অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা খানকে শনিবার একটি আদালত সাত বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন। তাঁরা ২০১৮ সালে আইন ভঙ্গ করে বিয়ে করেছিলেন বলে রায় দিয়েছেন আদালত। ইমরান খানের দলের বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জিও নিউজ প্রতিবেদনে বলেছে, রায় ঘোষণার সময় ইমরান খান ও বুশরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কারাগার প্রাঙ্গণে ১৪ ঘণ্টা শুনানি চলার এক দিন পর এদিন সিনিয়র সিভিল জজ কুদরতুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। গতকাল যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় সংরক্ষণ করেছিলেন আদালত।
চলতি সপ্তাহে ৭১ বছর বয়সী ইমরান খানের বিরুদ্ধে এটি তৃতীয় রায়। দেশটিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব রায়ের কারণে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের দায়ে ১০ বছর এবং রাষ্ট্রীয় উপহার বেআইনিভাবে বিক্রি করার দায়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তাঁর প্রতিনিধিরা বলছেন, তিনি তিনটি ক্ষেত্রেই আপিল শুরু করবেন। তবে তাঁর বিভিন্ন সাজা একযোগে চলবে কি না তা অবিলম্বে স্পষ্ট হয়নি।
ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিণ্ডির গ্যারিসন নগরীতে কারাগারে রয়েছেন এবং তাঁর স্ত্রী ইসলামাবাদের নিকটবর্তী পাহাড়ের চূড়ায় তাঁদের বাড়িতে সাজা ভোগ করবেন।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ১০ বছরের জন্য সরকারি পদে অযোগ্যতার সম্মুখীন হয়েছেন।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আদালতে কয়েক ঘণ্টার শুনানির পর, সাক্ষীদের জেরা না করা এবং কোনো যথাযথ প্রক্রিয়ায় না এগোনো আইনের উপহাস। যেভাবে এই বিচারগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাতে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ওপর একটা বিশাল প্রশ্নবোধক চিহ্ন থাকবে। মামলাটি পাকিস্তানের উচ্চ বিচার বিভাগের জন্য একটা পরীক্ষা।’
এআরওয়াই নিউজের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী—প্রত্যেককে পাঁচ লাখ পাকিস্তানি রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুশরার বিরুদ্ধে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার আগেই ইমরান খানকে বিয়ে করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সাবেক ক্রিকেট তারকা প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাত মাস আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে একটি গোপন অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন বুশরাকে।
নির্ধারিত সময় পার হওয়ার আগেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল কি না তা নিয়ে বিতর্ক ছিল। প্রাথমিকভাবে বিয়ের বিষয় অস্বীকার করা হলেও পিটিআই কয়েক সপ্তাহ পর তা নিশ্চিত করে।
ইমরান খানের মিডিয়া উপদেষ্টা জুলফি বুখারি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বলতে পারি বিয়ের একজন সাক্ষী আমি এবং এটি স্পষ্টতই আরেকটি জাল মামলা।’
বুশরা তাঁর প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেকার সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর সংসার করেছেন। ইমরান খান ও বুশারর বিরুদ্ধে মানেকা একটি ফৌজদারি অভিযোগ এনেছিলেন। শনিবার সেই মামলারই রায় হলো।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল সেনাবাহিনীর গাজা ডিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্রিগেডের কমান্ডার হাইম কোহেনের পদত্যাগ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন কোহেন। ২৬ মার্চ বুধবার গাজা ডিভিশনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্রিগেডের কমান্ডার ইন চিফ মেজর জেনারেল ইয়ানিভ আসরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
পদত্যাগ পত্রে ব্রিগেডিয়ার কোহেন বলেছেন, “আমার ব্রিগেডের মূল দায়িত্ব ইসরায়েল-গাজা সীমান্ত এলাকাকে সুরক্ষিত রাখা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যে ভয়াবহ হামলা আমাদের ব্যর্থতার পরিচায়ক। আমরা নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতার দায় নিয়েই আমি পদত্যাগ করছি।”
ইসরায়েলের গাজা ডিভিশন তিনটি ব্রিগেডে বিভক্ত— উত্তর, কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ। ডিভিশনের দক্ষিণ ব্রিগেডের কমান্ডার ইয়ারোন ফিল্কেনমান এবং মধ্যাঞ্চলের কমান্ডার অ্যাভি রোসেনফোল্ড একই কারণ দেখিয়ে মার্চের শুরুতেই পদত্যাগ করেছিলেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে গাজা উপত্যকা শাসক গোষ্ঠী হামাসের প্রায় এক হাজার যোদ্ধা। সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় তারা। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আনাদোলু এজেন্সি
অনলাইন ডেস্ক :
নাসার ডাইভারসিটি, ইকুইটি এবং ইনক্লুশন (ডিইআই) বিভাগের প্রধান, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীলা রাজেন্দ্রকে বরখাস্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশ অনুসারে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এ ধরনের কর্মসূচি ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ছাঁটাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে কর্মীদের এক ই-মেইল পাঠিয়ে জানানো হয়, নীলা রাজেন্দ্র এখন আর জেপিএল-এ কর্মরত নন। আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার অবদান ছিল গভীর ও স্থায়ী। আমরা তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই। এই বার্তাটি পাঠিয়েছেন জেপিএল-এর পরিচালক লরি লেশিন।
নীলা রাজেন্দ্রের চাকরি হারানোর ঘটনা হঠাৎ শোনালেও এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘ টানাপোড়েন। ডিইআই কার্যক্রম বন্ধের অংশ হিসেবে যখন নাসা বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাই শুরু করে, প্রায় ৯০০ জনের চাকরি যায়। কিন্তু নীলার পদটি তখনও অক্ষত ছিল, কারণ তার পদবি বদল করে তাকে রাখা হয়েছিল নতুন একটি বিভাগে, যদিও কাজের ধরন ছিল আগের মতোই। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ২০২৪ সালের মার্চে ডিইআই কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় নাসা এবং এবার নীলা রাজেন্দ্রকেও ছাড়তে হলো তার প্রিয় কর্মস্থল।
নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিইআই প্রোগ্রামগুলো নাকি জাতি, লিঙ্গ ও বর্ণের ভিত্তিতে বিভাজন তৈরি করেছে, করদাতাদের অর্থের অপচয় ঘটিয়েছে এবং লজ্জাজনক বৈষম্যের জন্ম দিয়েছে। সেই ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ফেডারেল সংস্থা থেকে একে একে এমন কর্মসূচি তুলে নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
তৃতীয়বারের মতো আজ শপথগ্রহণ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সঙ্গে শপথ নেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তবে মন্ত্রীদের নাম এখনো জানা যায়নি। সূত্রের বরাতে কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। যেখানে উঠে এসেছে অমিত শাহ, রাজনাথ সিংয়ের মতো নেতাদের নাম।
আজ ৯ জুন রবিবার শপথগ্রহণের আগে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নিতিন গাড়কারি, নির্মলা সীতারমস, ড. এস জয়শঙ্কর, ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বীনি বৈষ্ণ ও পিযুষ গোয়াল। তারা সবাই মোদির সর্বশেষ ক্ষমতাকালে মন্ত্রী ছিলেন।বৈঠকে আরও ছিলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা শিবরাজ সিং চৌহান, জোতিরাদিত্য শিন্ডিয়া, রাজিব রঞ্জন সিংসহ অন্যান্যরা।
এবার মোদির মন্ত্রিসভায় আগের থেকে অনেক পার্থক্য থাকবে। কারণ এখন মোদির বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাই জোটের শরীকদের ওপর অনেকটা নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের। দিতে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়।
সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সড়ক ও মহাসড়কমন্ত্রী নিতিন গাড়কারি নিজেদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেই থাকছেন। জয়শঙ্করই থাকতে পারেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী হিসেবে অভিষেক হতে পারে চিরাগ পাসওয়ান, জেডিএসের কুমারাস্বামী ও আপনা দলের অনুপ্রিয়া পাটেলের। বিজেপির অনেক দিনের মিত্র রিপাবলিকা পার্টি অব ইন্ডিয়ার প্রধান রামাদাস আথাওয়ালেও এবার মন্ত্রী হতে পারেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বেলুচ বিদ্রোহীদের হামলায় রবিবার একটি সামরিক বহরে থাকা মোট ৯০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। তবে, পাকিস্তানের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হামলায় মাত্র পাঁচজন আধাসামরিক সদস্য নিহত হয়েছেন।
বিএলএ জানায়, তারা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর একটি বহরকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা চালিয়েছে। রকশান মিলের কাছে, আরসিডি মহাসড়কে, নোশকির এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী দাবি করেছে, বহরটি আটটি বাস নিয়ে গঠিত ছিল, যার মধ্যে একটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে বিস্ফোরণে।
বিএলএ আরো জানায়, তারা পরিকল্পিতভাবে বহরের সব সেনাকে হত্যা করেছে, যার ফলে শত্রুপক্ষের মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ জনে।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর এএফপিকে বলেন, “বহরটি সাতটি বাস নিয়ে তাফতান সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। নোশকির কাছে এক বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি বাসের একটির সঙ্গে ধাক্কা খায়, যার ফলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।”
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি হামলাটির নিন্দা জানিয়েছেন।
এর আগে ১২ মার্চ মঙ্গলবার মাশকাফ টানেলের কাছে, কোয়েটা থেকে ১৫৭ কিলোমিটার দূরে, এক নজিরবিহীন জিম্মি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সদস্যরা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালিয়ে ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রীকে জিম্মি করে।
সেনাবাহিনী আরো জানায়, নিহত বিদ্রোহীদের মধ্যে কয়েকজন আত্মঘাতী হামলাকারী ছিল, যাদের স্নাইপার দিয়ে হত্যা করা হয়, যখন তারা জিম্মিদের মধ্যে বসে ছিল। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
অনলাইন ডেস্ক :
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। শীঘ্রই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।