চলারপথে রিপোর্ট :
লাইসেন্স বিহীন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালনা করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দি ডাচ-বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের পুরাতন জেল রোডে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন- জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এহসানুল হক শিপন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও ডা. আরিফুল ইসলাম এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছফিউর রহমান প্রমুখ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, দি ডাচ বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে প্রতিষ্ঠানটিতে লাইসেন্স সহ বৈধতার কোনো কাগজপত্র ছিল না। এছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি অনেক অপরিচ্ছন্ন ছিল। তাই ভুক্তা অধিকার আইন এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৮ ধারা প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলে ম্যানেজার তা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছে। আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল থেকে এ কর্মসূচি পালন করতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
একপর্যায়ে দুপুরের দিকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশসহ নানান স্লোগানে ক্যাম্পাস চত্বর মাতিয়ে তোলেন তারা।
বিক্ষোভকালে বক্তব্য রাখেন, কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মো. জামিল আহম্মেদ সিয়াম, মোহাম্মদ সাগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রুমি আক্তার, মোহাম্মদ রাকিব হোসেন প্রমুখ। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, যে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে তা যৌক্তিক দাবি। এই দাবি বাস্তবায়িত হলে কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। অথচ একটি মহল নিজের স্বার্থে এই দাবিগুলোকে অযৌক্তিক বলে দাবি করছে। পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এ যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে আসলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই এই দাবি আদায় হওয়া না পর্যন্ত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। দ্রুতই দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়িতে নব-নির্মিত চারতলা বিশিষ্ট “ভক্ত নিবাস” এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১২ মে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পরে মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, যারা সাম্প্রদায়িকতার সাথে জড়িত তাদেরকে আমি মানুষ বলিনা, তারা মানুষ নামধারী বর্বর।
তিনি বলেন, সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আমিও দলের কাছে আবার মনোনয়ন চাইব। তবে এই নির্বাচনে এই আসন থেকে যে কোনো লোক নির্বাচন করলে আমার আপত্তি নেই। তবে তাকে বাঙ্গালীর প্রাণের গান ও শ্লোগান “ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি এই গান গাইতে হবে এবং “জয় বাংলা” শ্লোগান বলতে হবে। যে এই গান গাইবে না ও এই শ্লোগান বলবে না, আমি তার সাথে নেই। স্বাধীনতা ও জয় বাংলার প্রশ্নে আমি আপোষহীন। যারা এই কথায় বিশ্বাস করেন তারা আগামী নির্বাচনে আমার পাশে থাকবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারি পরিচালক মনি শংকর কীর্তনিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, আনন্দময়ী কালী বাড়ির ট্রাস্টি কমিটির সভাপতি অরুপ সাহা, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায়, সদস্য বিভাষ রায়, আশিষ কুমার পাল, সাংবাদিক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, অ্যাডভোকেট রাকেশ রায় সহ সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ বাড়িতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার সময় আবদুল কাইয়ুম (৪৫) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন তার স্ত্রী। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের সরকারপাড়া এলাকা থেকে কাইয়ুমকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাইশা (৩০) ও উজ্জল মিয়া (৩০) নামে আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে। কাইয়ুম ওই এলাকার মৃত আবদুন নূরের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাইয়ুম তার নিজ বাড়িতে মাইশা ও উজ্জলকে নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। এ সময় কাইয়ুমের স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের তিনজনকে আটক করে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯- এ ফোন করে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ১০ জুন শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে পৌর শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৮ জুন ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ এবং কৃষকদলের আহ্বায়ক ভিপি শামীম ও ছাত্রদলের নতুন কমিটির আহ্বায়ক শাহীনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলায় চালায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এ সময় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। পরবর্তীতে শনিবার রাতে ফের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে দুই দিন ধরে শহরে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা হামলা করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৮ জুন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে শাহীনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে শাহীন, সমীর, যুগ্ম আহ্বায়ক এলভীন লস্কর ও আব্দুল গাফফার রিমন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. ভিপি শামিমের কান্দিপাড়ার বাসায় গেলে সেখানে হামলা করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাধারণ মানুষ ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সম্মানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২.৩.৪ ও ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি নাজির উদ্দিন আহাম্মেদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মিজানুর রহমান।
প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, মানুষকে নিয়ে আগামীদিনে আমাদের ভোটের রাজনীতি করতে হবে। মানুষদের সাথে এমন কোন আচরণ করা যাবেনা বিএনপির ইমেজ নষ্ট হয়।
তিনি বলেন, আজকের ইফতার মাহফিলে সব নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়েছি বলছি আমরা যেন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।