চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড সামাজিক সম্প্রীতি সংগঠনের উদ্যোগে আজ ৩১ জানুয়ারি বুধবার পাইকপাড়ার স্বর্গীয় ননীগোপাল সাহার বাড়িতে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সহস্রাধিক দরিদ্র ও অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথিছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন ।
সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সোমেশ রঞ্জন রায়ের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন ৪নং ওয়ার্ড সামাজিক সম্প্রীতি সংগঠনের সভাপতি হাজী আবু জাহিদ ।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এডভোকেট লোকমান হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ, সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজান আনসারী, সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সহসভাপতি গৌড় চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মশিউর রহমান লিটন, জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সম্পাদক দীপক চন্দ্র পাল, সহ সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সদস্য ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলায় দেড় হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষকদের মধ্যে এই সার ও বীজ বিতরণ করেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম ভ‚ইয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম ভ‚ইয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে খরিপ-২- ২০২৩-২৪ মৌসুমে রোপা আমন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৫শত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও সার দেওয়া হয়। প্রতি কৃষককে ৫ কেজি রোপা আমন ধানের বীজ, ১০ কেজি এমওপি সার এবং ১০ কেজি ডিএপি সার দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি এক লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হলেন তিনি।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান কেচি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৩৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৫৮৪জন। আসনটির ১৯২ ভোট কেন্দ্রের ১৩৩৯টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কালিসীমা গ্রামের দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়েছে। এসময় উভয়পক্ষের দাঙ্গাবাজরা অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের খানিবাড়ি গোষ্ঠী ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠী একটি পক্ষ এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠী অপর একটি পক্ষ। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়া ও অন্য একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আরজু মিয়া। উভয়পক্ষের সাথে রয়েছে এলাকার বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে মত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শুক্রবার রাতে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এসময় দাঙ্গাবাজরা কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বাড়িঘওে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট করে। দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মামুন (৩৮), সম্রাট (১৬), মনির (৪০), রামিম (২০), সাকিব (২০), বাছির মিয়া (৫১), সোহেল (৪০), তাজিম (১০), সাগর (২৪), আশিক (৩২), রোকসানা (৫০) ও আলম (৩৪) জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাকি আহতরা জেলা শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৪জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।