অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের আদর্শ জীবন গড়ে এমন দেশ গড়ে তুলতে হবে যে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা পড়াশোনা করে একটি সুন্দর জীবন গড়ে তুলব; কিন্তু সুন্দর জীবন গড়ার যে মৌলিক উপাদানগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রধান উপাদান হচ্ছে মনুষ্যত্ববোধ।’
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে রাজধানীর ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষা সপ্তাহ ও ক্লাব ফেস্টিভাল-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই সময়টা হচ্ছে জীবনের ভিত্তি তৈরি করার সময়।
একটি ভবন তৈরি করতে হলে যে কাজটুকু আগে করতে হয় তা হলো একটি মজবুত ভিত্তি, তারপর কিন্তু বড় দালান তৈরি হয়। তেমনি করে যারা শিক্ষার্থী তাদের এই সময়টা হচ্ছে জীবনের উৎকৃষ্ট সময়। এখানে আমরা জীবনকে যেভাবে গড়ে তুলব ঠিক সেভাবে পরবর্তী জীবনটাকে পার করতে পারব।’
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পুঁথিগত বিদ্যা, আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও ভালো ফলাফলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।
বিশ্ব সম্পর্কে জানতে হবে ও নিজেদের কাজগুলো সুন্দরভাবে করতে হবে। পরিবার ও শিক্ষকমণ্ডলীর প্রদর্শিত আদর্শ পথকে অনুসরণ করে এমন একটি জীবনের ভিত্তি তৈরি করতে হবে, যে জীবনটা আমরা পরবর্তীতে আমাদের দেশের জন্য, নিজেদের জন্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উপহার দিতে পারি।’
অনুষ্ঠানে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী, ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম, শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বার কাউন্সিলের বেনেভোলেন্ট ফান্ডে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ফান্ড থেকে ৩০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ২১ অক্টোবর শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আইনজীবী মহাসমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিগত বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের কল্যাণ ও বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।
আইনজীবী মহাসমাবেশে সভাপতিত্বে করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব শেখ ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ সারাদেশ থেকে আগত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসারী আইনজীবীরা এই মহাসমাবেশে অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, হাইকোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশন সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বিন্যাস করে রায় দিয়েছেন। সে অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলন তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পাক্ষিক মত ও পথ-এর আয়োজনে ‘সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তা নিশ্চয় কিছু ভুল-বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনির জন্য সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটা কখনোই পূরণ হয়নি। বাস্তবে এটি ৭ থেকে ৮ শতাংশের বেশি হয়নি। এই ৭-৮ শতাংশ কোটা পূরণকারী প্রতিযোগীরা প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভায় নিজস্ব যোগ্যতার বলে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এরপর এসেছে কোটার প্রশ্ন। তথাকথিত আন্দোলনকারীরা এসব বিষয়ে না বুঝেই আন্দোলনে মাঠে নেমেছে।
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করে নিজেদের রাজাকার আখ্যায়িত করেছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের চেতনাবিরোধী তাদের এই স্লোগান সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি।
তাদেরকে বুঝতে হবে যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপ দেশের মানুষ সহ্য করবে না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং সুধীসমাজের কতিপয় সদস্যের নেতিবাচক বিবৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করেছে, সেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের যারা পিটিয়েছে, তাদের হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়েছে তাদের সমালোচনা না করে উনারা বরং নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, অগ্নিসংযোগকারী আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করছেন। এই সহমর্মিতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ তাদের হীন উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করে। তারা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা যে স্বাধীনতার আদর্শে অনুপ্রাণিত নয় এতে সেটাই প্রমাণিত হয়।
গণপূর্তমন্ত্রী আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে তারা ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়েছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করেছে, যারা নিজেদের রাজাকার বলে পরিচয় দিয়েছে; তারা প্রকৃত অর্থে আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অপমান করার চেষ্টা করেছে।
তাদের বিচার হওয়া উচিত। যারা মেট্রো রেলের স্টেশন, বিটিভি, ত্রাণ অধিদপ্তর, সেতু ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়েছে তারা শুধু রাষ্ট্রের ক্ষতি করেনি, তারা নিজেদেরও ক্ষতি করেছে। কারণ এসব রাষ্ট্রীয় সম্পদে সবারই অংশীদারি রয়েছে।
সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করে কখনো সরকার উৎখাত করা যায় না, বরং এটা নিজেদেরই ক্ষতি। এই অযৌক্তিক আন্দোলনকে ইস্যু করে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও সব কিছুর সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হওয়া উচিত এবং বর্তমান সরকার তা সঠিকভাবে করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন ‘আমরা একাত্তর’-এর সভাপতি এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী ডাকসুর প্রথম জিএস মাহবুব জামান প্রধান আলোচক হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-পরবর্তী বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচির স্মৃতিচারণা করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে হতাহতের ঘটনা ঘটার দুই দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাথিউ মিলার কিভাবে দুজন নিহতের ঘটনা উল্লেখ করলেন সে প্রশ্ন তোলেন। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত ও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া আন্দোলন চলাকালে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি নিজ দলের অস্তিত্ব নিয়ে ভয়ে এখন আবোল তাবোল বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক। আজ ৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে হার পাওয়ার প্রকল্পের অধীনে ৮০ জন প্রশিক্ষিত নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ল্যাপটপ বিতরণ কালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যখন তার রাজনীতির অস্তিত্ব নিয়ে ভয়ে থাকেন, তখন তারা আবোল তাবোল বলতে থাকে। ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে বিএনপি এখন আবোল তাবোল বলছে।
হঠাৎ পাহাড় অশান্ত সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আরো তথ্য জানা প্রয়োজন। সেই বিষয়ে জেনে মন্তব্য করবেন। এর আগে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদেরকে ক্ষমতায়ন করার জন্য হার পাওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। নারীরা এগিয়ে না যেতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে না। তিনি প্রশিক্ষণ লব্দ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নারীদেরকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌর সভার মেয়র এমজি হাক্কানী, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুক্তারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী ৮০ জন নারীর উদ্যোক্তার মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে মাছে রং করে বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট শহর প্রধান ফিসারি ঘাট কেবি মাছ বাজার এলাকা ও সদর উপজেলার ফতেপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। পুলিশ ও কৃষি বিপণন বিভাগের সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই অভিযান পরিচালনা করে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট শহর প্রধান ফিসারি ঘাট কেবি মাছ বাজার এলাকা ও সদর উপজেলার ফতেপুর বাজারে অভিযানকালে মাছে রং করা অস্থায় মাছ বিক্রেতাসহ মূল্য তালিকা না থাকার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ৩টি পুনরায় এই ধরনের অনিয়ম করা থেকে বিরত থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এ সময় রং করা মাছ নষ্ট করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য একটি নতুন অফিস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় ফিতা কেটে তিনি এই কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।
এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে জাতীয় সংদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ, হুইপ, সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস