চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বগইর মডেল স্কুল এ- কলেজে এসএসসি পরীক্ষাথীদের বিদায় সংবর্ধনা, মিলাদ এবং দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বগইর মডেল স্কুল এ- কলেজের মাঠে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ আবুল কাসেম ভুইয়ার সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব প্রফেসর আলমগীর খন্দকার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন,মুক্তিযোদ্ধা মো.রোকন উদ্দিন,দাতা সদস্য মো.হুমায়ুন কবীর ভুইয়া,অভিভাবক সদস্য মো. শাহজাহান খান, বিদ্যুৎশাহী সদস্য মো.নুরুল হত ঠাকুর, অভিভাবক সদস্য লুৎফুর রহমান, মো. লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, অভিভাবক সদস্য আলমগীল সরকার প্রমুখ।
প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব প্রফেসর আলমগীর খন্দকার এবং ব্ক্তারা বলেন,বগইর স্কুল ইতিমদ্যে আশুগঞ্জ তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে একটি আলোচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে শিক্ষাক্ষেত্রে আরো উন্নতি করবে এমনটাই আশা করছেন এলাকাবাসী।
স্টাফ রিপোর্টার:
পোল্ট্রি ফার্মে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা বায়োগ্যাস প্লান্টের বয়লার বিস্ফোরণে মোঃ জুবায়ের (২৮) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত জুবায়ের কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার ধলা গ্রামের মোঃ জলিল মিয়ার পুত্র। তিনি গত ৩-৪ বছর ধরে এ ফার্মে কাজ করতো। গত শনিবার রাত সাড়ে ৬টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড এলাকায় বিল্লাল ভুইয়ার পোল্ট্রি ফার্মে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের এ ঘটনাটি ঘটে।
বিল্লাল ভুইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য। বিস্ফোরণ ও শ্রমিক জুবায়ের নিহতের ঘটনাটি আশুগঞ্জ থানা এলাকায় ঘটলেও বিষয়টি আশুগঞ্জ থানা পুলিশকে পাশ কাটিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে নিয়ে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে এ বায়োগ্যাস প্লাণ্টটি পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকলেও এ থেকে উৎপাদিত গ্যাস আশে-পাশের বাড়িঘর ও দোকানপাটে সংযোগ দেয়া আছে। পোল্ট্রি ফার্মটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বিল্লাল ভুইয়ার পোল্ট্রি খামারে জুবায়ের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। এ খামারে মুরগির বিষ্টা থেকে দুটি বায়োগ্যাস প্লান্ট চলমান। তবে এসব প্লান্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্লান্টের উৎপাদিত গ্যাস ফার্মের নিজস্ব প্রয়োজন মিটিয়ে প্লাষ্টিকের পাইপের মাধ্যমে বিভিন্ন দোকান ও বাড়িতে সরবরাহ করা হতো। জুবায়ের বৈদ্যুতিক ও বায়োগ্যাসের কাজে দক্ষ থাকায় সে বায়োগ্যাসের কাজ করতো। গত শনিবার বায়োগ্যাসে কাজ করার সময় বিকট শব্দে একটি বয়লার বিস্ফোরন হয়। উদগিরিত গ্যাসে জুবায়ের উপরে উঠে গিয়ে পরে বেশ দুরে ছিটকে পড়ে। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলাসদর হাসপাতাল ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সাড়ে রাত ৮টার দিকে সে মারা যায়।
এদিকে বিস্ফোরনের ঘটনা ও শ্রমিক নিহতের ঘটনাটি আশুগঞ্জ থানা এলাকা হলেও নিহতের লাশ তার নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে ফার্মের সামনে কথা হয় মোঃ বিল্লাল মিয়ার ছোট ভাই মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে। তিনি মুরগির সুরক্ষার দোহাই দিয়ে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়নি। তবে কিছুক্ষন আগেই ২-৩ জনকে নিয়ে ফার্ম থেকে বের হতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলেও তিনি এড়িয়ে যান। এদিকে বায়োগ্যাস প্লান্টটি অনুমোদনের আগেই তা থেকে উৎপাদিত গ্যাস প্লাষ্টিকের পাইপ দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দুর পর্যন্ত বিভিন্ন দোকান ও বাড়িতে বাণিজ্যিক ভাবে (মাসিক ১ হাজার টাকায়) সংযোগ দেয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে ফার্মের মালিক মোঃ বিল্লাল ভুইয়া মোবাইল ফোনে জানায়, নিহত জুবায়ের তার ফার্মে ৩-৪ বছর ধরে কাজ করছে। তিনি লাশ নিয়ে নিহতের বাড়িতে রয়েছেন এবং তার পরিবারের সহায়তায় দাফনের প্রস্তুতি চলছে। জুবায়ের নিহতের পর লাশ আশুগঞ্জ থানায় কেন নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি সবটুকুই নিহতের পরিবারের ইচ্ছা।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান বলেন, লাশ থানায় নিয়ে আসার জন্য বলা হলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারা লাশ নিয়ে নিহতের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে নিয়ে যায়। পরে তিনি বিষয়টি তাড়াইল থানাকে অবগত করে। তাড়াইল থানার ওসির বরাত দিয়ে আরো বলেন, সেখানেও নিহতেদর স্বজনেরা লাশের ময়নাতদন্ত করতে আগ্রহ হয়নি বলে জানায়।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে ফার্মটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবশে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ খালেদ হোসাইন বলেন, বায়োগ্যাস প্লান্টটি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করতে নির্দেশনা দিয়েচে। এ সময় এ ঘটনা ঘটল। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে পারিবারিক রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের ঘুষিতে মো. সোহেল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আড়াইসিধা বাজারের পাশের রঙিলা পারায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত সোহেল একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিন মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে রোকন উদ্দিন মিয়ার পরিবারের সঙ্গে আবুল কাশেম মিয়ার ছেলেদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাশেম মিয়ার পরিবারের আলমগীর, খলিল, মাইনুদ্দিন ও রমজানের সঙ্গে রোকন মিয়ার পরিবারের লোকজনের হাতাহাতি শুরু হয়। পরে সোহেল মিয়াকে আলমগীর, খলিল, মাইনুদ্দিন ও রমজান মিয়া ঝাপটে ধরে কিল ঘুষি মারতে শুরু করে। এ সময় সোহেল গুরুতরভাবে আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক পৃথক অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল হক শুভ (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাহিদ সরকার (৪২), বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুল হক মান্না (৫৫) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আদেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, জেলার বিজয়নগরে ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় রাষ্টু মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই নাশকতা মামলায় মাহমুদুল হক মান্নাকে জেলা শহরের পাইকপাড়া ও আদেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে কান্দিপাড়া মহল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি সাচ্চু মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ সদস্যরা।
গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিকে জেলার আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতার সাচ্চু মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামার ছেলে।
আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে র্যাব-৯ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ আগস্ট রাত সোয়া ৯টার দিকে তালশহর নতুন বাজার জিল্লুর রহমান ব্রিজে যুবলীগ নেতা জনি মিয়ার (৩৫) ওপর হামলা চালায় সাচ্চু মিয়া ও তার সহযোগীরা। এসময় তারা জনি মিয়ার দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে কুপিয়ে আহত করে। এসময় জনির চাচাত ভাই আউয়াল মিয়ার ওপর হামলা চালায় তারা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় নিতে বলেন। পথে জনি মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোকসেন মিয়া বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলার পর র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
পরবর্তীতে শনিবার বিকেলে প্রধান আসামি সাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে এ মামলায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাহিদ আহমেদ বলেন, পায়ের রগ কেটে হত্যার মামলার প্রধান আসামিকে র্যাব গ্রেফতার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমবারের মতো সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে।
আজ ৯ জুলাই মঙ্গলবার উপজেলার চাতাল শ্রমিক শফিকুল ইসলামের স্ত্রী চম্পা বেগম (২২) নামে এক মা সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এটি এ চাতাল শ্রমিক দম্পতির প্রথম সন্তান। এতে দারুন খুশি তারা। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ রয়েছে।
সিজারিয়ান অপারেশনে দায়িত্ব পালন করেন গাইনি কনসালট্যান্ট ডাক্তার কামরুন্নাহার, অ্যানেস্থেশিয়া কনসালট্যান্ট ডাক্তার অর্পা দাস, সহযোগিতা করেন মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার নুর-ই জান্নাত ও ডাক্তার মুন্নী প্রমুখ। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূপুর সাহা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূপুর সাহা বলেন, আমরা প্রথম সিজারে আমরা সফল হয়েছি। এ সফলতায় হাসপাতালের সব ডাক্তার ও নার্সরা সহযোগিতা করেছেন।
তিনি বলেন, প্রসুতি মাতা চম্পা বেগম ও তার স্বামী আশুগঞ্জের চাতাল কলের শ্রমিক। সোমবার রাতে প্রসব ব্যথা নিয়ে চম্পা বেগম হাসপাতালে আসে। আমরা প্রথম নরমাল ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করি। কিন্তু নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না হওয়ায় পরে সিজারের সিদ্ধান্ত গ্রহন করি। আমরা সম্পূর্ণ বিনা খরচ এ সেবা দিচ্ছি। প্রয়োজনীয় ঔষধপত্রও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই সরবরাহ করছে। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ রয়েছে। দুদিনের মধ্যেই রিলিজ দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
তিনি জানান, বর্তমানে হাসপাতালটিতে সার্জারি, চক্ষু, অ্যানেসথেসিয়া, মেডিসিন, ডেন্টাল, অর্থোপেডিক, চর্ম ও যৌন বিভাগ এবং নার্সসহ পূর্ণ জনবল রয়েছে। ওটি চালু হবার আগে আমরা নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়িয়েছি। অপারেশন থিয়েটারটি চালু হওয়ায় আমরা এ ক্ষেত্রেও সফল হয়েছি।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০০ সালে আশুগঞ্জ উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও ২০১৮ সালে এখানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়।