চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে প্রেম করে বিয়ে করে পারিবারিক কলজের জেরে এক সাথে কেড়ির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী সিয়াম (১৯) ও তার স্ত্রী শাহিনুর (১৯)।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। এরআগে, সোমবার রাতে উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত সিয়াম বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে ও শাহিনুর একই এলাকার সফিকুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহিনুরের আপন খালার স্বামীর নাম সুজন মিয়া। আর সুজন মিয়ার ছোট ভাইয়ের নাম সিয়াম। সিয়াম ও শাহীনুর সম্পর্কে মামা-ভাগ্নি। পরে সিয়ামের সাথে শাহিনুরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উছে। গত ৬/৭ মাস আগে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর সিয়াম তার স্ত্রী শাহিনুর ও মাকে নিয়ে বাসা ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন। কিন্তু তাদের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি পরিবার। এনিয়ে দুই পরিবারের মাঝে কলহ লেগে থাকতো। এরই জের ধরে সোমবার রাতে সিয়াম ও শাহিনুর চালে দেওয়ার কেড়ি পোকার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অসুস্থ্য অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেণ। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে শাহিনুর মৃত্যুবরণ করেন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ হাসপাতালে সিয়াম মৃত্যুবরণ করেন।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, সিয়ামের লাশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ময়নাতদন্তসহ যাবতীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রঞন করেছে এবং শাহিনুরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম। তিনি এক লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির আমজাদ হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৮১৭ ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৭৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩৩ জন। আসনটির ৯১টি ভোট কেন্দ্রের ৫৬৬টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সহনশীলতায় বিশ্বাস করে, শান্তিপ্রিয় বসবাসে বিশ্বাস করে। বাঞ্ছারামপুর বিএনপির নৈরাজ্য এবং লুটপাটের কোন ইতিহাস নেই। অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকার নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তাদের বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে হবে। আমি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলবো ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার দোসরদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বাঞ্ছারামপুরের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কখনোই ঠাঁই হবে না। ইতিমধ্যে ছাত্র জনতা অপরাধ ও নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করেছে। বাঞ্ছারামপুরের মাটিতে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে। নৈরাজ্যকারীরা আবারো বাঞ্ছারামপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ।
আজ ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র মাঠে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মহসিনের সঞ্চালনায় ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ফরিদের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম ভিপি মুসা, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হারুনুর রশিদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকরি সেলিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফয়সাল বিন ইউসুফ সামী, সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, আব্দুল করিম চেয়ারম্যান, আব্দুল আইয়ুম, শাখাওয়াত হোসেন, দেলোয়ার হোসেন সবুজ, আব্দুল মতিন, সেলিম আখতার, রফিকুল ইসলাম সেন্টু, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, আব্দুল করিম, মোঃ মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। হতদরিদ্র মানুষদের ভূমিসহ বসতবাড়ি নির্মাণ করে প্রমাণ করছে আওয়ামী লীগ গণমানুষের সরকার। এই প্রথম ভূমিহীন ঘরহীন লোকগুলো সামনের ঈদটিতে নিজ ভূমি ও ঘরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করবে। বাংলার সাধারণ মানুষের আশার এবং ভরসার শেষ আশ্রয় হিসেবে শেখ হাসিনাকেই পাশে পায়।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক আয়োজিত স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সহকারি কমিশনার কাজী আতিকুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি স্মাট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার শক্তি কারও নেই। ৭ জানুয়ারি জনগণ ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে আগামী দিনে কারা দেশ পরিচালনা করবে। আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার দরিয়াদৌলত গ্রামের উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা, নৌকা এবং দেশের জনগণ একটি সুসম্পর্কের বন্ধন। বাংলায় একজন নেত্রীই আছে শেখ হাসিনা। যার জীবনে চাওয়া একটাই বাংলার জনগণের কল্যাণ সাধন করা।
ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেন, জনবিচ্ছিন্ন জামায়াত-বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় বলেই এখন মাঠে নেমেছে নির্বাচন বানচাল করতে। বিদেশিদের কাছে এমনভাবে ঘুরছে যেন বললে কালই তারা ক্ষমতায় বসে যাবে। তারা কিভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে যারা ক্ষমতার লোভে মানুষকে পুড়িয়ে মারে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইলসাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন, ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ মো. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম.এস. রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, দেশবিরোধী শত্রুরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর ১৯ বার হামলা চালিয়েছে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ছেলেরা স্বপ্ন দেখো একদিন তোমরা শেখ মুজিব হবে, মেয়েরা স্বপ্ন দেখো একদিন শেখ হাসিনার মতো হবে। আমাদের স্থানে বসতে হবে। তোমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশপ্রেমিক হতে হবে।
আজ ২১ অক্টোবর শনিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতি কর্তৃক আয়োজিত মেধাবৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সংসদ সদস্য ড. এ ডব্লিউ এম আবদুল হক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সেলিম মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সদস্য আমিনুল ইসলাম তুষার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমূদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ।
পরে তিনি ৩৭টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার ৭ম থেকে ১০ম পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মাঝে ১৪শত, ১২শত, ১ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করেন। ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ২৩৪ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে ১ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।