অনলাইন ডেস্ক :
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তের তিন বিঘা করিডোর এলাকা থেকে শিশুসহ ৪ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। পরে আটক রোহিঙ্গাদেরকে পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের তিনবিঘা করিডোর সীমান্তের মেইন পিলার ৮১২ থেকে ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘোরাফেরা করা অবস্থায় তাকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা।
আটককৃত রোহিঙ্গারা টেকনাফ সেকমারকুল ২১ রিফুজি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (২৪), আব্দুল্লাহর স্ত্রী মোছা. শরিফা বেগম (১৯), একই ক্যাম্পের শামছুল হকের মেয়ে মোছা. আমেনা বেগম (১৫), এবং শিশু মোছা. রিনাস বিবি (২৭ মাস)।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার পুলিশের ওসি তদন্ত জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, আটককৃত রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। সীমান্ত থেকে বিজিবি তাদের আটক করেছে। বর্তমানে আটককৃতরা থানা হেফাজতে রয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টার সাথে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এমন একটি নির্বাচন হবে যেখানে একটি ইতিহাস তৈরি হবে। প্রত্যেকটি মানুষ হাসিমুখে ভোট দিয়ে বের হবে। কেউ গিয়ে দেখবে না যে, একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে এসেছে।
আজ ২৫ মে রবিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আয়োজিত চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি আরও বলেন, মানবিক করিডোর না দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অবস্থান সরকারকে জানানো হয়েছে।
চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং তাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, এই দেশে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। চা শ্রমিকদের দায়িত্বও সরকারকে অন্যান্য নাগরিকদের মতো সমানভাবে নিতে হবে। তারা এখনও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা যদি জনগণের ভোটে দায়িত্ব পাই, তাহলে তাদের সম্মানের সঙ্গে বসবাস নিশ্চিত করব। তাদের সন্তানদের প্রতিভার বিকাশে পাশে থাকব। চা শ্রমিকদের শিক্ষিত করে আধুনিক বাগান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত করার চিন্তা আমাদের রয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কাউকে বিবেচনা করি না। আমরা একটি বন্ধুপ্রতিম সমাজ গড়তে চাই। চা শ্রমিকদের উদ্দেশে বলতে চাই- আপনার ডাক দিতে সময় লাগবে, কিন্তু আমাদের পৌঁছাতে সময় লাগবে না। আমরা সবাই এই দেশের মালিক।
উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির প্রকৌশলী এম. সায়েদ আলী, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ইয়ামীর আলী, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির খন্দকার আব্দুস সোবহান ও প্রভাষক হামিদ খান, বর্তমান সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী এবং জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় ছাড়াও ডা. শফিকুর রহমান দিনব্যাপী বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির তৃতীয় দিনে ৭৩৩টি ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এতে দলটির আয় হয়েছে তিন কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তৃতীয় দিনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আজ সরাসরি ৭০৯টি ও অনলাইনে ২৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
শনিবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। মনোনয়নপত্র বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আট বিভাগের জন্য স্থাপন করা হয় ১০টি বুথ। সেখান থেকে ফরম বিক্রি করা হয়। মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা নেওয়ার কার্যক্রম চলবে ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বাসচাপায়কালা মিয়া (৫০) নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা-সোনাপুর ফোরলেন সড়কের শেয়ার বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কালা মিয়া উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের বেচু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কালা মিয়া ভ্যানে করে স্থানীয় বাজারগুলোতে পেঁয়াজ, রসুন বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি উপজেলার চৌমুহনী বাজার থেকে ভ্যানে করে পেঁয়াজ, রসুন নিয়ে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে একলাশপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা-সোনাপুর ফোরলেন সড়কের শেয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে ফেনীগামী সুগন্ধা পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাসটি এখনো আটক করা যায়নি। তবে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার পুলিশ মরদেহের সুরতহাল করেছে। বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের আওতাভুক্ত। এ বিষয়ে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ২০ জোড়া তরুণ-তরুণীর যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শুধু যৌতুকবিহীনই নয়, বরং নবদম্পতিদের দেওয়া হয়েছে নতুন পরিবার পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও। যৌতুকের কুপ্রভাব এবং ধর্মীয়ভাবে যৌতুক দেওয়া-নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রতিটি ঘরে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সকাল থেকেই আনন্দঘন মুহূর্তে মানুষ ওই মাঠে আসে যৌতুকবিহীন বিয়ে দেখার জন্য।
পরে ২০ জোড়া তরুণ-তরুণীকে বর ও কনে সাজিয়ে আনা হয়। এ সময় তাঁদের বিয়ে পড়ান মাওলানা আবেদ আলী। আগামীর দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় তাঁদের জন্য দোয়া কামনা করা হয়। পরে নবদম্পতিদের হাতে সেলাই মেশিন, ছাগল, লেপ-তোশক, রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, হাঁড়ি পাতিলসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি তুলে দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, এসব কনের বাবা-মা অত্যন্ত গরিব। তাঁদের বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য নেই বললেই চলে। তাই বিয়ের এমন আয়োজন করা হয়। উদ্দেশ্য কনেকে যোগ্য পাত্রের হাতে তুলে দেওয়া, একই সাথে যৌতুকের ধর্মীয় বিধি-নিষেধ মেনে যৌতুকবিহীন বিয়েতে সাধারণ মানুষের মাঝে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
এদিকে বিয়ের এই সুন্দর আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মো. জাকারিয়া জাকা। এ সময় তিনি ২০ জন কনেকে উপহারসামগ্রী প্রদান করেন।
বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ও ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের তত্ত্বাবধানে বিয়েতে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ঢল নামে। আর এই ২০ জোড়া নারী-পুরুষের বিয়ের সব তদারক করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ দিনাজপুর প্রতিনিধি মাওলানা আইয়ুব আলী আনসারী।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. আবু হুসাইন বিপু, মাওলানা নোমান সিদ্দিক, মাওলানা শাহজালাল নাঈম, মাওলানা সালমান, মো. মাসুদসহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক মাওলানা আইয়ুব আলী আনসারী জানান, আয়োজক ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যাঁরা খরচের ভয়ে বৈবাহিক জীবন গঠন করতে পারেন না তাঁদের জন্যই যৌতুকবিহীন বিয়ের এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তা ছাড়া এ ধরনের বিয়ের মাধ্যমে যৌতুকের যে কুপ্রভাব সেটি তুলে ধরা এবং যৌতুক দেওয়া কিংবা নেওয়া যে ধর্মীয়ভাবে নিষেধ সেটিও জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ায় এই লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাকারিয়া জাকা বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যধি। আর এই ব্যধি দূর করার জন্য সরকার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি সকলে যৌতুকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে মুক্ত হবে সমাজ। যৌতুক দেওয়া কিংবা নেওয়া ধর্মীয়ভাবেও নিষিদ্ধ। এ ধরনের বিয়ে সেই বার্তা পৌঁছে দেবে প্রতিটি ঘরে। তিনি নতুন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ তরুণ-তরুণীদের সামাজিক জীবনে সর্বত্র সাফল্য কামনা করে যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশ সদস্যদের সম্মুখ সারির মানুষ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে পুলিশ বাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। পুলিশ আগে খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়েছিল, এখন পুলিশকে আলোময় বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা পালন করতে হবে। আজ ১৭ মার্চ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি, শৃঙ্খলা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি- তাহলে সব যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব। আইন না থাকলে সরকার, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার কিছুই থাকবে না।
নির্বাচন যতই কাছে আসবে ষড়যন্ত্র ততই তীব্র হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই সতর্ক থাকতে হবে পুলিশকে। আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি, এইটা মনে রেখে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই যুদ্ধাবস্থার সুযোগে শান্তি নষ্টের চেষ্টা করবে ষড়যন্ত্রকারীরা।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ একটা মস্তবড় সম্ভাবনার দেশ। সেটাকে আমরা বাস্তবতায় নিতে পারিনি। নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে। এই সম্ভাবনাকে যেন আমরা হেলায় না হারাই। যারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এমন দেশের পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের।