকেটে খুব একটা সহজ নয় এই কাজ। কেননা, খানিক আগেই শেষ ৩৬ বলে মোটে ২৪ রান তুলতে পেরেছিল লংকানরা। তাই শঙ্কা ছিলই। তবে সেই শঙ্কা দূর করার দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিলেন তাওহীদ হৃদয়। ইনিংসের ১২তম ওভারে লংকান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্কাকে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকালেন পরপর। চতুর্থ বলেই একই কাজ করতে গিয়ে বল মিস করলেন হৃদয়। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরতে হলো তাকে। তবে ফেরার আগে ঠিকই ২০ বলে ৪০ রান করে দিয়ে গেছেন এমন উইকেটে। তাতেই জয়ের সুবাস পেয়ে যায় বাংলাদেশ।লিটন ও সাকিব দ্রুত ফিরলে খানিকটা শঙ্কাও জাগে হারের।
তবে সেই শঙ্কা আরও ঝেঁকে বসে মাহমুদউল্লাহকে রেখে পরপর রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে। মনে হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহ সুযোগ পাবেন তো শেষ পর্যন্ত। অবশেষে সুযোগটা পান তিনি। দাসুন শানাকার ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। দূর হয় সব শঙ্কা। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ৬ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে। তাতে জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় নাজমুল শান্তর দলের।
এদিন বাংলাদেশের জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়ে গিয়েছিল বোলাররাই। ১৪ ওভারে দলীয় শত রান করা লংকানদের শেষ ৬ ওভারে আটকে দিয়েছিল মাত্র ২৪ রানে। তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৫ রানের। টি টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটেই যা অতি মামুলি। তবে সেই টার্গেটটাই কঠিন করে তুলেছিল বাংলাদেশে টপ অর্ডার ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লের আগেই ২৮ রানে খুইয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। তাতে খানিকটা শঙ্কাও উঁকি দিচ্ছিল হারের। তবে সেই শঙ্কা দায়িত্ব নিয়েই দূর করে গেছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে জমা করেছেন ৬৩ রান।
এরপর অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে হাসারাঙ্গার বলে ২০ বলে ৪০ রান করে ফিরতে হয় হৃদয়কে। এরপর লিটন ফিরে যান ৩৮ বলে ৩৬ রান করে। খানকি পর ১৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিবও। তাতেই শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশের জয়। এরপর তুষারার পরপর দুই বলে রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে সেই শঙ্কা আরও বাড়ে। তবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। খেলেছেন ১৩ বলে ১৬ রানের হার না মানা এক ইনিংস।
এর আগে, টসে জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন দলটির ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। যদিও অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেট পড়ছিল। এরপরও বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে ফেলেছিল শ্রীলংকা। ১৪ ওভারেই ছুঁয়েছিল দলীয় শত রান।
তবে নিশাঙ্কা ২৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরলে বাকিরা হাঁটতে পারেনি তার দেখানো পথে। মাঝে উইকেটে ধনঞ্জয়া ও আসালাঙ্কা জমে উঠার চেষ্টা চালিয়েছেন মাত্র। তাতে অবশ্য খানিকটা ভয় ঝেঁকে বসেছিল বাংলাদেশের। তবে সেই ভয় দূর করেছেন রিশাদ। ১৬তম ওভারে এসে পরপর ফিরিয়েছেন আসালাঙ্কা ও হাসারাঙ্কাকে। তাতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্নটা শেষ শ্রীলংকার। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত লংকানদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ ও রিশাদ। মুস্তাফিজ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান খরচায় তুলেছেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে ২২ রান খরচায় রিশাদের শিকার ৩ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্ক আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলো । এবারের ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তারা। এবারের ইউরোর ম্যাচ গুলোতে খালাপ খেললেও পরের দিকে বেশ ভালো করে তারা।
গতকাল রাতে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার রাতে তারা ২-১ গোলে জিতে গেছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তথাকথিত বড় দলের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণ প্রতি-আক্রমণ হয় অস্ট্রিয়া বনাম তুরস্ক ম্যাচ।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডে এগিয়ে যায় তুরস্ক। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ায় তারা। দু’টি গোলই করেন দলের ডিফেন্ডার মেরি ডেমিরাল। তবে লড়াই ছাড়েনি অস্ট্রিয়া। এক গোল শোধ করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় গোল আর করতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তুরস্কের মরিয়া ডিফেন্স গোলের মুখ খুলতে দেয়নি। ৯০ মিনিটের টান টান খেলা শেষে হার মানে অস্ট্রিয়া। আট নম্বর তথা শেষ দল হিসেবে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় তুরস্ক। শেষ আটে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় অস্ট্রিয়াকে ধাক্কা দেয় তুরস্ক। নিরীহ কর্নার বার করতে গিয়ে গোলমাল করে ফেলেন অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডারেরা। বাউমগার্টনার ও পশের ভুল বোঝাবুঝির ফায়দা তোলে তুরস্ক। গোলরক্ষক পেন্টজ কোনো রকমে বল বের করলেও ফিরতি বলে গোল করে তুরস্ককে এগিয়ে দেন মেরি ডেমিরাল। ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল করলেন তিনি।
পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় অস্ট্রিয়া। বাউমগার্টনার পায়ে বল লাগাতে পারেননি। পোস্টের পাস দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। খাতায়-কলমে খুব বড় দল না হলেও দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। অস্ট্রিয়া থ্রু বলের উপর বেশি নির্ভর করছিল। তুরস্কের আক্রমণ হচ্ছিল প্রান্ত ধরে।
দু’দলই বেশ কয়েকবার বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়লেও গোল করতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধ জুড়ে ওপেন ফুটবল হয়েছে। দু’দলই গোল করার চেষ্টা করেছে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষে একটি ভাল সুযোগ পান সাবিৎজার। গোল করতে পারেননি তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তুরস্ক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কয়েকটি পরিবর্তন করেন অস্ট্রিয়ার কোচ। ফলে খেলার ধরন বদলে যায় তাদের। থ্রু বলের বদলে প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ পান আরনাউটোভিচ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার গায়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটেই লাইমার একক দক্ষতায় বক্সে ঢোকেন। তার বাঁ পায়ের শট পোস্টের পাস দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিট আবার সুযোগ নষ্ট অস্ট্রিয়ার। এবার বক্সে ঢুকে শট মারেন পশ। কিন্তু ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল বেরিয়ে যায়। একের পর এক আক্রমণে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় তুরস্কের রক্ষণ।
এত সুযোগ পেয়েও গোলের মুখ খুলতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তার খেসারত দিতে হয় তাদের। ধাক্কা সামলে ১০ মিনিট পর থেকে খেলায় ফিরতে শুরু করে তুরস্ক। ৫৯ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় তারা। সেই কর্নার থেকে হেডে আবার গোল করেন ডেমিরাল। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে লাফিয়ে গোল করেন তিনি। সেট পিস কাজে লাগালে চাপের মাঝেও কিভাবে খেলায় ফেরা যায় তা দেখাল তুরস্ক।
দু’গোলে পিছিয়ে পড়ায় পুরোপুরি ওপেন ফুটবল খেলতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। হতাশ হয়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে যে ফুটবল খেলছিল সেটাই খেলতে থাকে। আক্রমণাত্মক ফুটবল কাজে দেয়। ৬৬ মিনিটের মাথায় এক গোল শোধ করেন মাইকেল গ্রেগরিচ। কর্নার থেকে সতীর্থের করা হেড কাজে লাগিয়ে গোল করেন তিনি। দু’মিনিট পরে আবার বক্সে অরক্ষিত জায়গা থেকে হেড করেন গ্রেগরিচ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে যায়।
গোল করে ইংল্যান্ডের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা বেলিংহ্যামকে বাঁচাতে আসরে নামতে হলো পুলিশকে দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরো খেলা তুরস্কের বক্সের বাইরে হয়। তুরস্কের সবাই রক্ষণে নেমে যায়। ফলে অস্ট্রিয়ার পায়েই বলের সিংহভাগ দখল ছিল। দুই প্রান্ত ধরে বার বার আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন সাবিৎজারেরা। কিন্তু তুরস্কের মরিয়া রক্ষণ গোলের মুখ খুলতে দিচ্ছিল না। বক্সের বাইরে পায়ের জঙ্গলের মাঝখান থেকে গোল করতে পারছিল না অস্ট্রিয়া।
যত সময় গড়াচ্ছিল, তত ছটফট করছিলেন অস্ট্রিয়ার ফুটবলারেরা। সবই করছিলেন, কিন্তু গোলটাই খালি করতে পারছিলেন না তারা। খেলার শেষ মিনিটে বাউমগার্টনারের হেড কোনো রকমে বাঁচান গুনক। নইলে খেলা গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে হেরে বিদায় নিতে হো অস্ট্রিয়াকে। ইউরোর শেষ আটে জায়গা করে নেয় তুরস্ক।
চলারপথে রিপোর্ট :
চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশানের করা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকালেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। সঙ্গে সঙ্গে হাজারো দর্শকের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে খেলার মাঠ। ধারাভাষ্যকারসহ উপস্থিত দর্শকরা বলছিলেন, ‘এই তো আমাদের চিরচেনা সেই আশরাফুল। এমন আশরাফুলকে আমরা আবারো মাঠে দেখতে চাই।’
এবার রোশানের ব্যাটিংয়ের পালা। আশরাফুলের করা প্রথম দুই বল ব্যাটে স্পর্শ করতে পারেননি রোশান। শেষ পর্যন্ত যে বলটা স্পর্শ হলো সেটা সীমানা পেরিয়ে মাঠের বাইরে। সঙ্গে সঙ্গে দর্শকের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে খেলার মাঠ।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আর দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রোশানের এমন ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ মাঠে। ৭ মার্চ মঙ্গলবার একটি ক্রিকেট ফাইনাল ম্যাচে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন এই দুই তারকা। খেলার ইনিংস বিরতিতে মাঠে নামেন তারা। এই দুই তারকার আসার খবরে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হন কলেজ মাঠে।
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্রিকেট গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্টের ফাইনালে দক্ষিণ ইউনিয়ন দলকে তিন উইকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় পৌরসভার ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড দল। ২০ ওভারের ম্যাচটি ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। মাত্র এক বল হাতে রেখে জয় পায় পৌরসভার দল।
আশরাফুল তার বক্তব্যে বলেন, আমাদেরকে স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন দেখেছি বলেই আমরা আইসিসি কাপ জিতেছি। এখন নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলতে পারি। স্থানীয়ভাবেও অনেক ভালো ক্রিকেটার দেখা যায়। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে তাদেরকে তুলে আনতে হবে।
রোশান বলেন, ক্রিকেট খেলা ছিল আমার স্বপ্ন। ক্রিকেট নিয়ে আমি ভালো কিছু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একসময় নিজেকে অন্যদিকে গড়তে শুরু করি। নিজ এলাকার মাঠে এমন সুন্দর আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগছে। এটা অব্যাহত রাখতে হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক নির্জন মোশাররফ, সদস্যসচিব মো. শরীফুল ইসলাম প্রমুখ। খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন বিশ্বজিৎ পাল বাবু ও সোলায়মান ইসমাইল রুমেল।
নির্জন মোশাররফ ও মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, আখাউড়া ক্রীড়াঙ্গন অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ক্রিকেটে বড় কোনো আয়োজন দেখা যায় না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিয়মিত টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা। এখান থেকে যেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হয় সেই চেষ্টা করা।