চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মাদকের বিস্তৃতি বৃদ্ধি পাঁচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের এমন বক্তব্য স্বীকার করেছেন ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম। ওসি বলেন পুলিশের একার পক্ষে মাদক প্রতিরোধ অসম্ভব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অভিভাবক ও সুশিল সমাজসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া মাদক প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে নবনির্মিত সরাইল উপজেলা কমপ্লেক্সে ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সভায় ওসি এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
বক্তব্যে সরাইল সদরের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, অরূয়াইলের মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কালীকচ্ছের মো. ছায়েদ হোসেন, শাহবাজপুরের খায়রূল হুদা চৌধুরী বাদল, নোয়াগাঁও-এর মো. মনসুর আহমেদ চুন্টার মো. হুমায়ুন কবিরসহ অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান সম্প্রতি সরাইলে উল্লেখযোগ্য হারে মাদকের বিস্তৃতি নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেন।
সভায় উপস্থিত সুশিল সমাজের লোকজনও মাদক প্রতিরোধে পুলিশের সহায়তা কামনা করেন।
এ ছাড়া অনেকেই সরাইলের কৃষি জমির মাটি বিক্রি ও রাতের অন্ধকারে কেটে জেলা শহরে ও বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনায় আসে অরুয়াইল সদরে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি খেকুদের সরকারী জায়গা, সালিসের নামে টুপাইস কামানো, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত নদীর ঘাটলা দখল ও দুই পাড়ে তিতাস নদী দখলের বিষয়টি।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম সম্প্রতি মাদকের বিস্তৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে? বিদ্যালয়ে না গিয়ে অন্য কোথাও যাচ্ছে কিনা? কি করছে? পড়ালেখা ঠিকঠাক মত করছে কিনা? এসব খোঁজখবর রাখার দায়িত্ব আপনার। এসব না করে মাদক প্রতিরোধ বা আসক্ত ব্যক্তির বিচারের দায়িত্ব শুধু পুলিশের উপর ছেড়ে দিলে চলবে না। কারণ পুলিশের একার পক্ষে মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আপনার এলাকায় মাদকাসক্ত ব্যবসায়ি, মাটি ও ভূমি খেঁকুদের চিহ্নিত করে গ্রাম আদালতের আওতায় আনুন। সহযোগিতার জন্য আমাদেরকে (পুলিশকে) ডাকুন। আপনাদেরকে এসব কাজে সহযোগিতা করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া মাদকসহ অন্যান্য অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাকচাপায় ইতি রানী দাস (১৮) নামে এক তরুণী নিহত হয়েছেন। ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের ধরন্তি নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইতি রানী দাস নাসিরনগর উপজেলার নাসিরনগর ইউনিয়নের রামচরণ দাসের মেয়ে। এই ঘটনায় মামলা করেছে পরিবার।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, সকালে সিএনজিযোগে ইতি রানী দাসসহ তার পরিবারের সদস্যরা নাসিরনগরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ধরন্তি নামক এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক সিএনজিটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়৷ এই ঘটনায় ইতি মারা যান।
তিনি আরো জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নদী ও প্রকৃতির সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ সরাইল উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার দুপুরে তরী বাংলাদেশ সরাইল শাখার উদ্যোগে সোমবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার নিজ দপ্তরের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই লিফলেট বিতরণী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুকের পরিচালক মোমিন হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোতাহার হোসেন, লেখক ও গবেষক সঞ্জিব কুমার দেবনাথ, তরী সরাইল শাখার আহবায়ক ও সরাইল মহিলা কলেজের আহবায়ক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সদস্য সচিব শাহগীর মৃধা, সমাজসেবক শফিকুল ইসলাম সেলু, উদীচী সরাইল শাখার সভাপতি মোজাম্মেল পাঠান, সাংবাদিক জুলকার নাইন, তরীর সদস্য মোছা: নাজমা বেগম, মো: জুনায়েদ আহমেদ, শাহীন শাহ, সৈয়দ নাদির হোসেন, আনিসুর রহমান, আব্বাস উদ্দিন, শাকিল আহমেদ, দীপক কুমার দেবনাথ, মজিদ বক্স, মো: পারভেজ প্রমুখ। এ সময় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। পরে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
“দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়বো স্মার্ট সোনার বাংলা গড়বো”-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ ১০ মার্চ রবিবার সকালে সরাইল উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।
দুর্যোগ ও অগ্নিকান্ডের মত ঘটনায় কিভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায় এমন সব বিষয়ে ভূমিকম্প অগ্নিকান্ড বিষয়ক গুরূত্বপূর্ণ মহড়া প্রদর্শন করেছেন স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। মহড়া শেষে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, সরাইল উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক সুবল চন্দ্র দেবনাথ, লিডার মতিউর রহমান ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কুখ্যাত ডাকাত শফিকুল ইসলাম (৩৫) কে ১টি সুইচ গিয়ার যুক্ত স্টীলের চায়না ধারালো চাকুসহ গ্রেফতার করেছে সরাইল থানার পুলিশ।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে সরাইল থানা থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম। এর আগে রবিবার রাত ১০টার দিকে সরাইল নাসিরনগর লাখাই আঞ্চলিক সড়কের ধরন্তি নামক এলাকায় আজম ২ নং ব্রীকস ফিল্ডের সামনে সড়কে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শফিকুল ইসলাম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী গ্রামের আঃ রশিদ মিয়া ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরাইল থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এসআই (নিঃ) নুরুন নবী, এএসআই (নিঃ) দিলিপ কুমার নাথ সঙ্গীয় ফোর্সসহ রবিবার রাত ১০টার দিকে সরাইল নাসিরনগর লাখাই আঞ্জলিক সড়কের ধরন্তী নামক এলাকায় আজম ২ নং ব্রীকস ফিল্ডের সামনে রাস্তার উপর হতে কুখ্যাত ডাকাত শফিকুল ইসলামকে লুঙ্গীর কোমরের ডান পার্শ্বে খোচার মধ্যে ১টি সুইচ গিয়ার যুক্ত স্টীলের চায়না ধারালো চাকু, যাহা খোলা অবস্থায় লম্বা ৯ ইঞ্চিসহ আটক করা হয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম জানান, চাকুসহ কখ্যাত ডাকাত শফিকুলকে গ্রেফতার করা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গত ৫ তারিখ ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি, পুলিশ আক্রান্ত মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল বিশ্বরোডে মোড়ে নিত্যদিনের যানযট মুক্ত করতে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ ইট দিয়ে ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী করেছে খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ। এতে নিত্যদিনের অল্প সময়ের জন্য যানযটও অনেকাংশে নিরসন হয়েছে।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে অংশে বড় বড় গর্তে ইটের ভাঙ্গা সুরকি ও ইট দিয়ে ভরাট কাজ শুরু করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মারগুব তৌহিদ, এস আই মোঃ সারোয়োর হোসেন, সার্জেন্ট সুজা ইসলাম, এএসআই মো: শাহিন মিয়া, এটিএসআই মৃণাল কান্তি দেব প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ের ওপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন যাতায়াত করে। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর জেলায় নির্মাণাধীন ফোরলেন মহাসড়কের প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সড়কে খানাখন্দে ভরপুরে কুমিল্লা-সিলেট ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ। এতে যানবাহন চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মারগুব তৌহিদ বলেন, নির্মাণাধীন ফোরলেন মহাসড়কের প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার কারণে বৃষ্টি পানি জমে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে বিশ্বরোড মোড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানযট। আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল জায়গায় যোগাযোগ করে সংস্কারের জন্য বলেছি। রাস্তার সংস্কার কাজ দেরি হচ্ছে বলে হাইওয়ে থানা পুলিশ যানজট নিরসনসহ দুর্ঘটনা রোধে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রুত মহাসড়কে থাকা বিভিন্ন খানাখন্দ ও গর্তগুলো সংস্কারে উদ্যোগ নিয়ে যাত্রাপথকে আরও নিরাপদ করবে।