চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১৪ মার্চ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও দাখিল করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলায় ৬টি সংসদীয় আসন। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নের প্রত্যাশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
প্রার্থীরা হলেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সদ্য সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস মিনারা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি শামীমা চৌধুরী বিথি, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য বিউটি কানিজ ওরফে এমবি কানিজ, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অধ্যাপিকা নুরুন্নাহার বেগম, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুমা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-(১) ফারহানা মিলি, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত তৌফিক আহমেদের ছোট ভাই পিপনের আহমেদের স্ত্রী সাবিহা হক মৌসুমী।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ : শিউলী আজাদ সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম. ইকবাল আজাদের স্ত্রী। দলীয় গ্রুপিংয়ের কারনে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সরাইল সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ইকবাল আজাদ ঘাতকদের হাতে খুন হন। এর পর থেকে শিউলী আজাদ রাজনীতিতে যোগদান করেন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারো তিনি প্রার্থী হয়েছেন।
মিনারা বেগম : মিনারা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তিনি একজন রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ভ‚মিকা রাখেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা তৎকালীন সরকারের ক্যাডার বাহিনীর দ্বারা বিভিন্নভাবে নাজেহাল হন। ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তিনি বর্তমানে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিউটি কানিজ : বিউটি কানিজ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য। তিনি ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ঢাকা মহানগর) শাখার সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাবেক শিক্ষা ও প্রক্ষিশন ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
শামীমা চৌধুরী বিথি : শামীমা চৌধুরী বিথি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি। তিনি ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য, তিনি ইডেন মহিলা কলেজ শাখার (১৯৯১-১৯৯২) সালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত : অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, সাপ্তাহিক গতিপথ’র সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখার সাবেক মহিলা সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
রুমা বেগম : রুমা বেগম নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র- সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়ার স্ত্রী। তার পিতা লে. গোলাম নূর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুমা বেগম ও তার স্বামী নাজির মিয়া দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী : নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়নগর উপজেলায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান ওরফে মুকাই আলীর স্ত্রী।
সাবিহা হক মৌসুমী : সাবিহা হক মৌসুমী একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত তৌফিক আহমেদের ছোট ভাই পিপন আহমেদের স্ত্রী।
নূরুন্নাহার বেগম : অধ্যাপিকা নূরুন্নাহার নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত আসনের সদস্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনশুমারি ও গৃহগণনা এর রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি জেলায় সাক্ষরতার হার গত ১০ বছরে ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭২ শতাংশ হয়েছে। কমেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। সেটা ১.৬৮ থেকে নেমে ১.৩৫ এ এসেছে।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি, ২০২২ সালে হওয়া শুমারি অনুযায়ি জেলার বর্তমান লোকসংখ্যা ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩ জন। এর মধ্যে ৪৭ ভাগ হারে পুরুষ ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২৬২ জন ও নারী ৫৩ ভাগ হারে ১৭ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৫ জন। হিজড়ার সংখ্যা ১৫৬ জন। ২০১২ সালের সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ি সাক্ষরতার হার ছিলো ৪৫.২৯, যা ২০২২ সালে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭২.১২। সাক্ষরতার দিকে থেকে পুরুষের চেয়ে নারী এগিয়ে। পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭১.৭৪, নারীদের সাক্ষরতার হার ৭২.৪৪।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই লাখ ৭১ হাজার ১৪৫ জন প্রবাসে থাকেন। সবচেয়ে বেশি নবীনগর উপজেলার ৫৭ হাজার ৯৮ জন প্রবাসে থাকেন। শুমারি চলাকালীন ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি ৪১.৭০ জন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছিলেন না, কাজে নিয়োজিত ছিলেন না কিংবা বৃত্তিমূলক কোনো প্রশিক্ষণ গ্রহন করেননি। এর মধ্যে ৫৭.৩২ ভাগ নারী ও ২০.১৯ ভাগ পুরুষ।
পাঁচ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে ৮.১৬ ভাগ ধর্মীয় শিক্ষা নিচ্ছেন। সাধারণ শিক্ষায় আছেন ৮৮.২১ ভাগ। কারিগরি শিক্ষায় ০.৩৪ ভাগ। অন্যান্য শিক্ষায় আছেন ২.৪৮ ভাগ। জেলায় মুসলমান ৯৩.২৯ ভাগ। হিন্দুর সংখ্যা ৬.৬৮ ভাগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সম্মেলনের দীর্ঘ একবছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবলীগের ৪ টি ইউনিটের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। ইউনিটগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, সদর পৌরসভা, বিজয়নগর উপজেলা ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা।
জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. মোঃ শাহানুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস আজ ২ মে বৃহস্পতিবার এ কমিটি ঘোষণা করেন।
ঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দ হচ্ছেন সদর উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি মো. আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন রানা ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল আহমেদ। সভাপতি আলী আজম ও সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন সম্মেলন পূর্ব কমিটিতে একই পদে ছিলেন। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমেদ ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা শাখা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি আল-আমিন সওদাগর, সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন রনি, সহ-সভাপতি মো. এমরান হোসেন মাসুদ এবং সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন।
বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুখলেসুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল খান।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি সমাপ্ত রঞ্জন সাহা, সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন, সহসভাপতি মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন বেলাল, সাধারণ সম্পাদক আবু নাছির উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন টিপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাইন উদ্দিন।
আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলা যুবলীগের অনুমোদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ও পৌসভা শাখা যুবলীগ, ২৮ এপ্রিল বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগ ও ২৯ এপ্রিল বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থা চুয়াডাঙ্গার ব্যবস্থাপনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা স্টেডিয়ামে গতকাল ৯ মার্চ ২০২৪ শনিবার টিয়ার ওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ খেলায় নাটকীয় ম্যাচে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৩ উইকেটে রাজশাহী জেলাকে পরাজিত করে টানা ৩ ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে চুড়ান্ত পর্বের টিকেট পেয়ে যায়।
টসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিনায়ক মো: সুমন জয়লাভ করে ১ম বল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
রাজশাহী ১ম ব্যাট করে ৪৮.২ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয়।
আলিফ, ফারদিন, জালাল প্রত্যেকেই ২টি করে উইকেট পায়। বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেক নাটকীয়তার পরে ৪৮.২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। উদয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান, হেমায়েত ৩৯ রান, রোহান ৩৬ রান, সুমন ও ফারদীন উভয়েই ২০ রান করে উইকেট কিপার ব্যাটার প্রসেঞ্জিত ১৮ ও সজিব ১৭ রান করে।
১ম ২ ম্যাচে ৮ উইকেট নেয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের তারকা ক্রিকেটার বাঁমহাতি স্পিন অলরাউন্ডার শামীম মিয়া খেলতে পারেনি তার ক্লাব হতে ছুটি না পাওয়ায় কিন্তু তার শুন্যস্থান পূরণ করতে ঢাকা ১ম বিভাগ লীগে লালমাটিয়ার ক্রিকেটার সজিব মিয়া ও ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের আশফাক আহমেদ রোহান এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে খেলার আগের দিন রাতে ক্লাব হতে ছুটি নিয়ে জরুরী ভাবে দলের সাথে যোগ করায় দলের শক্তি বেড়ে যায়। এতে দল ও জয়লাভ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দলের সদস্যগণ হলেন মো: সুমন (অধিনায়ক), প্রসেনজিত দাস (উইকেট কিপার ও সহ-অধিনায়ক), রোহান, ফারদীন, সজিব, জালাল, হেমায়েত, নিশাদ, আলিফ,উদয়, নাইম, রাহিম, বিজয়, অমি, পারভেজ ও শামীম কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) ম্যানেজার আবুল কাসেম (সহ-সভাপতি জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য প্রদান করেছেন।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে বক্তব্যে বিএনপির ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপতৎপরতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। নির্বাচন নির্দিষ্ট কোনো দলের জন্য অনুষ্ঠিত হয় না বা কোনো দলের জন্য থেমে থাকে না। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ভুল রাজনীতির কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বিএনপি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতেই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লাগাতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের পথে রাজনীতি করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও বিদেশি এজেন্টদের সমন্বয়ে গঠিত বিএনপি কোনো দিনই গণতন্ত্রকে ধারণ করেনি। তারা হ্যাঁ/না ভোট ও ভোটারবিহীন প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজন, রউফ, সাদেক ও আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন, ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের পথে হেঁটেছে বারবার।
তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি তাদের ভুয়া ভোটার ব্যাংক নষ্ট হওয়ায় এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের সুযোগ না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। বিএনপি গণতন্ত্র, নির্বাচন ও জাতীয় অগ্রগতিকে ধারণ করে না, উল্টো গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে যাদের হাত ধরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট হয়েছে; হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সূচনা হয়েছে আজ তারা গণতন্ত্রের কথা বলে! হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের গডফাদার এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের কোনো প্রত্যয় নেই। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষকে শোষণ করেছে; গণবিরোধী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। বহিরাবরণে লুটপাটতন্ত্রের নীতি ও অন্তরে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা ধারণ করে বিএনপি সবসময় শাসন করেছে। তাই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তাদের চোখে পড়ে না। এ পর্যন্ত দেশের মানুষের স্বপ্নের যেসব মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, সেসব প্রকল্প নিয়ে তারা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিএনপির গাত্রদাহ থেকেই প্রমাণিত হয় তাদের রাজনীতি কেবল ক্ষমতা দখলের; জনকল্যাণের জন্য নয়। আমরা বিএনপি নেতাদেরকে আহ্বান জানাই, তাদের রাজনৈতিক দর্শনের চশমার লেন্স পরিবর্তনের জন্য। তাহলেই তারা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রা দেখতে সক্ষম হবেন।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বদা গণতান্ত্রিক নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধকে ধারণ করে রাজনীতি করে আসছে। আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দীর্ঘ স্বৈরশাসনের নাগপাশ থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেৃতত্বেই বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এদেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মজবুত ভীত রচনায় বদ্ধপরিকর।