বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদের (মোটর গাড়ী) প্রতিক প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মুছা মিয়া গ্রেফতারের পর এবার নিখোঁজ হয়েছেন প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে তিনি নিখোঁজ আছেন। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, আবু আসিফের বাড়ির সামনে দিন-রাত সাদা পোশাকধারী লোকজন অবস্থান করছেন। গত শুক্র ও শনিবার তার বাড়িতে তল্লাশী করা হয়েছে। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে উপ-নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
তিনি উপ-নির্বাচনে বিএনপির সাবেক নেতা এবং এই আসন থেকে নির্বাচিত পাঁচবারের সাবেক সংসদ ও বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার (কলারছড়ি প্রতীক) এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি।
এর আগে গত বুধবার আবু আসিফের নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মুছা মিয়া (৮০) কে হামলা ও সংঘর্ষ মামলায় গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আবু আসিফের নির্বাচন সমন্বয়কারি ও তার শ্যালক সাফায়েত সুমন ইতিমধ্যেই আত্মগোপনে আছেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া-(কলারছড়ি প্রতিক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী-(লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের ২ বারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (আপেল প্রতীক), জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল-(গোলাপ ফুল), ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ-(মোটর গাড়ী প্রতীক)।
তবে, প্রতীক বরাদ্দের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন।
উপ-নির্বাচনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করলেও উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া সমর্থক গোষ্ঠির ব্যানারে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা আজাদ ওরফে শিউলী আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকারের নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে কলারছড়ির পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নেতৃবৃন্দ ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্থানীয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে নির্দেশনা দিচ্ছেন।
আজ ২৯ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে প্রার্থী আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরন্নিছা মেহরীন জানান, আমার স্বামীর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমার বাড়ির সামনে সাদা পোশাকে লোকজন অবস্থান করছেন। আমার বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশী হয়েছে। আমি আতঙ্কের মধ্যে আছি।
তিনি বলেন, ‘তার (আবু আসিফ) শুভাকাক্সক্ষীরা তাকে দাঁড় করিয়েছেন। তারা এখন বলছেন সে যেখানেই থাকুকনা কেন প্রচারণায় তারা কাজ চালিয়ে যাবেন। তারা কেন্দ্রেও যাবেন। তবে সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা সেটা এখন বড় বিষয়।
আবু আসিফের বাড়ির দারোয়ান মোঃ ইউসুফ বলেন, পরশু রাতে কয়েকজন এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে পুরো বাড়ি তল্লাশী করে। পরের দিন আবার আসে। বাসার সামনে সাদা পোশাকধারী লোকজন অবস্থান করছেন।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান, আবু আসিফ আহমেদ নিখোঁজ কি-না সে বিষয়ে পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বাড়ির সামনে সাদা পোশাকধারী কারো অবস্থানের বিষয়টিও তিনি জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ৮৯ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে ট্রাকসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হলেন, রুবেল (৩৩) মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার দশচিড়া গ্রামের ভৈমুদ্দিনের ছেলে ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের রহিদগ্রাম গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার ওসি নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টোল প্লাজার সামনে থেকে ট্রাকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ট্রাক তল্লাশি করে ৮৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ইসমাইল মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে খুন করে টয়লেটের পরিত্যক্ত ট্যাংকে ফেলে রাখলেন তার পরকীয়া প্রেমিকা। আজ ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর টানপাড়া গ্রামের এক পরিত্যক্ত টয়লেটের ট্যাংক থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে পরকীয়া প্রেমিকা হোসেনপুর টানপাড়া গ্রামের শান্তা আক্তার (৩৫) ও তার স্বামী সুমন মিয়াকে (৪০) আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। নিহত ইসমাইল মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার লামা শরীফপুর গ্রামের মৃত উজির আলীর ছেলে। তিনি ৬ সন্তানের জনক।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ইসমাইল মিয়া নিখোঁজ ছিলেন। তার পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এরই মধ্যে বিকেল আড়াইটার দিকে স্থানীয় লোকজন হোসেনপুর টানপাড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকের ভেতরে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক পরকীয়া প্রেমিকা শান্তা বেগম জানান, ইসমাইল মিয়ার সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেম চলছিল। ইসমাইল মিয়া বিভিন্ন ছলে প্রায়ই তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় তার রাজমিস্ত্রি স্বামী কাজের সুবাধে বাড়িতে না থাকায় ইসমাইল তার ঘরে প্রবেশ করে তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। তিনি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে যাওয়ায় শান্তার খুব কষ্ট হচ্ছিল। তাই শান্তা ইসমাইলকে ঘর থেকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। এ সময় ইসমাইল শান্তার অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া ১৪ বছরের মেয়ে কেয়াকে ঘুমের মধ্যে ঝাপটে ধরে। এতে শান্তা ক্ষিপ্ত হয়ে রাজমিস্ত্রির যন্ত্র ‘কোটাবাড়ি’ দিয়ে ইসমাইলের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে শান্ত তার পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর মেয়ের সহযোগিতায় লাশটি পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকে ফেলে দিয়ে আসেন। রাতে শান্তার স্বামী ঘরে ফেরেন। তবে মা-মেয়ে স্বাভাবিক থাকেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক সুমন মিয়া এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।
তবে নিহতের ছেলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, সুমন ও তার স্ত্রীসহ অজ্ঞাত খুনিরা আর্থিক কোনো কারণে তার বাবাকে খুন করেছে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে আশুগঞ্জ-সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার ও আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: বিল্লাল মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। খুনের সাথে সরাসরি জড়িত সন্দেহে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ ও তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এক সভা আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা, যাতায়ত ভাতা দশগুণ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক পদে পদায়ন, এইচ, আই, ও এ এইচ আইদের সুপারভিশনের জন্য মটরসাইকেল প্রদান, পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশনসহ সরকারি কর্মচারিদের সকল দাবি বাস্তবায়ন।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শক সমিতির জেলা কমিটির আহ্বায়ক এম. আবদুল বাছেদ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সমিতির নেতা মো. মনির হোসেন, মো. হুমায়ন কবির, মো. আজম খান, সেলিনা আক্তার, খন্দকার মো. হানিফ, মোছা. সালমা বেগম প্রমুখ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১১ জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের শাহজাহান আলম, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (জুয়েল), ইসলামী ঐক্যজোটের আবুল হাসানাত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) রাজ্জাক হোসেন, তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পাটির কাজী মাসুদ আহমেদ, স্বতন্ত্র মঈন উদ্দিন ও জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টির রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও আবদুল হামিদ এবং তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ।
এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক দুইবারের এমপি জিয়াউল হক মৃধা ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব দলীয় প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা সম্পর্কে আপন শ্বশুর-জামাতা।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে জিয়াউল হক মৃধার মেয়ে জামাই রেজাউল ইসলাম ভূঁঞা মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এ কারণে তার শ্বশুর ও তৎকালীন জাপার ভাইস প্রেসিডেন্ট সাংসদ জিয়াউল হক মৃধার কর্মী-সমর্থকরা ঢাকা-কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। জিয়াউল হক এ আসনে পরপর দুবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে রেজাউল মনোনয়ন পাওয়ায় এ আসনে জাপার প্রার্থিতা নিয়ে জামাই-শ্বশুর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। চলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়।
তবে শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা রওশন এরশাদপন্থি এবং দলের বহিষ্কৃত নেতা। রওশনপন্থি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক তিনি। তাই দলীয় মনোনয়ন পাননি জিয়াউল হক মৃধা। এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মৃধার মেয়ে জামাই রেজাউল মনোনয়ন জমা দিলেও একই দল থেকে মনোনয়ন জমা দেন আব্দুল হামিদ ভাসানী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘এ আসনে আব্দুল হামিদও আমাদের দল থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যেমন গত নির্বাচনে বিএনপি একাধিক প্রার্থী জমা দিয়েছিলেন। যদি এরমধ্যে কেউ বাদ যায়! মূলত ওই আসনে আব্দুল হামিদ নির্বাচন করবেন।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক দুইবারের এমপি জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘সবশেষ উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমি রওশনপন্থি, (নির্বাচনে) রওশনপন্থিরা সবাই আছেন। জাতীয় পার্টি থেকে কে নির্বাচন করলো বা মনোনয়ন পেলো তা আমার দেখার দরকার নেই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশাইরে মাহফিলের মাইক বাঁধতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সালমান আল অন্তর (২৩) নামে এক যুবক মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
১৮ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর (পঃ) ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত অন্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের পুথাই গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আজ রবিবার মৈশাইর বাজারের মাদ্রাসার উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী মাহফিল হওয়ার কথা রয়েছে। মাহফিল উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় জালাল মিয়ার বাড়ির ছাদে উঠে মাইক বাঁধতে ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে লাইন টানতে গিয়ে অন্তর অসাবধানতাবসত বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে গুরুত্ব আহত হয়। পরে অন্তরকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ওইখানের রাতে তাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক যুবকের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি।