নিশান দেখে থামল ট্রেন, বাঁচল হাজার যাত্রীর প্রাণ

জাতীয়, 4 February 2024, 755 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনটি আসার পথে ভাঙা ছিল রেললাইন।

banner

রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ভিডিপির সদস্যরা লাল নিশান দেখিয়ে ট্রেনটির গতিরোধ করে দেওয়ায় এ দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন ও এর হাজারো যাত্রী রক্ষা পায়।

আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার চামরাব ও জিনারদীর বরাব রেলক্রসিংয়ের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। রেললাইন মেরামতের পর এ পথে ট্টেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ঘটনার সময়ে দায়িত্বে থাকা আনসার ভিডিপির দলনেতা মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও আমরা সকাল থেকে রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চামড়াব রেলক্রসিং পার হয়ে সামনের দিকে যাওয়ার পর ৮ থেকে ৯ ইঞ্চি রেললাইন ভাঙা দেখতে পাই।

তিনি আরো জানান, এ সময় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলের দিকে আসতে দেখা যায়। পরে দ্রুত আমরা লাল নিশান দেখিয়ে ট্রেনটির গতিরোধ করে দিয়েছি। এতে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেন ও যাত্রীরা।

উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শহিদুজ্জামান রাজু বলেন, এ ঘটনা আমাদের সদস্যরা জানানোর পর দ্রুত রেলওয়ের প্রকৌশলী বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। এটি কোনো নাশকতা নয়, শীতের কারণে রেললাইনে এমন ভাঙন ধরে থাকে। তাই আমাদের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে আরো তৎপর থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জিনারদী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. বরকত হোসেন বলেন, রেললাইন ভাঙার খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের মিস্ত্রিরা মেরামত কাজ শুরু করেছে। তারা লোহার পাটাতন পরিবর্তন করে নতুন পাটাতন বসিয়েছে। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

আমরা ক্ষমতায় গেলে এ দেশকে নতুন করে গড়ে তুলবো: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 7 January 2023, 3181 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের দশ দফা দাবি এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা বিষয় ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের পুনিয়াউটস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এর বাসভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাবিব উন-নবী-খান সোহেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিব উন-নবী-খান সোহেল বলেন, পল্টনে বিএনপির জনাতঙ্কের ভয়ে পল্টনে সভা করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। তিনি আওয়ামীলীগের সমালোচনা করে বলেন, তারা এখন চামচামিতে লিপ্ত। ছাত্রলীগকে পকেট মার এবং মোবাইল চোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ভারে মঞ্চ থেকে ধপাস করে ভেঙ্গে পড়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। এমনিভাবে একদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদিও ধপাস করে ভেঙ্গ পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা তাদের ২৭ দফা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংস্কার কমিশন করবো। কেন করবো? আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বিনা ভোটের ক্ষমতায় থেকে সংবিধানকে কাটাছেড়া করে একে দলীয় একটা বইয়ে পরিণত করেছে। সংবিধানের কিছু ধারা এমনভাবে পরিণত করেছে, যে ভবিষ্যতে কোনো সংসদে এটি পরিবর্তন করা যাবে না। এটিকে বেআইনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত আওয়ামীলীগ। সংবিধান সংস্কার করার এখতিয়ার রাখতে পারেন না। এই ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। তিনি বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যে বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ। দল মত নির্বিশেষে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এ দেশকে নতুন করে গড়ে তুলবো।
তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বিগত সময়ে স্বাধীনতা স্বপক্ষকে ও বিপক্ষে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে সামনে এনে জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা জাতিকে বিভক্ত করা থেকে ফিরিয়ে আনবো। আমরা সকলকে দেখিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে দলীয় সরকার অধীনে অবাধ সুস্থ নির্বাচন না হবে, ততদিন পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট হতে হবে। জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া সুযোগ দিতে হবে। সংবিধানের মালিক জনগন। জনগণ তার মালিকানা হারিয়েছে। তাই আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেই সময়কার নির্বিচনে প্রায় সকল আসনের জয়লাভ করেছিল। দু-একটিতে ন্যাপ ও জাসদের প্রার্থী জয়লাভ করলেও পড়ে তাদেরকে পরাজিত দেখানো হয়েছে।
তিনি তার পিতা অলি আহাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমার পিতা সেই সময়ের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু পরে নির্বাচনের ফলাফল বদলে তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে বিজয় দেখানো হয়েছে। সেই থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ভোট কারচুপি করছে বলে অভিযোগ করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা হবে উল্লেখ করে রুমিন বলেন, সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হয়ে হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। রাষ্ট্রপতির কোন ক্ষমতা নাই। তিনি কেবল জানাজা পড়েন আর ফিতা কাটেন। এর বাইরে তার আর কোন কাজ নেই। এই ফিতা কাটা আর জানাজা পরা থেকে রাষ্ট্রপতিকে বের করে নিয়ে আসবো আমরা। যেখানে আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত করবো। টানা দুইবারের বেশি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি থাকতে পারবেন না। এছাড়া আমরা বলেছি, সংসদকে আমরা দুই কক্ষে বিভক্ত করবো। একটি হবে উচ্চকক্ষ অপরটি হবে নিম্নকক্ষ। সংদকে কার্যকর করার জন্যে এই উদ্যোগ নেয়া হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে দেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন লুটপাটের সর্ব রাজ্য। বিদ্যুৎ খাত, ব্যাঙ্ক খাত, রাস্তাঘাট অবকাঠামোগত খাতে লোটপাট করা হচ্ছে। সে জন্য কমিশন গঠন করবো। শ্বেতপত্র প্রকাশ করবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত আদালতে সম্প্রীতি ঘটে যাওয়া প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বারের সভাপতি যে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন একজন জজ সাহেবকে, এটা আদালতে চলতে পারে না। তিনি আদালতের সমালোচনা করে বলেন, আপনারা বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখলে জামিন দেন না। সরকারের ইশারায় আপনারা চলেছেন। এখন এর জন্য আপনারা দায়ী।
মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মীর্জা ফকরুল অত্যন্ত সজ্জন রাজনীতিবিদ। তাকে রাত ৩টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তুলে নেয়া হয়েছে। তাকে চারদিন ধরে কোন ডিভিশন দেওয়া হয় নাই। হাইকোর্ট রিট করে ডিভিশন নিতে হয়েছে। তার নাম না থাকায় সত্ত্বেও তিনি জামিন পাননি। এটাই বাংলাদেশের আদালতের অবস্থা। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে একটি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ তৈরী করবো। সেই বিচার বিভাগ দল মত নির্বিশেষে সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ দেখাবে। আমরা প্রশাসনিক সংস্কার করবো। কারণ প্রশাসনে তো এখন লীগ ছাড়া আর কিছু নাই। পুলিশ লীগ, ক্যাডার লীগ, বিচারক বিচারক লীগ। এই লীগের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।
রুমিন বলেন- আমরা মিডিয়া কমিশন গঠন করবো, মিডিয়া কিভাবে পক্ষপাত মূলক আচরণ করে। পক্ষপাত মূলক খবর পড়ে। তিনি টকশো প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আপনারা টকশো গুলো দেখেছেন, কতটুকু ধোকা দেয় তারা। আমরা দু’একটা কথা বলতে গেলে আওয়ামী লীগের চ্যালা, আওয়ামী লীগের দলের একজন বক্তা কথা বলা শুরু করে দেয়। এরকম মিডিয়া আমরা চাই না। আমরা নিরপেক্ষ মিডিয়া তৈরি করবো। তিনি বলেন, ডিজিটাল এ্যাক্ট এর ভয় দেখিয়ে মিডিয়ার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। তথ্য কমিশনার চাপ দিয়ে মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ধরনের চাপ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে হবে না।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে যে গুম, খুন, নির্যাতন, হেফাজতে রেখে নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার প্রত্যেকটি বিচার করবো।
শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে জিডিপির পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা করতে গিয়ে ফকির হয়ে যাচ্ছে। তাদের জমি জমা বিক্রি করতে হচ্ছে। সে অবস্থা থেকে আমরা বাংলাদেশকে মুক্ত করবো।
সভায় জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক সাঈদ, সদস্য রফিক শিকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারান সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি এবং জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস

জাতীয়, 27 November 2024, 305 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
২৭ নভেম্বর বুধবার শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস। শামসুল আলম খান মিলনের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি এলাকায় তৎকালীন স্বৈরশাসকের গুপ্তবাহিনীর গুলিতে ডা. শামসুল আলম খান মিলন নির্মমভাবে নিহত হন। তার আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং এক ঐতিহাসিক ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।

banner

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ডা. মিলন। সংগ্রামী মানুষের পথিকৃৎ মিলন ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব এবং স্বৈরাচার ঘোষিত গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতি আন্দোলনের মধ্যমণি। তার শাহাদতকে কেন্দ্র করে চলমান গণআন্দোলন দুর্বার গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পরবর্তীতে আন্দোলন-সংগ্রাম এবং আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ ডা. মিলনসহ সব বীর শহীদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

বাণীতে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ডা. মিলন যেদিন শহীদ হন সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। কিন্তু আবার গত দেড় দশকে দেশে নতুন এক স্বৈরাচার জেঁকে বসে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাতের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বাংলাদেশ নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে।

থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 24 April 2024, 588 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয়দিনের সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন। আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংককের ডং মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাকে।

banner

ব্যাংককে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। থাইল্যান্ডের গভর্ণমেন্ট হাউসে আজই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে দুই প্রধানমন্ত্রীর।

এর আগে সকাল ১০টা ১২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে তার এ সফর।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার গঠনের পর এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফর। এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।

সফরকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার অভিপ্রায়পত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এর মধ্যে সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরো দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।

নতুন বাংলাদেশ গড়তে পুলিশ বাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

জাতীয়, 17 March 2025, 134 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশ সদস্যদের সম্মুখ সারির মানুষ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে পুলিশ বাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। পুলিশ আগে খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়েছিল, এখন পুলিশকে আলোময় বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা পালন করতে হবে। আজ ১৭ মার্চ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

banner

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি, শৃঙ্খলা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি- তাহলে সব যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব। আইন না থাকলে সরকার, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার কিছুই থাকবে না।

নির্বাচন যতই কাছে আসবে ষড়যন্ত্র ততই তীব্র হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই সতর্ক থাকতে হবে পুলিশকে। আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি, এইটা মনে রেখে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই যুদ্ধাবস্থার সুযোগে শান্তি নষ্টের চেষ্টা করবে ষড়যন্ত্রকারীরা।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ একটা মস্তবড় সম্ভাবনার দেশ। সেটাকে আমরা বাস্তবতায় নিতে পারিনি। নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে। এই সম্ভাবনাকে যেন আমরা হেলায় না হারাই। যারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এমন দেশের পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের।

হিলারি ক্লিনটন নিজে আদেশ দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 1 September 2023, 921 Views,
ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন নিজে আদেশ দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

banner

আজ ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ তুলেন।

ড. ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু করতে গিয়ে আমাদের ওপর বদনাম দিয়েছিল, একটা ব্যাংকের এমডি পদের জন্য সেটাও সরকারি বেতনধারী। সরকারি আইনে আছে ৬০ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবে। এর বেশি হলে থাকতে পারবে না। তারপরও বেআইনিভাবে ১০ বছর চালিয়ে আবারও সেখানে থাকতে হবে, সেই লোভে বারবার আমাদের ওপর চাপ।’

‘একটি বড় দেশও বারবার চাপ দিত’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমডি পদে না রাখলে নাকি পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেবে। আমাদের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে সেই ভদ্রলোক মামলাও করেছিল। কিন্তু আদালত তো তার বয়স কমাতে পারে না। সে মামলায় হেরে যায়। তারপর তার বিদেশি বন্ধু দ্বারা…এটা কিন্তু ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বোর্ডে হয়নি। হিলারি ক্লিনটন নিজে অর্ডার দিয়ে তখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাকে দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেয়।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তখন বলেছিলাম নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করব, কারও কাছে হাত পেতে না। আমরা সেটা করেছি। সেটা করে বিশ্বকে দেখিয়েছি। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা ভাষণ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এই বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা কিন্তু সেই জাতি। আমাদের দাবায়ে রাখতে পারে নাই।’

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এতে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতারা অংশ নেন।