চলারপথে রিপোর্ট :
শীতের সকালের কোয়াশা তখনও কাটেনি। পুব আকাশে সূর্য উঁকি দিচ্ছে একটু একটু করে। এরই মাঝে নদীর পাড়ে অস্থায়ী চুলা করে বড় বড় ডেকচি পেতে শিন্নি রান্নার আয়োজন শুরু হয়। বাবুর্চির সহকারিরা চাল ধুয়ে প্রস্তুত করছে। আর বাচুর্চি চুলায় আগুন ধরানোর চেষ্টা করছে। পাশে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন আয়োজকদের দুজন। সময় বাড়ার সাথে সাথে নদীর পাড়ে মানুষের সমাগম বাড়তে থাকে। সবার চোখে মুখে প্রশান্তি ও আনন্দ উচ্ছাস। আনন্দ চিত্তে সবাই যোগ দিচ্ছেন শিন্নি রান্নায়। যে যেভাবে পারছেন সহযোগিতা করছেন। আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার সকালে আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর গ্রামবাসীর শতবছরের ঐতিহ্যবাহী গাঁওয়ালা শিন্নি উৎসবে এমন আয়োজন দেখা যায়। কল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফের রওয়াজার পশ্চিমে নদীর পাড়ে এ আয়োজন করা হয়।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, রোগব্যাধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণ পেতে মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের আশায় দীর্ঘ দিন ধরে খড়মপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে শিন্নি উৎসব করা হয়। রান্না করা শিন্নি গরীব দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয় এবং গ্রামের বাড়ি বাড়ি নেওয়া হয়। ছেলে-বুড়ো সবাই মনো বাসনায় সেই মিষ্টি খায়। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকে চাল, দুধ, গুড়, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সংগ্রহ করে শিন্নি রান্না করা হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবছর ২১০ কেজি চালের শিন্নি রান্না করা হয়েছে।
শনিবার সকালে এ উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ পাঠ করা হয়। দোয়া পরিচালনা করে খড়মপুর মাজার মসজিদের খতীব মাওঃ লুৎফুর রহান খান খাদেম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খড়মপুর মাজার কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর কাজী লিটন খাদেম, মাজার কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোবাশে^র খাদেম শিরু, মাজার কমিটির সদস্য আবুল হাসান খান খাদেম, রুস্তম কামরান খাদেম, মোজাম্মেল হক খাদেম, রুজভেল্ট খাদেম, সাকির খাদেম, সাবেক সদস্য সামছুর রহমান খাদেম, শাহ আলম খাদেম, জুটন খাদেম, সফিক খাদেম প্রমুখ।
আয়োজক কাজী লিটন খাদেম বলেন, চাল, গুড়, দুধ, নারিকেল, মধুসহ ১৭টি পদ দিয়ে ২১ ডেকচিতে ২১০ কেজি চালের শিন্নি রান্না করা হয়েছে। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা, সমৃদ্ধি এবং রোগব্যাধি থেকে মুক্তির আশায় আল্লাহর রহমত কামনায় শিন্নি করা হয়ে থাকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এবার উপজেলার ৫৩৩ জন কৃষকের কাছ থেকে মোট ১৬৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে। প্রতি কেজি ধানের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ টাকা। একজন কৃষক তিন মন থেকে শুরু করে তিনটন পর্যন্ত ধান সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
এ উপলক্ষে সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সজীব কাউসারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুন নাহার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, চলতি মৌসুমে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। উদ্বোধনী দিনে একজন কৃষক ধান দিয়েছেন।
ধান দিতে আসা কৃষক উপজেলার দ্বিজয়পুর গ্রামের তাহের মিয়া বলেন, ‘বাড়িতে বিক্রি করলে লোকসান হয়। বেপারিরা ১১০০ টাকা মন দরের বেশি নিতে চাননা। সরকারের এ উদ্যোগের ফলে তিনি ধান বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা নির্বাচিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে ৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, তিনজনকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান, তিনজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকসহ আরো কিছু ক্যাটাগরিতে সেরার স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন।
স্কুল পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েছেন কাজী মোঃ তারেক। তিনি উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ আলহাজ্ব শাহ্আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
কাজী মোঃ তারেক উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক। তিনি এম.এ, এম.এড, ডিগ্রীর পাশাপাশি আইন বিষয়ে এল.এল.বি, এল.এল.এম এবং এস.এইচ.আর.এল ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, যোগ্যতা ও সুনামের সাথে বিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়া সত্বেও বিদ্যালয়ের ফলাফল ও অন্যান্য কার্যক্রম সন্তোষজনক।
কলেজ পর্যায়ে আখাউড়া ক্যামব্রিয়ান কলেজের অধ্যক্ষ গৌবিন্দ চন্দ্র রায় ও মাদ্রাসা পর্যায়ে টনকি ছাদেকুল উলুম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কাইউম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েছেন।
তাছাড়া শ্রেষ্ঠ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখাউড়া ক্যামব্রিয়ান কলেজ (কলেজ পর্যায়), নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (স্কুল পর্যায়) ও টনকি ছাদেকুল উলুম আলিম মাদ্রাসাকে (মাদ্রাসা পর্যায়) নির্বাচিত করা হয়।
কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের প্রভাষক (ইংরেজি) ফয়জুন্নেসা লিজা। স্কুল পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ খান ও মাদ্রাসা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হয়েছেন টনকি ছাদেকুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (আরবি) মো. রেজাউল কবির।
শ্রেষ্ঠ স্কাউট শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সেলিম। শ্রেষ্ঠ গার্ল গাইড শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী সাফিয়া খাতুন।
শ্রেষ্ঠ রোভার শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের প্রভাষক (রসায়ন) এ জেড এম শামসুল আরেফিন। শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হিসেবে দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অদ্বীপ্ত চক্রবর্তী, টনকি ছাদেকুল উলুম আলিম মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার ও আখাউড়া ক্যামব্রিয়ান কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলিমা খানমকে নির্বাচিত করা হয়।
শ্রেষ্ঠ স্কাউট নির্বাচিত হয়েছেন দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইমতিয়াজুর রহমান। শ্রেষ্ঠ রোভার নির্বাচিত হয়েছেন আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইমন।
শ্রেষ্ঠ স্কাউট গ্রুপ নির্বাচিত হয়েছেন মো. ইমতিয়াজুর রহমান ও তার দল। তারা দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা বলেন, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আবেদনের পরিপেক্ষিতে তাদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকির খাঁ (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ কামরুজ্জামান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা তাকে আটক করে। আটক জাকির খাঁ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আমানত খাঁর পুত্র। সে ৭ বছর ধরে পলাতক ছিল।
পুলিশ ও ভূক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সনের আগস্ট মাসের ৬ তারিখ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয় শরীফ খাঁ (৫০)। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে একই পরিবারের ৪জনসহ ৫জনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো আমানত খাঁ ও তার তিন ছেলে জাকির খাঁ, গাজি খাঁ, মাহবুব খাঁ এবং আমান খাঁর ভাতিজা আমীর খাঁ। মামলা হওয়ার থেকেই জাকির খাঁ ও তার দুই ভাই পলাতক ছিল।
বিগত ২০২২ সনের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই হত্যা মামলায় জাকির খাঁসহ তার দুই ভাইয়ের মৃত্যুদন্ড এবং তাদের পিতা আমানত খাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। আমানত খাঁ বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে সাজা ভোগ করছে। এই মামলার আরেক আসামী আমির খাঁ ২০১৮ সালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শরীফ খার ছেলে মোঃ রাসেল খা বলেন, আসামী আটক হওয়ায় আমরা খুশি। এজন্য প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত আমার পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়। তাহলেই আমরা শান্তি পাবো।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সনে উপজেলার চানপুর গ্রামে একটি হত্যা হয়। যার প্রেক্ষিতে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী ৭ বছর পলাতক জাকির খাকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। সে ছদ্মবেশে অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করে অটো চালাতো। শনিবার দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপর দুই আসামী পলাতক রয়েছে। শোনা যাচ্ছে তারা বিদেশে অবস্থান করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রেলওয়ের মালামালসহ মো. ইয়াছিন মিয়া (২৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ৩নং প্লাটফরম থেকে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আজজ ২৩ জুলাই বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পাঠানো হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই রেলের মালামাল চুরি হচ্ছে এমন অভিযোগ পাচ্ছিলাম। বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫১ টি সিগন্যাল জাম্পার, দু’টি সিগন্যাল বক্স কভার, দু’টি সিগন্যাল কানেক্টিং ক্যাবল, তিনটি ক্যাবল খন্ড, ২০ ফুট লম্বা তিনটি ক্যাবলসহ মো. ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের নতুনবাজার এলাকার মৃত হাছু মিয়ার ছেলে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা মালামালের দাম আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা-আখাউড়ার দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি’র পিতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মরহুম অ্যাড. সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া এঁর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে আলোচনা সভা ও মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন বাবুল, মোঃ সেলিম ভূইয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
এ সময় বক্তরা বলেন, সিরাজুল হক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সহচর ছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রধান কৌসুলি। বক্তারা সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়ার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।