চলারপথে রিপোর্ট :
৭ মাস পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আদা আমদানি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ১০ টন আদাভর্তি একটি ভারতীয় ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। প্রতি টন আদা আমদানি করা হয়েছে ৪৬৩.৫ মার্কিন ডলার। এর আগে ২ মাস যাবত কোন আমদানী হয়নি।
গাজীপুরের এস. আর. এস. এম. ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান আদাগুলো আমদানি করেছে। স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাসান এন্টারপ্রাইজ এর কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ে কাজ করছে।
এর আগে গত বছরের ১০ জুলাই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫ টন আদা আমদানি করেছিল মদিনা এন্টারপ্রাইজ নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মূলত রপ্তানিমুখী হওয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি অনেকটাই অনিয়মিত।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাসান এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী হাসিবুল হাসান জানান, আমদানীকৃত আদার মূল্য ৪ হাজার ৬৩৫ মার্কিন ডলার। পরীক্ষামূলক ভাবে ১০ টন আমদানী করা হয়েছে। পরবর্তীতে হয়তো আরও আনা হবে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কামরুল জানান প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর আদাগুলো ছাড় দেয়া হবে বন্দর থেকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ চালুর মধ্য দিয়ে দু’দেশের বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে-এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে এ লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে অনুমতি মিলেছে ভুটানে উৎপাদিত সব (সুতা ও আলু ব্যতীত) পণ্য ও ভারতের ৬০টি পণ্য। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের পণ্য উল্লেখিত রেলপথ দিয়ে রপ্তানি করা যাবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এর এক প্রজ্ঞাপন থেকে আমদানির-রপ্তানির এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৩১ অক্টোবর এ প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়। আজ ৬ নভেম্বর সোমবার এ প্রতিবেদকের হাতে প্রজ্ঞাপনটি আসে। একই প্রজ্ঞাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আরো চারটি পণ্য আমদানির অনুমতি মিলেছে। এসব পণ্য হচ্ছে, ভুষি, ডাল, বুট ও বাঁশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও নতুন এ প্রজ্ঞাপন জারির কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসাহ বিরাজ করছে। রেলপথের আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ হলে কয়েক মাসের মধ্যেই ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন বাবুল সোমবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আখাউড়া স্থলবন্দরের বাণিজ্য খেই হারিয়ে ফেলেছে। রেলপথ দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমতি মেলায় এখন বাণিজ্যে নতুন ধারা ফিরে আসবে। ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।’
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হলে দু’দেশের বাণিজ্যে আরো গতি বাড়বে। বিশেষ করে পাথর ও গম আমদানি আমাদের সহজ হবে। ভারতের ট্রেন বাংলাদেশে চলে আসবে বলে কমে আসবে পরিহন ব্যয়। ইতিমধ্যেই পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে, ভারতের অংশে রেললাইনের কিছু কাজ বাকি থাকায় এখনই বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। আশা করছি কয়েক মাসের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা যাবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া সীমান্ত হয়ে দু’দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগের উদ্বোধন হয়েছে বুধবার। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আরো একটি রেল যোগাযোগ স্থাপন হলো।
এদিকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য মুখিয়ে আছেন ভারতীয়রা। বিশেষ করে সেখানকার ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ মনে করছে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে কলকতা হয়ে সেদেশের বিভিন্নস্থানে গেলে তাদের অনেক সময় বেঁচে যাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার যাওয়াটা তাদের জন্য সহজ হবে।
তবে এখনই এটা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ হয়ে আগরতলা-কলকাতা ট্রেন চলাচল। এ ক্ষেত্রে বাধা মিটার গেজ রেললাইন। কেননা, আখাউড়া থেকে ভৈরব পর্যন্ত ব্রডগেজ (ডুয়েল গেজ) হলেও ভৈরব থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পুরোটাই এখনো মিটার গেজ রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই পথটুকু ব্রডগেজ লাইনে পরিণত না করা হয় ততক্ষণ বাংলাদেশ হয়ে সরাসরি আগরতলা থেকে কলকাতা যাওয়া সম্ভব না। ভারতের অভ্যন্তরের পুরোটাই ব্রজগেজ বিধায় বাংলাদেশ থেকেও গাড়ি যাওয়া সম্ভব না।
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. আবু জাফরও জানিয়েছেন যে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে আগরতলা থেকে কলকাতা ট্রেন চলাচল হুট করেই সম্ভব না। তবে এক্ষেত্রে আগে ভৈরব থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পুরো অংশে ব্রডগেজ লাইন করতে হবে।
একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ এর মধ্যে রেলওয়ের এ সংযোগ প্রকল্পটি চালু হলে মূলত ভারতীয়রা ব্যবসায়িরাই বেশি লাভবান হবেন। এক্ষেত্রে তারা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশ থেকে আনা পণ্য ট্রেনে করে ত্রিপুরাসহ আশপাশের সাতটি রাজ্যে সহজেই নিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন থাকায় ট্রেন চলাচলের কোনো অসুবিধা হবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের অবৈধ আগ্রাসনের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। আখাউড়া উপজেলা ওলামায়ে কেরাম, ইমাম পরিষদ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার আয়োজনে আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার সকালে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সড়ক বাজারের অ্যাড. সিরাজুল হক মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের লাল বাজার, রাধানগর সড়ক বাজার ঘুরে একই স্থানে এসে সমাবেশ করে। বিক্ষোভ মিছিলে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেয়। সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি তিন দফা দাবী উপস্থাপন করা হয়।
স্থানীয় মহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আসয়াদ আল হাবিবির সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা দেবগ্রাম মাজহারুল ইসলাম দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আসয়াদুজ্জান, আনন্দপুর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা উবায়দুল্লাহ, ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওঃ কাজী মাইনুদ্দিন, মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মোঃ জালাল উদ্দিন, হাফেজ মোঃ রাসেল মোল্লা, মাওলানা আবু আব্দুল্লাহ, মুফতি সোহাইল, আলহাজ¦ শেখ ইকরাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আলহাজ¦ মোঃ বিল্লাল হোসেন।
বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার ঘটনায় জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহন করে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করুন। জিহাদে অংশ নিতে ফিলিস্তিনে যাওয়ার অনুমতি প্রদান এবং ইসরাইলের পণ্য বর্জন করতে হবে। বক্তারা বলেন, বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এক হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদ করলে তারা টিকে থাকতে পারবে না। ইসরাইলকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহবান জানানো হয় সমাবেশে। পরে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের মুক্তির জন্য দোয়া পাঠ করে কর্মসূচি শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুস্থ প্রখ্যাত আউলিয়া হযরত শাহ্ সৈয়দ আহাম্মদ গেছু দারাজ (র.) প্রকাশ্য শাহ্পীর কেল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফের বার্ষিক ওরশের বিশেষ দোয়া দিবস আজ (সোমবার)।
আজ দিবাগত রাত ১২টায় মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া পরিচালনা করবেন মাজার শরীফ জামে মসজিদের খতীব হাফেফ মাওঃ মোঃ লুৎফুর রহমান খাদেম। এর আগে ১০ আগষ্ট থেকে ৭ দিন ব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শুরু হয়। ওরশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ভক্ত-আশেকান ও সাধারণ মানুষের সমাঘম ঘটেছে মাজার এলাকায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত্র পর্যন্ত চলে ধর্মীয় আলোচনা, জিকির, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া ধর্মপ্রাণ মানুষ ইবাদত বন্দেগী করে সময় কাটায়।
এদিকে মাজার শরীফের বিশেষ মোনাজাতে শরীক হতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে মাজার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। মাজার শরীফের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। নৌপথের নিরাপত্তায় নৌকা যোগে পুলিশ টহল দিচ্ছে। মাজার সংলগ্ন রেল লাইনে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা রোধে রেলপথসহ রেল সেতুতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও আনসার সদস্য। এছাড়া প্রায় ২’শ খাদেম স্বেচ্ছা সেবকরা ভক্ত-আশেকানদের খেদমতে নিয়োজিত থাকবে। একটি মেডিকেল টিম জরুরী স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত থাকবে। তাছাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে মোনাজত উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও মাজার কমিটির সভাপতি মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা এবং আখাউড়া পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ওরশকে কেন্দ্র করে মাজার এলাকায় মাস ব্যাপী মেলা বসেছে। মেলায় কাঠ, বাঁশ, বেতের আসবাবপত্র, কসমেটিক্স, প্লাস্টিক পণ্য, খেলনাসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছে বিক্রেতারা।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ওরশ উদযাপনে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অফিসারসহ ৬ শতাধিক পুলিশ, আনসার ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। আশা করি বিগত বছরের ন্যায় শান্তিপূর্ণ ভাবে উরশ সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, ওরশের প্রথম দিন গত ১০ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাজার সংলগ্ন রেলপথে ট্রেন দূর্ঘটনায় ৪ জন ভক্তের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
লাইসেন্স দেখাতে না পারায় ৮ স্বর্ণ ব্যবসায়িকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার সড়ক বাজার এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফয়সল উদ্দিন।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন জানায়, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পৌরসভার সড়ক বাজার এলাকার স্বর্ণের দোকান গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এসময় ডিলিং লাইসেন্স দেখাতে না পারায় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ি রঞ্জিত বনিক, অসিম কুমার বিশ্বাস, রঞ্জিত পাল, আসিম পাল, কাজল চন্দ্র দাস, সুমিত বনিক, প্রদীপ সাহা, নান্টু বনিক নামে ৮ জন ব্যবসায়িকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফয়সল উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রশাসনের এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ব্যবসায় অনিয়ম ধরা পড়লে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তোরণ নির্মাণের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হানিফ মিয়া (৪৫) নামে এক ডেকোরেটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া (৪২) আহত হয়েছে।
২০ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে আখাউড়া থানা মসজিদের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ মিয়া পৌরশহরের কলেজ পাড়ার মৃত আতর আলীর পুত্র। তিনি ১ ছেলে মেয়ের জনক। আহত ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া রাধানগর ভাড়া বাসায় থাকে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবর্ধনা উপলক্ষে তোরণ নির্মাণ করছিলেন ডেকোরেটর শ্রমিকেরা। ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা।
প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস মিয়া বলেন, হানিফ মিয়া আমার পূর্ব পরিচিত। আমি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলাম হানিফ মিয়া গেইটের উপরে উঠে গেইট বানানোর কাজ করছিল। হঠাৎ দেখি হানিফের হাত দিয়ে ধোঁয়া উড়ছে। সেলিম মিয়া বাঁশ ধরা অবস্থায় কাঁপছে। তৎক্ষনাৎ আমি আরেকটা বাঁশ দিয়ে সেলিমকে সজোরে বারি দিয়ে সরিয়ে দেই। আমিও শট পাই। এসময় হানিফ মিয়া উপর থেকে নীচে সড়কে পড়ে যায়।
আহত সেলিম মিয়া বলেন আইনমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে অর্ডার পেয়ে গেইট নির্মাণ করছিলাম। তখন হানিফ মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইকরাম চৌধুরী বলেন ৫ টা ১০ মিনিটে হানিফ মিয়াসহ দুইজন আহত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে। আমরা রোগীর ইসিজি করে কোন রেসপন্স পাইনি। ব্ল্যাড প্রেসার পাইনি। হাসপাতালের আনার আগেই হানিফ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। সেলিম মিয়া শঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন শ্রমিকরা কার গেইট নির্মাণ করছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।