চলারথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় কৃষক রহিজ মিয়া হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে কসবা থানা পুলিশ। আজ ১১ জানুয়ারি রবিবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর এলাকার পৈরতলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জজ মিয়া জেলার কসবা উপজেলার নিমবাড়ী গ্রামের জমসেদ মিয়ার ছেলে। আজ দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কসবা উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামে পান্ডবের গোষ্ঠী ও কাবলি গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমাসহ বিভিন্ন বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২০১৭ সালে ১০ এপ্রিল সকালে রহিজ মিয়া, নাবালক সরদার ও ফরিদ মিয়া বাদৈর বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে কাবলি গোষ্ঠীর লোকজন হামলা করেন। এ সময় রহিজ মিয়াসহ তার সাথে থাকা দু’জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে রহিজ মিয়া মারা যান। এ ঘটনায় রহিজ মিয়ার স্ত্রী নার্গিছ বেগম কসবা থানায় ১৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে গত মাসের ২৪ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি জমসেদ মিয়ার ছেলে জজ মিয়াকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা রায় প্রদান করেন। এছাড়া একই মামলায় জমসেদ মিয়ার আরও ৪ ছেলে ইয়াসিন মিয়া, খোকন মিয়া, মনির মিয়া ও পারভেজ মিয়া ও তাদের পক্ষের আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে আশরাফুলকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশের পাশাপাশি ২ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। মামলার প্রধান আসামী জমসেদ মিয়াসহ ৯ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং জমসেদ মিয়ার অপর ছেলে আসামী খোকন মিয়াকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় প্রতারণা করে আত্মসাৎকৃত ১৫৮ বস্তা ভুট্টাসহ মো. আব্দুর রহমান নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৩ মার্চ শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. আব্দুর রহমান (৩৭) পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা (ছয়গড়িয়া পাড়া) এলাকার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা শরিফপুর ইউনিয়নের লালপুর খোলাবাজার মোহাম্মদ আলী মিয়ার রাইস মিলের গোডাউন থেকে ১৫৮ বস্তা ভুট্টা উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার জয়নাল আবেদীন একজন সিজনাল পণ্যের ব্যবসায়ী। জয়নাল আবেদীনের ব্যবসায়িক পার্টনার আল-আমিন মিয়ার সাথে আব্দুর রহমানের মোবাইলে পরিচয় ছিল। আব্দুর রহমান জয়নাল আবেদীনকে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি বাজারের মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ তাদের নিকট থেকে ভুট্টা ক্রয় করতে ইচ্ছুক। পরে জয়নাল আবেদীন আব্দুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে ১৬৪ বস্তা ভুট্টা একটি পিকআপভ্যানে করে ২০ মার্চ (বুধবার) রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ হতে রওনা দিয়ে পরের দিন ভোরে কসবা তিনলাখপীর বাসষ্ট্যান্ডে এসে পৌঁছে। ২১ মার্চ সকালে আব্দুর রহমান লেবার দিয়ে তার আনা দুটি পিকাপে ভুট্টা বোঝাই করে করে কুটি এলাকায় তার গদির উদ্দেশ্য পাঠান। পরে ভুট্টার মূল্য বাবদ ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮০ টাকা দিবে বলে মো. নুরুল আলমকে আব্দুর রহমান মোটরসাইকেলে যোগে তার গদির উদ্দেশ্য রওনা দেন। পরে আব্দুর রহমান তার গদিতে না নিয়ে জেলার আখাউড়া খরমপুরের কেল্লাশাহর মাজারে নিয়ে যায়। পরে আব্দুর রহমান তার শশুরবাড়ি থেকে টাকা আনতে যাচ্ছে বলে নুরুল আলমকে তার মোটরসাইকেলটি পাহারা দিতে বলে। কিন্তু আব্দুর রহমান আর ফিরে আসেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ করে ফেলে। পরে ২৩ মার্চ সকালে জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, শনিবার রাতেই গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলার পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকা থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে রাতেই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা শরিফপুর ইউনিয়নের লালপুর খোলাবাজার মোহাম্মদ আলী মিয়ার রাইস মিলের গোডাউন থেকে ১৬৪ বস্তা ভুট্টার মধ্যে ১৫৮ বস্তা ভুট্টা উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৯ নভেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও নবীনগর উপজেলায় পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো:- সেলিম (৬১), মো. ইসরাইল মিয়া (৫০), মো. হাসান উদ্দিন (৫৩) ও মো. মোরসালিন আহম্মদ চৌধুরী (২৮)।
সেলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উলচাপাড়া এলাকার মৃত ছাহেদ আলীর ছেলে। তিনি রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া মো. ইসরাইল মিয়া পৌর শহরের বিরাসার এলাকার মৃত সফর আলীর ছেলে। ইসরাইল মিয়া বিরাসার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
মো. হাসান উদ্দিন নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ৪নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং আটককৃত মোরসালিন কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার স্বপন চৌধুরী ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বিভিন্ন স্থানের অভিযান পরিচালনা করে দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা ও একজন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম, ইসরাইল এবং ছাত্রলীগ নেতা মোরসালিনকে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে, নবীনগর থানার ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী গত বৃহস্পতিবার জুয়েল মিয়া (২৫) ও তার স্ত্রী রুমি আক্তারকে আসামি করে থানায় মামলা করে। পরে রাতেই জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জুয়েল উপজেলার চারুয়া গ্রামের নুর জামালের ছেলে।
জানা যায়, ওই কিশোরী উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের একটি গ্রামে পড়াশোনা করত। জুয়েল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ওই গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বাস করেন। দুই মাস আগে এক দিন কিশোরী জুয়েলের ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করে জুয়েল। এ ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় তাকে। এর পর থেকে প্রতিদিনই ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করত জুয়েল। বিষয়টি একসময় জুয়েলের স্ত্রীকেও জানায় কিশোরী। পরে মাকে জানায় সে।
কসবা থানা পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, জুয়েলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় সড়কের ওপর পড়ে থাকা একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা তল্লাশি করে ২০০ বোতল বিদেশি মদ (ভারতীয়) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল ২৪ মে বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে পৌর এলাকার মা মনোয়ারা হাসপাতালের সামনের সড়ক থেকে এ মদ উদ্ধার করে কসবা থানা পুলিশ।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, রাতে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এর মধ্যে খবর আসে উপজেলা হাসপাতালে বিপরীত পাশে মা মনোয়ারা হাসপাতালের সামনের সড়কে একটি অটোরিক্সা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশ গিয়ে অটোরিক্সাটি উদ্ধার করে। তবে সেখানে এর চালক বা কোনো যাত্রী পাওয়া যায়নি। পরে এটি তল্লাশি করে এর ভেতরে থাকা কয়েকটি বাক্সে ২০০ বোতল বিদেশি মদ পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, মদসহ অটোরিক্সাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অটোরিক্সার মালিক কে এবং এ মাদক পরিবহনের সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে বের করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চিকিৎসাধীন এক স্বজনকে রক্ত দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এক যুবক। নিহত ওই যুবকের নাম মো. ইয়ার হোসেন (৩৩)।
গতকাল ১৭ জুন শনিবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা নামকস্থানে ওই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়ার হোসেন কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানার পাকদেওড়য়া গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে। ইয়ার হোসেনকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিক্সাটি সড়ক নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ‘রোলার গাড়িতে’ ধাক্কা লাগলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুঘটনায় আরো দু’জন আহত হয়েছেন।
কসবা থানা, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ব্লাডব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠনের সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে, ইয়ার হোসেন একজন নিয়মিত রক্তদাতা ও ব্লাডব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়নের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, রাত পৌনে আটটার দিকে খাড়েরা এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
নিহত ইয়ার হোসেনের কাছে ব্লাড ব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠনের আইডি কার্ড রয়েছে বলেও জানান তারা।