চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩ বছর বয়সি শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করতে হবে। ১০ বছর পর নাঈম হাসান নাহিদ ডিপোজিটের টাকা তুলতে পারবে।
রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, শিশুটি এইচএসসি পাশ না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছে। ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তামজিদ হাসান। তারা বিনা পয়সায় শিশুটির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন বলে জানান।
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকার নুর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় শিশু নাঈমের ডান হাত মেশিনে ঢুকে যায়। এরপর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় তার হাত।
নাঈমের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার দিন ওয়ার্কশপের ম্যানেজার রাজু আহমেদ তার ছেলেকে জোর করে মেশিন চালাতে দিলে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর নাঈমের বাবা দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন। এরপর চলতি বছরের গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট নাঈমের এক হাত হারানোর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুল জারি করে আদেশ দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র শবেবরাত আজ। ফারসি ভাষা থেকে আসা শব্দ ‘শব’ মানে রাত আর ‘বরাত’ মানে মুক্তি। অর্থাৎ শবেবরাত অর্থ মুক্তির রাত। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল হন। পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, কুরআন তিলাওয়াত করেন ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। রাতটি উপলক্ষে দিনে রোজা পালন করেন অনেকে; প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করেন খাবার। হাদিস শরিফে এ রাতকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা ‘শাবান মাসের মধ্য রজনী’। এ রাতে বন্দেগির কারণে পুণ্য ও বরকত লাভের নানা বর্ণনা হাদিস শরিফে এসেছে। একে তাই কেউ কেউ ‘ভাগ্যরজনী’ অভিধাও দিয়ে থাকেন। এ কারণে পবিত্র শবেবরাতকে কেন্দ্র করে বাড়িতে বাড়িতে হরেকরকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ উপাদেয় খাবার তৈরির প্রচলন রয়েছে। এসব খাবার আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যার পর অনেকে কবরস্থানে যান আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করতে। পবিত্র শবেবরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। তাই শবেবরাত থেকেই আসন্ন পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আরবি দিনপঞ্জিকা অনুসারে, শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম বিভাগীয় শান্তি সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের প্রস্তুতিমূলক সভা আজ ১০ জুন শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় ডাকবাংলো মিলনায়তনে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ রায়হান আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ভানু চন্দ্র দেবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিতু মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মোঃ নাজিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আলী আজম, নাসিরনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক অরুণ জ্যোতি ভট্রার্চায, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নির্মল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় শান্তি সমাবেশ সফল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আজ ২০ আগস্ট রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশনের স্টেশন সুপার এস এম নাজমুল হক খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি ময়মনসিংহ স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরে ত্রিশালের ফাতেমা নগর স্টেশন অতিক্রম করে কিছু দূর এগোতেই রাত পৌনে ৯টার দিকে ট্রেনের ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এর ফলে ময়মনসিংহ জংশনে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়েছে বলে জানান তিনি।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ট্রেনের ৩টি বগি লাইনচ্যুত হলেও কেউ হতাহত হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাভিক হতে অন্তত ৩ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।
ময়মনসিংহ লোকোসেডের ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন বলেন, উদ্ধারকারী ট্রেন নিয়ে রওনা হয়েছি। উদ্ধারকাজ শেষ হতে কত সময় লাগবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্যাস নির্ধারিত চাপে না পাওয়ায় উৎপাদনের মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আশুগঞ্জ সার কারখানা। এতে একদিকে ব্যাহত হচ্ছে ইউরিয়া উৎপাদন, অন্যদিকে মেশিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিতরণকারী সংস্থা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও মিলছে না সমাধান।
কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, সারা দেশে ইরি-বোরো মৌসুম শুরু হওয়ায় সারের চাহিদা বেড়েছে। এ সময় কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হলে ডিলারদের সার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে গ্যাসের গ্রিড লাইনের পাইপে চাপ কম থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ।
কারখানা সূত্র জানায়, কারখানায় সার উৎপাদন এবং বিভিন্ন প্লান্ট পূর্ণ শক্তিতে চালু রাখতে ৪০ থেকে ৪২ বার চাপে (৫৮৮ থেকে ৬১৭ পিএসআই) দৈনিক ৪৮ থেকে ৫২ এমএমসিএফ গ্যাসের প্রয়োজন। কিন্ত ১৭ ডিসেম্বর থেকে গ্যাসের চাপ কখনও কখনও সাড়ে ৩৬ বারের নিচেও নেমে আসে। ফলে চালু কারখানা উৎপাদনের মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র আরো জানা গেছে, ওভারহোলিং কাজ ও কারখানার উৎপাদন বিভাগে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় সাড়ে ৯ মাস ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ ছিল। গ্যাস সরবরাহ পাওয়ায় ১৫ ডিসেম্বর রাত থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়। কিন্ত দুই দিন পর থেকে গ্যাসের চাপ কমতে শুরু করে। কখনও একটু বাড়লেও আবার তা কমতে থাকে। এতে কারখানার অ্যামোনিয়া প্লান্ট সর্বনিম্ন পর্যায়ে চালু রাখা গেলেও ইউরিয়া উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।
বিজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশে গ্যাসের উৎপাদন ও এলএনজি আমদানি কম থাকায় গ্যাসের গ্রিড পাইপ লাইনে চাপ কম।
এ ব্যাপারে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুনীল চন্দ্র দাস বলেন, গ্যাসের চাপ কম থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি বিতরণকারী কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিজিডিসিএলের ডিজিএম (সঞ্চালন) প্রকৌশলী জাহিদুর রেজা বলেন, জাতীয় গ্রিডে বা পাইপ লাইনে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় গ্যাসের চাপও কম।