অনলাইন ডেস্ক :
প্রত্যেক গ্রহই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। তাদের একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথ আছে। আগে মানে করা হতো, গ্রহগুলো বোধ হয় বৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এ ধারণা ভুল। গ্রহগুলো উপবৃত্তকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে জার্মান বিজ্ঞানী জোহান কেপলার গ্রহগুলোর উপবৃত্তাকার পথের ধারণা দেন। নিউটন কেপলারের দেওয়া ধারণাগুলোকে সমীকরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেন। ফলে প্রমাণিত হয় গ্রহগুলো উপবৃত্তাক পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।
পৃথিবীর কথায় ধরা যাক। পৃথিবী উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। তাই বছরের একটা সময়ে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে নিকটে পৌঁছয়। ওই সময়ে পৃথিবী কক্ষপথের যে বিন্দুতে অবস্থান করে তাকে অনুসুর বিন্দু বলে।
অর্থাৎ অনুসুর বিন্দু হলো সূর্যের থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের সবচেয়ে নিকটতম পথ। নিউটনের নিয়মানুযায়ী প্রতিটা গ্রহ এক গ্রহ বছরে একটা পূর্ণচক্র সমগ্র করতে হয়। একটা পূর্ণচক্র সম্পন্ন করা মানে ৪ সমকোণ বা ৩৬০ ডিগ্রি কৌণিক পথ ঘোরা।
কিন্তু নিউটনের পরবর্তী কালের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটা ধাঁধায় পড়ে যান। সেটা হলো বুধ গ্রহের গতি।
বুধ গ্রহ একটা অনুসুর বিন্দু পার করে পরবর্তী বছর যখন আবার অনুসুর বিন্দুতে পৌঁছয় তখন তারা একটি পূর্ণচক্র আবর্তন করে না। করে তার চেয়ে বেশি কৌণিক পথ। অর্থাৎ বুধ গ্রহের দুটি অনুসুর বিন্দুর ভেতর ৩৬০ ডিগ্রির চেয়ে বেশি কোণ উৎপন্ন হয় না। দুটি অনুসুরের মধ্যে ৩৬০ ডিগ্রি কোণ হতো যদি বুধ গ্রহ প্রতিবছর একই বিন্দুতে অনুসুর পেত। কিন্তু প্রতিবছর বুধ গ্রহের অনুসুর বিন্দু একটু একটু করে সামনের দিকে সরে যায়। তাই দুই বিন্দুর মধ্যে কৌণিক ব্যাবধান সৃষ্টি হয়। এই কৌণিক ব্যাবধান মাপার উপায় হলো সূর্য থেকে অনুসুর বিন্দু পর্যন্ত একটা সরল রেখা আঁকা।
ওপরের চিত্র বুধ গ্রহের অনুসুর দেখানো হয়েছে। A বিন্দু হলো ২০২০ সালের অনসুর বিন্দু এবং B বিন্দু হলো ২০১৬ সালের অনুসুর বিন্দু। দুটির ভেতর স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। যদিও এখানে কৌণিক ব্যাবধান যতখানি দেখানো হয়েছে হিসাব অনুযায়ী ফলটা এর চেয়ে অনেক অনেক ছোট হবে। কিন্তু বোঝার সুবিধার্থে আমরা এ রকম চিত্রই আঁকলাম।
কেন এমন হচ্ছে, দীর্ঘদিনের এ সমস্যার সমাধান দেন আইনস্টাইন। তাঁর জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটির মাধ্যমে; হিসাব কষে।
আইনস্টানের এই হিসাব জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করে। আসলে নিউটনের সময় মহাকর্ষ বলের ধারণাই ছিল অন্য রকম। তা ছাড়া নিউটন সমতল জ্যামিতির বাইরে নন-ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতির কথা ভাবেনইনি। তা ছাড়া দুমড়ানো-মোচড়ানো বক্র মহাবিশ্বের কথা তাঁর জানা ছিল না। সুতরাং বক্র মহাবিশ্বে গ্রহ-নক্ষত্রের চলার গতির জন্য সম্পূর্ণ আলাদা কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে, তা তিনি জানতেন না। আইনস্টাইন নন-ইউক্লিডীয় জ্যামিতি ব্যবহার করে সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সাহায্যে বুধ গ্রহের কক্ষপথের সমস্যার সমাধান দিলেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সমস্যা কি শুধু বুধ গ্রহের ক্ষেত্রে নাকি অন্য গ্রহগুলোর ক্ষেত্রেও একই সমস্যা তৈরি হয়? সব গ্রহের অনুসুর বিন্দু প্রতিবছর একই কৌণিক অবস্থানে থাকে না। কিন্তু তাদের মধ্যে পার্থক্য অতি সামান্য। সেগুলো ইচ্ছে করলেই এড়িয়ে যাওয়া যায়। তাই নিউটনের সূত্র দিয়ে অন্য গ্রহগুলোর গতি ব্যাখ্যা করা যায়। সূত্র : স্পেস ডট কম
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩ সালে ক্লিভল্যান্ড স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন ভারতের হায়দরাবাদের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবদুল আরাফাত। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে আজ মঙ্গলবার সকালে নিউইয়র্কের ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর আগে দূতাবাস বলেছিল, তারা আবদুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে এবং তাঁকে খুঁজতে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।
মঙ্গলবার দূতাবাসের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘মোহাম্মদ আবদুল আরাফাতকে খুঁজতে অভিযান চলছিল। তাঁকে ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডে মৃত অবস্থায় পাওয়ার কথা জানতে পেরে আমরা ব্যথিত। মোহাম্মদ আরাফাতের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা তার মৃতদেহ ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করছি।’
জানা গেছে, আবদুলের বাবার কাছে মুক্তিপণ চেয়ে একটি ফোনকল এসেছিল। আবদুলকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ১ হাজার ২০০ ডলার মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল।
চলতি বছর এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১১ জন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আটজনই শিক্ষার্থী। এসব মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ভারতীয় শিক্ষার্থী এবং ভারতে অবস্থানকারী তাঁদের পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হিসাব অনুসারে, ২০২২-২৩ সেশনে ভারত থেকে দেশটিতে ২৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থী গেছে। আগের সেশনের তুলনায় এ হার ৩৫ শতাংশ বেশি। সূত্র: এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রে অফ লাইনে চলে গেছে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম টিকটক। আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক অফলাইনে চলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপে একটি বার্তা প্রদর্শন করছে। সেখানে লিখা আছে, টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি আইন প্রণীত হয়েছে, আপনি এখন টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না।
এই বার্তায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা সৌভাগ্যবান যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পরে টিকটক পুনঃস্থাপনের সমাধানে আমাদের সাথে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে টিকটককে ৯০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় এক হাজারের বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে। ওই ঘটনার পর ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি নাগরিকরা।
জবাবে সেই ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। সেই যুদ্ধ এখনও চলছেই।
এর মধ্যেই ভয়ঙ্কর ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইহুদিবাদী ওই ভূখণ্ডে। ইতোমধ্যে দেশটির হাসপাতালগুলোতে কয়েকশ’ মানুষ ছুটে গেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
সেফেডের জিভ মেডিকেল সেন্টারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে সেফেডের জিভ মেডিকেল সেন্টারে হাসপাতালে ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ভর্তি করা হয়। ওই শিশুর অবস্থা গুরুতর। টাইবেরিয়াসের গাই বিচ ওয়াটার পার্কে সাঁতার কাটতে গিয়েছিল।
এর আগে ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মগজ খেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনিও তাইবেরিয়ার গাই বিচ ওয়াটার পার্কে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর ইসরায়েলি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়াটার পার্কটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরিবেশ স্বাস্থ্যকর্মীরা ইতোমধ্যে ওই ওয়াটার পার্ক পরিদর্শন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। কিন্তু ওয়াটার পার্কের পানিতে ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টাইবেরিয়াসের গাই বিচ ওয়াটার পার্কে যাওয়া ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গেছেন। পরে জানা গেছে, তারা কেউই ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবায় আক্রান্ত হননি।
নেগেলেরিয়া ফাওলেরি নামে পরিচিত অ্যামিবা হ্রদ, নদী এবং উষ্ণ প্রস্রবণের মাটি এবং উষ্ণ মিষ্টি পানিতে বাস করে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্যানুসারে, অ্যামিবাযুক্ত পানি নাকের নাকের ভেতর দিয়ে মস্তিষ্কে সংক্রমণ হয়। এ কারণে এটিকে সাধারণত ‘মগজ খেকো অ্যামিবা’ বলা হয়। এই অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, জিউস নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব দুই বন্ধুর হাতে। তাঁরা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং অ্যাডমিরাল দিনেশ ত্রিপাঠি। এমন ঘটনা ভারতে এই প্রথম।
অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠি গত ১ মে নৌবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর আগামীকাল (১ জুলাই) সোমবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
দুজন ১৯৭০–এর দশকের প্রথম দিকে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সৈনিক স্কুল রেওয়ায় লেখাপড়া করতেন। ওই স্কুলে তাঁরা পঞ্চম শ্রেণি থেকে এ-লেভেল পর্যন্ত একসঙ্গে লেখাপড়া করেছেন। তাঁদের দুজনের রোল নম্বরও কাছাকাছি ছিল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদীর রোল নম্বর ছিল ৯৩১ এবং অ্যাডমিরাল দিনেশ ত্রিপাঠির রোল নম্বর ছিল ৯৩৮।
স্কুলের প্রথম দিকে তাঁদের দুজনের মধ্যে বেশ ভালো বন্ধুত্ব ছিল। স্কুলের পরেও দুই বন্ধু একে অন্যের খোঁজ নিতেন। যোগাযোগ রাখতেন। দুজনকেই চেনেন এমন একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সামরিক বাহিনীতে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব দুই বাহিনীর সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা রাখবে।
দুই বন্ধুর দুই বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সময়ও প্রায় কাছাকাছি। ব্যবধান মাত্র দুই মাসের।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী দীর্ঘদিন ভারতের সেনাবাহিনীর নর্দান আর্মি কমান্ডার ছিলেন। এএনআই এর তথ্য মতে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী ১৯৮৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলসে যোগ দেন।
ডেস্ক :
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণায় অভিযুক্ত বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা ভারতে জামিন পেয়ে পালিয়ে গেছেন। ভারতের মেখলিগঞ্জ থানায় প্রতি সপ্তাহে সশরীরে থানায় হাজিরা দেওয়ার শর্তে জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। এর আগে এক প্রতিবেদনের মাধ্যেম দেশটির পুলিশ সদর দপ্তর হাইকোর্টকে জানায় সোহেল রানা বর্তমানে আলীপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি ৪২ দিন ধরে সেখানে নেই।
পুলিশ জানায়, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ তার সাজা ঘোষণা করেন। এরপর থেকে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলেই ছিলেন। কিন্তু জেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জামিনের আবেদন করেন সোহেল। পরে মেখলিগঞ্জ থানায় প্রতি সপ্তাহে সশরীরে হাজিরা এবং থানা এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না এমন শর্তে একই বছরের ৮ ডিসেম্বর তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
পুলিশ আরো জানায়, জামিন পাওয়ার পর থানায় এসে হাজিরা দেওয়ার পরিবর্তে তিনি একটি ই-মেইলের মাধ্যমে জানান শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য তাকে উন্নত চিকিৎসা নিতে থানা এলাকার বাইরে যেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু কাগজও থানায় ই-মেইল করেন তিনি। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ই-অরেঞ্জ কাণ্ডের পর ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের পর শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে এক বোনের কাছে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সোহেল রানা। ভূটান-নেপাল ও বাংলাদেশ সীমানা ঘেরা শিলিগুড়ি করিডোর থেকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে। উন্মুক্ত ভারত-নেপাল সীমান্তের সুযোগ নিয়ে ফের নেপালে পালানোর চেষ্টা করতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।