চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্যদের সন্তানদের আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় ১০ জন সাংবাদিকের সন্তান, যারা এসএসসি পরীক্ষার্থী তাদের ফুলেল শুভেচ্ছাসহ পরীক্ষার উপকরণ প্রদান করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এসময় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মো. খান বিটুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. কাউসার এমরান, পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সাংবাদিক আবদুন নুর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাংবাদিক ও কলেজ শিক্ষক মনির হোসেন ও শাহাদাৎ হোসেন। পরে প্রধান অতিথি পরীক্ষার্থীদের হাতে ফুল ও পরীক্ষার উপকরণ তুলে দেন।
পরে পরীক্ষার্থীদের সার্বিক সফলতার কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন জেলা সদর হাসপাতাল মসজিদের খতিব সিয়াম ইবনে আনোয়ার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মো. তুলিপ হোসাইন (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-বিজয়নগর সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. তুলিপ হোসাইন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের জাজিয়ারা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় তিনি বসবাস করতেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কে তুলিপ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আড্ডার ফাঁকে তুলিপ বন্ধু জহিরের মোটর সাইকেল চালানোর জন্য নেয়। এ সময় সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের ২য় ব্রিজ কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। পরে জহিরসহ স্থানীয়রা তুলিপকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন আচরণে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে সংগঠনটির সভাপতি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবর রহমানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কতিপয় আইনজীবী ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাস কক্ষে বেআইনিভাবে বিচারিক কাজে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেন। একই সঙ্গে তাঁরা বিচারকের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন আচরণ করেন; যা অনভিপ্রেত, ন্যক্কারজনক ও দুঃখজনক। এতে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। শিষ্টাচারবহির্ভূত ওই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের নিন্দনীয় ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়।
শিষ্টাচারবহির্ভূত ওই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের নিন্দনীয় ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে এজলাস চলাকালে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়াসহ কয়েকজন আইনজীবী বিচারককে গালিগালাজ করছেন। তবে তানভীর ভূঁইয়ার দাবি, তিনি বিচারককে গালি দেননি। ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়েছে।
এদিকে, আইনজীবী ও আদালত কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত। বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ, কর্মচারীদের মারধর, মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আদালতের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমানকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে এই ফুলের শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আশরাফ স্বাস্থ্য, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সমাজসেবা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা বিভাগের মণির হোসেন, নজরুল ইসলাম সড়ক জনপথ, আবু নাছের যুব উন্নয়ন, শামীম মাদকদ্রব্য নি:অধিদপ্তর লোমান শিক্ষা, দিদার হেলথ, শেখ মণির সমাজসেবা অধিদপ্তর, আসিফা সমাজসেবা অধিদপ্তর, মণির হোসেন স্বাস্থ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী হিরণ খান, আব্দুল্লা জনস্বাস্থ্য, ইয়াসির আরাফাত বরকত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জাকির হোসেন চৌধুরী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মো: ইসমাইল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, উত্তম কুমার দাস সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রমুখ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ময়লার ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে মো: আল-আমিন মিয়া (৩৫) নামে এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিহত হয়েছেন।
১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিক পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া ময়লা ডাম্পিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আল আমিন সরাইল উপজেলার আইরল গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে পৌরসভার অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া ট্রাক্টর চালক মো. আমির মিয়া পলাতক রয়েছেন। নিহতের স্বজন এবং পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ময়লার ট্রাক্টরে করে পৌর এলাকার ছয় বাড়িয়া এলাকায় যান আল-আমিন। ট্রাক্টর থেকে ময়লা অপসারণ করার সময় চালক ট্রাক্টরটি পেছনে নেওয়ার সময় এর নিচে চাপা পড়েন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আল-আমিন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আল-আমিনকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনার পর কর্তব্য চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নায়েব আলী নামে পৌরসভার এক পরিছন্ন কর্মী জানান, সকালে সবাই ময়লা নিয়ে ছয়বাড়িয়াতে যান। সেখানে ময়লা ট্রাক্টর থেকে নামানোর জন্য ট্রাক্টরটি যখন পিছনে দিকে নিচ্ছিল, তখন আলামিনের পা চাকার নিচে পড়ে যায়। নিহত আল-আমিনের ছোট ভাই নাঈম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাই মারা গেছে। আমার ভাইয়ের পাঁচটি সন্তান আছে। তারা কীভাবে কি করবে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি তারা যেন আমার ভাইয়ের পরিবারকে সহযোগিতা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর বলেন, ময়লার ট্রাক্টরে করে পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া এলাকায় যান আল আমিন। এক পর্যায়ে ট্রাক্টর থেকে ময়লা নামাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় চালক ট্রাক্টরটি পেছনে নিতে গেলে নিচে চাপা পড়েন আল আমিন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধেও অন্যতম সংগঠক অ্যাড. লুৎফুল হাই সাচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়ার অনুষ্ঠান করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ২২ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সঞ্চালনায় দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা সমন্বয় পরিষদ সদস্য সচিব মাও. আবদুল্লাহ।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান বাবুল, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মহসিন মিয়া, সৈয়দ মিজানুর রেজা, ফারুক আহমেদ, জায়েদুল হক, স্বপন রায়, মো. মনির হোসেন, মাহমুদুর রহমান জগলু, সেলিম রেজা হাবিব, কাচন মিয়া, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুব আলম,পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুৃল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন আলাল, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল খালেক বাবুল, জহিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, মোমিন মিয়া।