চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এরইমধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নিজের প্রার্থীতার জানান দিলেন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নাসির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।
এসময় তিনি বলেন, আমি সাধারণ পরিবারের সন্তান। হাই প্রোফাইল আমার নাই। আমি চেয়ারম্যান ছিলাম তাই মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা জানি। সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এখন বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে চাই। আমি সার্বজনীন জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। কারো হক মেরে খাওয়ার চিন্তা আমার নাই।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সারাদেশে যখন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে ঠিক তখন যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় এই উপজেলা উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। আমি এই এলাকার সাধারণ মানুষদের মাঝ থেকে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। এ সময় তিনি স্থানীয় রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ, এলাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চুসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩২ কেজি গাঁজা, ২টি গাড়িসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ ২৭ অক্টোবর রবিবার দুপুরে এসআই গাজী রবিউল ইসলাম ফোর্সসহ তাদেরকে আটক করেন।
জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার পূর্বপাশে পাকা রাস্তার উপর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ছোনখোলা গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে মো. আইয়ুব আলী (৩২) এবং হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার জারুলিয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (২৩)।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গত ২১ ডিসেম্বর ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে মোবাইল ফোন হারিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার মো. আশিকুর রহমান। এ বিষয়ে তিনি আশুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই মোবাইল ফোনটিতে ব্যবহৃত হচ্ছে জেলার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইফরান উদ্দিন আহমেদের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড।
ইউএনও ইফরান উদ্দিন অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার নামে নিবন্ধিত থাকা বাংলালিংকের একটি সিম অফিসের কর্মচারী জালালকে দিয়েছিলাম। এনআইডি কার্ড পাচ্ছিল না, তার নামে সিম নিবন্ধন করা যাচ্ছিল না বলে আমারটা দেওয়া হয়। কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে কিনে আনা একটি মোবাইল ফোনে সে সিমটি ব্যবহার করে। বিষয়টি যে এত দূর গড়াবে বুঝতে পারিনি।
এ ঘটনায় ভবিষ্যতের জন্য আমার একটা শিক্ষা হয়ে গেল। আমাকে আরো সতর্ক হতে হবে।’
এদিকে আশিকুর রহমান বাদী হয়ে ইউএনওর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
আশিকুর রহমান জানিয়েছেন, মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি বেশ চাপে আছেন। মোবাইল ফোনটি নিয়ে আসার জন্য থানা থেকে বলা হচ্ছে। কিন্তু এখন যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু আদালতের মাধ্যমে বিষয়টির ফয়সালা হবে।
আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আশিকুর রহমান তার মামলায় ও এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময় অভিযোগ করেন, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু শামার একটি ইটভাটার সামনে থেকে তার স্যামসাং ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিস ছিনতাই হয়। তবে ছিনতাই মামলা পুলিশ নিতে চাইবে না বলে এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
বিষয়টি তদন্ত করেন আশুগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান। পুলিশের তদন্তে মুঠোফোন ব্যবহারকারী হিসেবে আসামির নাম হিসেবে ইরফান উদ্দিনের (ইউএনও) নাম আসে।
আশিকুর রহমান বলেন, ‘মামলার আসামি হিসেবে ইউএনওর নাম আসার বিষয়টি আমিও নিশ্চিত হই। অফিস কর্মচারী ফয়সাল ফোনটি দেবে দেবে করে দেননি। উল্টো ফোনের কাগজপত্র দেওয়াসহ নানা কথা বলতে থাকেন। পরে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলায় ইউএনওকে আসামি করা হয়েছে।’
হারিয়ে যাওয়া ফোন উদ্ধারের তদন্ত কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ওই ফোনে ব্যবহার হওয়া সিমটি ইউএনওর নামে। বাদী অভিযোগ করেছিলেন ফোন হারিয়েছে। এখন একজন সেটি পেয়ে ফেরত দিয়েছে। বাদীকে বলার পর তিনি সেটি নিচ্ছেন না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশসানের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে ২৬ মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি কাজী তাহমিনা শারমিন, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক র্অপণ, ডিসপ্লে প্রর্দশনী, পুরষ্কার বিতরণসহ নানান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবের আল জুবাইলে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরির বয়লার বিস্ফোরণে এক প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সোহেল শিকদার।
নিহত সোহেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের জহিরুল হক শিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরিবারের সচ্ছলতার জন্য সৌদি আরবের আল জুবাইলে গিয়েছিলেন সোহেল। সৌদি আরবে ফ্রি ভিসায় গিয়ে চুক্তিভিত্তিক ভাবে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে একটি ক্যামিকেল ফ্যাক্টরিতে ওয়েলডিং এর কাজ করছিলেন সোহেল। হঠাৎ ফ্যাক্টরির বয়লার বিকট শব্দ হয়ে বিস্ফোরণ হলে পুরো ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরে যায়। এসময় সোহেল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এ বিস্ফোরণের ঘটনায় সোহেলসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি ও আরেকজন ভারতীয় নাগরিক।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার সোহাগপুর গ্রামে নিহত সোহেলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শোকের মাতম চলছে।
নিহত সোহেলের ভাই সবুজ শিকদার বলেন, আমার ভাই দুই বছর আগে প্রবাসে যান। প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে ভালোই চলছিল। তার স্ত্রী দুই শিশু সন্তানও রয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চিন্তিত। এছাড়া পরিবারটিও এখন আর্থিক সংকটের পড়বে। আমার বড় ভাইয়ের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।