চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে উপজেলার কালিকচ্ছে মজনু মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর সদস্য খালেদা মুন্নী, মো. খায়রুজ্জামান ইমরান, সোহেল রানা ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ওয়াসিম। তরী সরাইল শাখার সদস্য সদস্য শাহাগীর মৃধার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- কবি আবুল কাশেম তালুকদার, মো. শাহিন শাহ, মোহাম্মদ আইয়ুব খান ও মুখলেছুর রহমান।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খানকে আহ্বায়ক ও সাংবাদিক মো. শাহাগীর মৃধাকে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ সরাইল শাখার সদস্য সাংবাদিক মো. আলমগীর মিয়া, রাকিবুর রহমান রকিব, নাজমা বেগম, শেখ কামরুজ্জামান সজল, জয়নাল আবেদিন, মো. বেলাল মিয়া, মো. জুনায়েদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শেখ মো. মামুন মিয়া, মো. নাজমুল হক ও মোহাম্মদ শাহিন মিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। ধান শুকানোর ‘খলা’ দখল নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৪ রাউন্ড গুলি ও তিন রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, পরমানন্দপুর গ্রামের সরকারি একটি জায়গায় অনেক দিন যাবৎ সাব্বির ও তার লোকজন দান শুকায়। বৃহস্পতিবার কাঞ্চন গ্রুপের লোকজন ওই জায়গার মাটি কেটে দখলে নিতে চায়। এরই জের ধরে দুই পক্ষের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় ঝগড়ার নেতৃত্ব দেন সানাউল্লাহ গোষ্ঠীর কাঞ্চন মিয়া এবং বুইল্লার দলের পক্ষে জিয়াউল আমিন। পরে সোনাউল্লাহর পক্ষে যোগ দেয় খাঁ বাড়ি, কৈবর্তবাড়ির লোকজন। আর বুইল্লার বাড়ির সাথে যোগ দেয় বুদ্ধির গোষ্ঠী, বড়বাড়ি ও উজিবাড়ির লোকজন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে আছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ লাঠিপেটার পাশাপাশি গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তরুণ-তরুণীদের মতো ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়েছেন প্রবীণ ভোটাররাও। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে খুশি তারা।
আজ ৮ মে বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নাতির কোলে করে আসেন ৯০ বছর বয়সী কাশেম মিয়া। নাতির কোল থেকে নেমে দাঁড়ানোটাই অসাধ্য কিন্তু ভোট দেওয়ার ইচ্ছে ধরে রাখতে পারেননি এই বৃদ্ধ। কথা হলে কাশেম মিয়া বলেন, ‘ভোট দিতাম আইসি।’
এ ছাড়া যেন আর কোনো কথাই মুখে ফুটছে না। এ সময় নাতি ইদ্রিস বলেন, সকাল থেকেই ভোট দিতে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছেন। বয়স হয়ে গেছে, তারপরও ভোট দিতে এসেছেন। দাদাকে কোলে নিয়ে ভোট দেওয়াটা হয়ত একদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ৭০ বছরের ওসমান গণি বলেন, ছেলের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে এসেছি। এই বয়সে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে কষ্ট হত। কিন্তু তা হয়নি বলে বেশ ভালোভাবেই ভোট দিতে পেরেছি। ভোট দিয়ে ভালো লাগছে।
এদিকে বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার বাড়িউড়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ইবতেদায়ি মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর কথা হয় প্রবীণ নাগরিক রহিমার সঙ্গে। প্রায় ৯০ বছরের এই নাগরিক ভোট দিতে এসেছেন ছেলের স্ত্রী সাকেরা বেগমের হাত ধরে।
রহিমা বেগম বাড়িউড়া গ্রামের মৃত জারু মিয়ার স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভোট দিতে আইসি। কবে মরে যাই কইতে পারি না।’
অন্যান্য ভোটকেন্দ্রগুলোতেও প্রবীণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে প্রতিটি কেন্দ্রেই বয়স্ক ভোটারদের লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। তারা সরাসরি ভোট দিয়েছেন।
সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মোমিনুর রহমান বলেন, নাতির কোলে করে আসা বৃদ্ধ কাশেম মিয়াকে আমি নিজে ভোট দিতে সাহায্য করেছি। তাছাড়া পুলিং অফিসারদের বলা ছিল এ সমস্ত ভোটারদের যেন আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বাড়িউড়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রিসাইডিং অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রবীণ ভোটাররা যে কষ্ট করে ভোট দিতে আসেন এটাই সৌভাগ্য। ভোট দিতে এসে তারা যেন হেনস্তা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আশরাফ উদ্দিন মন্তুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ১৯ মার্চ বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অ্যাড. আশরাফ উদ্দিন মন্তু (৪২) সরাইল উপজেলার নতুন হাবলি (সাগর দিঘীরপাড়) এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে। সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
সরাইল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বুধবার বিকেলে জেলা শহরের কাউতলী থেকে র্যাব আশরাফ উদ্দিন মন্তুকে গ্রেফতার করে, রাতের মধ্যে সরাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা (একটি বিচারাধীন এবং অন্যটি তদন্তাধীন) ও একটি বিস্ফোরক মামলার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মায়ের স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টার ও ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ে করতে সরাইলে যান বর এনাম। আবার বিয়ে শেষে নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়ি হবিগঞ্জের সদর উপজেলার উলুহার গ্রামে ফিরেন বর।
৩ জুন সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কুট্টাপাড়া গ্রামের সানজিদা আক্তারকে (১৮) বিয়ে করেন তিনি। এর আগে আকাশপথে হেলিকপ্টারে চড়ে সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের খেলার মাঠে নামেন বর এনাম।
এ সময় হেলিকপ্টারটি দেখতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। সেখান থেকে ফুল দিয়ে সাজানো একটি ঘোড়ার গাড়ি করে কনের বাড়িতে যান তিনি। এছাড়া মাইক্রোবাসে শতাধিক বরযাত্রীও যায় কনের বাড়িতে।
হবিগঞ্জের সদর উপজেলার উলুহার গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে এনাম সিঙ্গাপুর প্রবাসী। আর কনে সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কুট্টাপাড়া গ্রামের সফর আলী মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৮)।
এলাকাবাসী জানান, তাদের গ্রামে এই প্রথম হেলিকপ্টার ও ঘোড়ার গাড়ি করে বিয়ে করতে এসেছেন কোনো বর।
এনাম বলেন, আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসা। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি অনেক খুশি। আমাদের দাম্পত্য জীবনের জন্য সবাই দোয়া করবেন।