চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে একটি পুকুরে ভেসে উঠেছে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া দুটি পা।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে উপজেলার বিটঘর গ্রামের উত্তর পাড়া থেকে পা দুটি উদ্ধার করে দমকল বাহিনীর সদস্যরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে পুকুরে পা দুটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দমকল বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পা দুটি উদ্ধার করে। দুটি পা অর্ধগলিত। দমকল বাহিনীর সদস্যরা দেখছে দেহের বাকি অংশ এ পুকুরে পাওয়া যায় কিনা।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি সদর উপজেলায় লাগেজে মাথা ও দুই পা ছাড়া এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই পা দুটি ওই মরদেহের কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পা দুটি ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে, গত ৩১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সেন্দ গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে লাগেজ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই লাগেজে ছিল মাথা ও দুই পা বিচ্ছিন্ন থাকা একটি মরদেহ। ওই মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
যৌথ বাহিনীর অবৈধ অস্ত্র ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী উদ্ধার অভিযানে নবীনগরে ২ জন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় নুরজাহানপুর পশ্চিমপাড়ায় আজ ১২ অক্টোবর শনিবার ভোরে আনুমানিক ৪টায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এতে সন্ত্রাসী ও অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবস্থান সম্পর্কে প্রাপ্ত গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে নবীনগর উপজেলায় নুরজাহানপুর পশ্চিমপাড়ায় ২ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. মনেক মিয়া (পিতা মৃত সৃদন মিয়া) ও মো. সুমন মিয়া (পিতা কালা মিয়া)। এই ২ জন সন্ত্রাসীকে স্থানীয় নিজ বাড়ি হতে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১ টি চাকু, ১ টি নম্বর প্লেট বিহীন সুজকি মোটর সাইকেল, ৩ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ১ টি বাটন মোবাইল ও নগদ ৪০,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি এবং উদ্ধারকৃত দ্রব্যসামগ্রী নবীনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে জিনদপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে উপজেলার জিনদপুর বাজারে এই দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জিনদপুর ইউনিয়ন কৃষকদের আহবায়ক মোঃ মাঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কে.এম মামুনুর অর রশিদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ জিল্লুর রহমান, উদ্বোধক হিসাবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আল আমিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক হাজী মোহাম্মদ জহিরুল হক জরু মিয়া, সদস্য সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন বাবুলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি’র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন অত্র ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ রাব্বী হাসান।
সম্মেলনে মোঃ মাঈন উদ্দিনকে সভাপতি ও মোঃ রাব্বী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
সম্মেলনে মোঃ মাঈন উদ্দিন পূণরায় ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি ও মোঃ রাব্বী হাসান পূণরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কে.এম মামুনুর অর রশিদ এর নেতৃত্বে জিনদপুর বাজারে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে চুওরিয়ায় সাঈদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রায় ৩ শতাধিক অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ৭ম বারের মতো ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের চুওরিয়া মুন্সি রহিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, সাঈদ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার ও নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. সায়েদুল হক সাঈদ।
আয়োজকরা জানায়, আর্তমানবতা ও নবীনগরবাসীর সেবায় ৭ম বারের মতো বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণী কর্মসূচি মোঃ সায়েদুল হক সাঈদ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে “ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প” পরিচালনা করা হচ্ছে। ফ্রি চিকিৎসা সেবা নবীনগরের প্রত্যেক জন-সাধারণের নিকট পৌঁছে দিতে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে এই কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
এ সময় সাতমোড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সী, সাতমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান খসরু, সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল হামীম রিপন, বিএনপি নেতা নুরু মিয়া মেম্বারসহ স্থানীয় বিএনপি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত চলছে ঈদের কেনাকাটা। গত ৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার সদর বাজারসহ অন্যান্য কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ছোট বড় শপিং মলের পাশাপাশি বিক্রি বেড়েছে ফুটপাতেও।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নবীনগর উপজেলার শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান ও রাস্তার পাশের ফুটপাতে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদের নতুন চালান থেকে বেছে নিচ্ছেন অভিভাবকসহ তরুণ তরুণীদের ড্রেস ও প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই শিশুরাও, অভিভাবকরা শিশুদের জন্য কিনছেন বাহারি রকমের পোশাক। ঈদ বাজার জমজমাট হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও। আধুনিক সমবায় সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। পুরো পরিবার নিয়েই অনেকে হাজির হয়েছেন শপিং মার্কেটে। নবীনগর পৌর এলাকার পূর্ব পাড়ার মুসা মিয়া বলেন, প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসেছি বন্ধুবান্ধবসহ পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করব। পরিবার ও নিজের জন্য ঈদের কেনাকাটা করছি।
ঈদের শপিং করতে আসা বিদ্যাকুট গ্রামের ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ঈদের কেনাকাটা করবো বলেই উপজেলার সদর বাজারে আসছি কিন্তু এ বছর তুলনামূলক সবকিছুর দাম বেশি মনে হচ্ছে। সমবায় মার্কেট থেকে শার্ট ও প্যান্ট কিনেছি, এখন জুতা কিনতে সালাম রোডের দিকে যাচ্ছি।
রসুলাবাদ থেকে আসা আফরোজা বেগম বলেন, ঈদের কেনাকাটা করতে নবীনগর বাজারে আসছি। ঈদের জন্য জামা কাপড় কিনেছি। ছেলে ভাইনা করেছে নীল রঙের ঘড়ি কিনবে, ঘড়ির দোকানে যাচ্ছি। দামের বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দাম একটু বেশি।
পৌর এলাকা রাজ্জাক মিয়া বলেন, গত দুই মাস আগে যে শার্ট ৫০০-৭০০ টাকায় কিনেছি এখন তা ৮০০-১০০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
খাজানগর গ্রামের রহিছ মিয়া জানান, ঈদের কেনাকাটা করতে পরিবার নিয়ে শপিংমলে আসছি। গত বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম বেশি মনে হচ্ছে। একটি থ্রি পিস কিনতে গেলে ৩২০০ টাকা দাম বলেন, যা পরে আমার কাছে ১১০০ টাকা বিক্রি করেন। নির্ধারিত মূল্য তালিকা না থাকায় ঈদকে সামনে রেখে কিছু দোকানদাররা এই সুবিধা নিচ্ছেন বলে তার অভিযোগ। তুলনামূলক রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানগুলোতে এবছর বেড়েছে বিক্রির পরিমাণ। শপিংমল গুলোতে মূল্য বেশি হওয়ায় অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মন্দার কারণে আগের চেয়ে সব পণ্যের দাম চওড়া। তাই আমাদের কিনতে হয় বেশি দামে। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারাও দেখে শুনে যাচাই করে নিচ্ছেন
চলারপথে রিপোর্ট :
গেলো বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় নিহত পরিবারের একমাত্র ছেলের স্মৃতিকে পুরো জাতির সামনে তুলে ধরতে নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে নির্মাণ করা হয় শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ।
আজ ৫ এপ্রিল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর সিএনজি স্টেশনে শহীদ সুজয় স্মৃতি স্তম্ভ উদ্বোধন করেন ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু।
বিটঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শহীদ স্মৃতি বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরীর সভাপতিত্বে শহীদ সুজয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সানোয়ারা সুলতানা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্মৃতি স্তম্ভ নির্মানের পৃষ্ঠপোষক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু, ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট মেহেদী হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির মূখ্য সংগঠন আতাউল্লাহ, অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম তপু, সাধারণ সম্পাদক কাজী রেজাউর রহমান তানভীর, উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি মমিনুল হক ভূঁইয়া,আন্দোলনে আহত মোঃ জামাল মিয়া, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান সুজন, শাহজাহান মাষ্টার প্রমুখ।
বক্তারা, জুলাই আগস্টের স্পিড হৃদয়ে ধারণ করে সামনের বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলমত নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।