চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ৪০তম ঐতিহাসিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস্তবায়ন দিবস-২০২৪খ্রি. পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে বাংলা ব্যাকরণ স্রষ্টা জেলা সদরের পূর্ব পাইকপাড়ার প্রয়াত অধ্যাপক হরলাল রায় রোডস্থ সংগঠণের অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রস্তাবিত বাউল বাড়ি রিসোর্ট এন্ড কমপ্লেক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী সারোয়ার লিটন।
আলোচনা সভায় আজ হতে ৪০ বছর পূর্বে ১৯৮৩ সালে মহকুমা হতে জেলা দাবীতে ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন, চূড়ান্ত পর্বে ২৭ নভেম্বর হরতালের দিন রেলওয়ে ষ্টেশনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বরণের প্রেক্ষিতে ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে প্রায় লাখ মানুষের সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ ঐ সময়ের ১৯টি মহকুমাকে আনুষ্ঠানিক জেলায় বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ার স্মৃতিচারণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি তফাজ্জল হোসেন জীবন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, শামসুল আলম বাবু, এজাজ আহমেদ মনির, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, সদর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি প্রভাষক মোঃ মোশাররফ হোসেন, মহিলা সম্পাদক রুমানা আক্তার শ্যামলী, কার্যনির্বাহী সদস্য শরীফ আহমেদ খান, এড. শেখ জাহাঙ্গীর, সাংগঠণিক সম্পাদক কামরুল হাসান নান্টু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী মাকসুদুল আলম দেলোয়ার, আমির হোসেন ফারুক। উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সম্পাদক বশির আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, আনিসুর রহমান রুহেল, হারিছা খাতুন, মোঃ নজরুল আলম।
সর্বশেষে জেলা আন্দোলনে শহীদ উবায়দুর রউফ পলু, জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হাসনাত অপু’র মাতা মরহুমা শামসুন্নাহার খানম, গত বুধবার সদ্য প্রয়াত যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস এর ভাবী বীর মুক্তিযোদ্ধা সেহেলী মাসুদ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইমাম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে মত বিনিময় করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্ণর র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুরে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তারা রটনা করছে আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে আমার সম্পর্ক ভাল নয়। এটা একবারেই অপবাদ। আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে আমার অত্যন্ত সু-সম্পর্ক রয়েছে। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে, অন্যায় করে তাদেরকে আমি পছন্দ করিনা।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয় ও ভূমি অফিস ভাংচুর করে, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করে আমি মনে করি তারা অপরাধী। তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া পুলিশের কাজ। তিনি বলেন, আমার বিরোধ আলেম ওলামাদের সাথে নয়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের কারণে কিছু লোকের সাথে আমার বিরোধ আছে। তবে ওলামা হিসেবে কারো সাথে বিরোধ নেই। যারা মিথ্যা বলেন, তারা যদি তওবা করেন তাহলে তাদের সাথে আমার সম্পর্ক রাখতে কোনো সমস্যা নাই। এই জেলায় প্রায় ১০ হাজারের বেশি আলেম-ওলামা রয়েছেন। তাদের কারো সাথেই আমার কোনো বিরোধ নেই।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়ার জানাযা নিয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছে। বলা হয়েছে সেখানে নাকি আমি মোবারকউল্লাহ হুজুরকে আসতে বাঁধা দিয়েছি। তবে আমি তাকে বাঁধা কেন, এ বিষয়ে কিছুই বলিনি। তানভীর ভূঁইয়ার পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার নামাজে জানাযা তার ভাগিনা পরিচালনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে কলাপাতার পানির মধ্যে ধানের শীষ দেখা গেছে, এই রাজনীতি আবারো শুরু হতে পারে। তিনি এ জন্য সকলকে সর্তক থাকার আহবান জানান।
তিনি জেলার প্রতিটি মসজিদে জুম্মা নামাজের খুতবার সময় মাদক, সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বয়ান করার জন্য ইমামদের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় ইমাম ও ওলামা মাশায়েখরা আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নির্বাচিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আশেকুর রহমান, মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী, মাওলানা আবদুল্লাহ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলার ৩ শতাধিক আলেম ওলামাগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মায়ের অসুস্থতার খবরে দেশে আসতে ইতালি থেকে বিমানে উঠেন শাহ আলম। বিমান ছাড়ার আগে ছোট ভাই নুরুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে জানিয়ে দেন, তিনি দেশে ফিরতে ফিরতে যদি মা মারা যান তাহলে যেন লাশ দাফনে অপেক্ষা না করা হয়। তাঁর মাকে যেন কষ্ট না দেওয়া হয়। বিমান থেকে নেমে শাহ আলম খবর পান মা মারা গেছেন।
শাহ আলমের জন্যই মায়ের দাফন দেরি করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি। শাহ আলম বাড়ি ফেরার আগেই তাঁর মাকে দাফন করা হয়। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় ভগ্নিপতিসহ মারা যান শাহ আলম। একদিন পর মায়ের কবরের পাশেই শাহ আলমকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহ আলম (৫৫)। মায়ের অসুস্থতার খবরে দেশে ফিরে গ্রামের বাড়িতে আসার পথে বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদীর শিবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। দুর্ঘটনায় তাঁর বোন জামাই মো. সেলিমও মারা গেছেন।
এর আগে শাহ আলমের মা ফিরোজা বেগম (৯০) অসুস্থতাজনিত কারণে বুধবার মারা যান। ফিরোজা বেগমের পাশেই আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার তাঁর ছেলে শাহ আলমের লাশের দাফন সম্পন্ন হয়। সেলিমের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অষ্টগ্রামে।
এমন ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। দু’টি পরিবারের মানুষও শোকে স্তব্ধ।
তাদেরকে সান্তনা দিতে এলাকার অনেকেই ছুটে আসছেন। দেশ ও প্রবাসের অনেক স্বজন তাদের খোঁজ নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে এলাকায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
একদিনের ব্যবধানে মা, স্বামী ও ভাইকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন মুসলিমা বেগম। নিজের মনকে কিভাবে বুঝাবেন এ বলে তিনি বিলাপ করে বলছিলেন, ‘এ কি হলো আমাদের। কেন এমন হলো। পৃথিবী এতো নিষ্ঠুর হয় কিভাবে।’
নিহত শাহ আলমের ভাই মো. নুরুজ্জামান জানান, তাঁর ভাইকে আনতে বোন জামাই সেলিম ও ভাগিনা সাব্বির বিমানবন্দরে যান। পথিমধ্যে নরসিংদীতে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের বহনকারি মাইক্রোবাস দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে গাড়িতে থাকা চালকসহ চারজনই আহত হন। এর মধ্যে দু’জন মারা যান।
আহত সাব্বিরের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মাইক্রোবাস চালক বেপরোয়া চালাচ্ছিলেন। এছাড়া বারবার তিনি ফোনে কথা বলছিলেন। বারবার বারণ করা হলেও তিনি শুনেননি। একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটান চালক।
পরিবারের লোকজন জানান, ফিরোজা বেগম অনেক দিন ধরেই অসুস্থ। তাকে দেখতে ইতালি প্রবাসী ছেলে শাহ আলম দেশে আসার জন্য রওয়ানা হন। এরই মধ্যে বুধবার ফিরোজা বেগম মারা যান। শাহ আলমের জন্য মায়ের লাশ রেখে দেওয়া হয়। যদিও শাহ আলম বলেছিলেন তার জন্য যেন অপেক্ষা না করা হয়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে শাহ আলম দুর্ঘটনায় পড়েন। বিকেলে ফিরোজা বেগমের লাশের দাফন সম্পন্ন হয়। রাতে শাহ আলম ও তার বোন জামাই সেলিমের লাশ গ্রামে আনা হয়। শুক্রবার তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। শাহ আলম ১৫ বছর ধরে ইতালি থাকেন। ইতালি থাকা তাঁর স্ত্রী সন্তানরা কয়েকদিনের মধ্যে দেশে আসবেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শ্রমিক দলের আয়োজনে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ অক্টোবর শনিবার বিকেলে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চে জেলা রিক্সা ভ্যান শ্রমিক দলের সভাপতি মো: দারু মিয়ার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক জননেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক খোকন। বিশেষ বক্তা ছিলেন শ্রমিক দলের সভাপতি হেবজুল বারী ও জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: বাহার চৌধুরী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, শ্রমিকদের অধিকার এবং লাইসেন্স নিয়ে বিগত সরকারের আমলে যে অপকর্ম হয়েছে, যে বঞ্চনার ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে, তা আর হতে দেওয়া হবে না। আমরা এই অন্যায় থেকে এই সেক্টরকে মুক্ত করবো। প্রত্যেক রিক্সা চালক লাইসেন্স পাবেন। কোন সিন্ডিকেট থাকবে না। তিনি আরো বলেন, অবৈধ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। তারা বারবার অবৈধ নির্বাচন করে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এজন্য তাদের পরিণতি ভয়াবহ হয়েছে। আমরা বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো এই অবস্থা চাই না। যে কাজ করে আওয়ামী লীগ বিদায় হয়েছে, আমরা বিএনপি সেই কাজ করবো না। রিকসার লাইসেন্স রিক্সাওয়ালারাই পাবে, এটা আমরা নিশ্চিত করবো। গরীব মানুষদের জন্য আমরা কাজ করবো। উল্লেখ্য, দুপুর থেকেই মিছিল সহকারে শ্রমিক দলের বিভিন্ন সেক্টরের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুনে সজ্জিত হয়ে মিছিল সহকারে জনসভায় যোগদান করেন। জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা রিক্সা ভ্যান শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার পরিচিতি সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।
আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুর ২ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মসজিদ রোডে অবস্থিত ক্বারী চাইনিজ হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের অডিটোরিয়ামে এ অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটির সভাপতি ডাঃ মোঃ মোকলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. এম. নাঈমুর রহমান ও কার্যকরি সদস্য মোহাম্মদ জামাল হোসেন পান্নার যৌথ সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খান সাদাত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটির উপদেষ্টা এড. কামরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন রানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বনামধন্য ডাঃ মেরাজুল ইসলাম অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ মাও. নুরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ মুমিনুল ইসলাম, কার্যকরি সদস্য ডাঃ ফাতেমা তোজ্জোখরা প্রমুখ।
বক্তাগণ গত ২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা বিল-২০২৩ পাস করায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক ও হোমিওপ্যাথিক বোর্ড চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ রায় সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও বক্তগণ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের এক্য ও কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলোয়াত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটির দপ্তর সম্পাদক ডাঃ মুফতী সাইফুল ইসলাম শাওন।