চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরা বোট ক্লাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে নাসিরনগর উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিকেলে রাজধানীর উত্তরা বোট ক্লাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একরামুজ্জামান নিজেই নাসিরনগরের সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। এতে উপজেলা পরিষদ, সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জনপ্রতিনিধি অংশ নেন।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন একরামুজ্জামান। এসময় গণপূর্ত মন্ত্রীও তাকে আওয়ামী লীগে বরণ করে নেন।
একরামুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সহকারী মোহাম্মদ এনামুল হুদা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্যার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের যোগদান করেছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী তাকে সাদরে গ্রহণ করে নেন।
ওই সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল- আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলী (পিপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক তানজিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
একরামুজ্জামান বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে কলার ছড়ি প্রতীকে ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন একরামুজ্জামান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকার প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন পান ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
মতবিনিময় সভায় একরামুজ্জামান বলেন, মাননীয় মন্ত্রী আমাকে আপনাদের সামনে রেখে আওয়ামী লীগে গ্রহণ করে নিয়েছেন। এটি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই গ্রহণ করাকে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে ও কৃতজ্ঞচিত্তে মেনে নিচ্ছি। নাসিরনগরের ৯৯ শতাংশ জনপ্রতিনিধি এখানে আছেন। কে আমার নির্বাচন করেছেন, কে করেননি তা মাথায় রাখিনি। আমি এখন সবার প্রতিনিধি। কোনো ভেদাবেদ না করে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোর শহরের অদূরে কালিকাপুর আমহাটি এলাকার ৩২ নম্বর রেলওয়ে ব্রিজের নিকট রেল লাইনের পাশ থেকে ট্রেনে কাটা এক যুবকের মাথা বিচ্ছন্ন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। নিহত যুবক মির্জাপুর তেঘর পাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাহাবুর।
নিহতের দুলা ভাই পারভেজ মোল্লা,বন্ধু শহীদ সহ উপস্থিত স্বজনরা জানান, ৮/৯ মাস আগে মাহাবুরের বিয়ে দেয়া হয়। সে বাড়ি থেকে শশুর বাড়িতে আসছিল। তারপরেই তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তারা জানান, ছেলেটি মস্তিস্কে সমস্যা ছিল। মাঝে মধ্যে ঠিক থাকলেই মাঝে মধ্যেই উল্টা পাল্টা আচরণ করতো। তাদের ধারণা সে ট্রেনের নিচে মাথ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে শান্তাহার জি আর পি থানারএস আইনরেশ চন্দ্র জানান, তার আত্মীয় স্বজন জানিয়েছেন মাহাবুরে মস্তিস্ক বিকৃতি ছিল। সে ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তখন মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যাই করেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
‘নির্বাচন জনগণের কাছ গ্রহণযোগ্য হতে হবে। গ্রহণযোগ্য হওয়ার অর্থ নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার অনুরোধ থাকবে আমার কমিশনে যারা কর্মকর্তা রয়েছেন ও আপনেরা যারা আছেন সকলকে এই চেষ্টাটা করতে হবে। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জনগণের কাছে নির্বাচনটা সুষ্ঠু করতে হবে।
আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটটে ৩৩ জেলার ডিসি-এসপিদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল।
এ সময় তিনি বলেন, ‘জনগণকেও দেখতে হবে যে নির্বাচনে ফেয়ারনেস ছিল। জনগণকে দেখতে হবে ভোটাররা নির্বিগ্নে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারে। ভোটাররা প্রবেশ করে তারা ভোটারধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে।
এটুকুই যদি আমরা সকলে মিলে দেখাতে পারি তাহলেই নির্বাচনে একটা বড় সফলতা আমি যদি আপেক্ষিক অর্থে বলি অর্জিত হয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের সময় খুব ঘনিয়ে এসেছে। এতে কোন সংশয় নেই। নির্বাচন আয়োজনটা একটা কঠিন কর্মযজ্ঞ।
খুব সহজ নয়। চাহিলাম আর হয়ে গেলো বিষয়টি এমন নয়। এখানে কিন্তু আপনাদের রাতদিন উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে হবে। সিডিউল ঘোষণার পর পর অনেকটা ঘুমনি ধারা হয়ে যাবে। যেহেতু এ দায়িত্ব আপনাদের ও আমাদের উপর অর্পিত হয়েছে সেহেতু আমাদেরকে নিষ্ঠার সঙ্গে সেই দায়িত্বটা পালন করতে হবে।
কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, ‘আমরা আমাদের সময়কালে প্রায় ১ হাজার ২শ নির্বাচন করেছি। সেখানে আমরা প্রশাসন এবং আপনাদের আইনশৃংখলা বাহিনীর যে সহযোগিতা পেয়েছি তা প্রশংসনীয়। আমরা এ জন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তাভাবনার উর্দ্ধে থেকে পক্ষপাতহিন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হবেন। আপনাদের সহায়তায় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষিত হবে। কোন অঘটন ঘটবে না। সহিংসতা হবে না। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আজ ২০ আগস্ট রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশনের স্টেশন সুপার এস এম নাজমুল হক খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি ময়মনসিংহ স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরে ত্রিশালের ফাতেমা নগর স্টেশন অতিক্রম করে কিছু দূর এগোতেই রাত পৌনে ৯টার দিকে ট্রেনের ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এর ফলে ময়মনসিংহ জংশনে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়েছে বলে জানান তিনি।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ট্রেনের ৩টি বগি লাইনচ্যুত হলেও কেউ হতাহত হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাভিক হতে অন্তত ৩ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।
ময়মনসিংহ লোকোসেডের ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন বলেন, উদ্ধারকারী ট্রেন নিয়ে রওনা হয়েছি। উদ্ধারকাজ শেষ হতে কত সময় লাগবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
চলারপথে ডেস্ক :
২০২৩ সালের শুরু থেকে নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলছে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে। এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনও প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী। এ গাইডলাইনের বিষয়ে পরে স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
১৩ মার্চ সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনও পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান-প্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনও রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী থাকবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সমগ্র জেলায় পৌষের শেষ দিক থেকে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের দাপটে যেখানে মানুষ থেকে শুরু করে প্রানীকুল তটস্ত।
সেখানে শীতের পাখায় ভর দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মলাদহ বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা দল বেঁধে আসছেন পাখি দেখতে ঘাটাইল উপজেলার মলাদহ বিলে। বিলটির অবস্থান উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সবুজ শ্যামল এক গ্রাম ডাকিয়া পটল। এ গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে বিশাল এক জলাধার। নাম তার মলাদহ। এ ছাড়া রয়েছে আরো ছোট কয়েকটি বিল।
শীতকাল এলেই এই মলাদহ বিল অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে। বিলটি পাখির কারণে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। পাখির বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, উড়ে চলা, নীরবে বসে থাকা-মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে মুহুর্তেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন একনজর পাখি দেখার জন্য এখানে আসেন।
এখানে উল্লেখযোগ্য পাখিগুলো হচ্ছে বালিহাঁস, পাতিহাঁস, সারস, পানকৌড়ি, নারিলা ও ডাহুক। চারদিকে সবুজ শ্যামলের সমারোহে বিলগুলো। মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিলবেষ্টিত ডাকিয়া পটল গ্রাম। সকালে এ গ্রামের বিলের কচুরিপানার মাঝে জলকেলিতে মাতে অতিথি পাখি। আর বিকেলের সোনালি রোদে গ্রামের গাছের ডালে ডালে পানকৌড়িসহ বিবিভন্ন পাখির পালক জ্বলজ্বল করে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে শত ব্যস্ততার মাঝেও পাখি দেখে অনেক পথচারি একটু দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে নেন।
স্কুলশিক্ষক বাবর হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে শীতের মৌসুম চলে গেলে পাখি যখন চলে যায় তখন বুকটা ফাঁকা লাগে। আবার যখন শীতে ফিরে আসে তখন বুক ভরে যায়। পাখিদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এখানে পাখি আসে বলেই প্রতিদিন অনেক পাখিপ্রেমী দেখতে আসেন।
পাখিপ্রেমী আব্দুল মোতাকাব্বির স্বাধীন বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের দেশে আসা অতিথি পাখি যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাই পাখিদের প্রতি সকলকে সহনশীল হতে হবে। আমার ইউনিয়নের যেসব স্থানে অতিথি পাখি আসছে, সেখানে যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য পরিষদের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাফরুল হাসান রিপন বলেন, ‘পাখি প্রকৃতির অলংকার। এ অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। অতিথি পাখিরা যেন ‘মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওর বাঁওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান দৈনিক যায়যায়দিন কে জানান, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশ ক্রমে ক্রমে অতিথি পাখির জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য প্রয়োজন সবার সচেতনতা।’