নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সিএনজি চালকসহ নয়জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে।
দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার। তিনি জানান, আহত সবাইকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- বায়জিদ মিয়া, মো. শাহআলম মিয়া, খাদিজা আক্তার, লাল চান বাদশা, আলম মিয়া, খুকু মনি, নাজমা বেগম, অহিদ মিয়া ও ফুরকান মিয়া। এর মধ্যে লাল চান বাদশা, আলম মিয়া, খুকু মনি, নাজমা বেগম,অহিদ মিয়া ও ফুরকান মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, হবিগঞ্জ থেকে পালকি পরিবহনের একটি ঢাকাগামী বাস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা লাখাইগামী সিএনজি অটোরিকশা আশুরাইল এলাকায় আসার পর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজি অটোরিক্সায় থাকা সকল যাত্রী মারাত্মক আহত হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় নারী-শিশুসহ নয়জনকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করেন।
ওসি হাবিবুল্লা সরকার জানান, দুর্ঘটনার পর বাসচালক পালিয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : হাওর বেষ্টিত এই আসনটি আওয়ামীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনের ভোটার সংখ্যা ২লাখ ৫২হাজার ৫৪৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৬জন এবং হিজরা ২জন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসন থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেন ৫জন প্রার্থী।
প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (নৌকা প্রতীক), বিএনপির চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ শাহানুল করিম (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক)।
বর্তমানে নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী সভা করছেন।
কাগজে-কলমে এই আসনে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ শাহানুল করিম ঘোষনা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক) এর তেমন প্রচার-প্রচারনা নেই।
নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনটি ১৯৯৬ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে। ২০০১ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামীলীগের বিপর্যয়ের সময়ও বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। অ্যাডভোটে ছায়েদুল হক ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ৪ বারসহ মোট ৫ বার এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেলন।
২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক মৃত্যুবরণ করলে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হন। পরবর্তীতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের তৎকালীন উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আবার মুখোমুখী হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এবং হেভিওয়েট প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জান।
এবারের নির্বাচনী মাঠে বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা চাপে আছেন। দলীয় অনেক নেতা-কর্মীই তার পক্ষে নেই। আওয়ামীলীগের এই বিভক্তির কারনে নির্বাচনী মাঠে সুবিধা পাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতা কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া, তার স্ত্রী ও নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার এবং নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এছাড়াও নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির নেতা মুহাম্মদ শাহানুল করিমও কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এদিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম স্থানীয় এক সাংবাদিককে ও একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ায় নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গত ২৪ ডিসেম্বর সংগ্রামকে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ করে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর তিনি স্বশরীরে অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন। সব মিলিয়ে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা বেকায়দায় আছেন। এবারের নির্বাচনে আসনটি আওয়ামীলীগের হাতছাড়া হওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া বলেন, বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ক্ষমতায় থেকে তাদের উপর, দলের নেতা-কর্মীদের উপর অনেক অত্যাচার, অবিচার করেছেন এজন্য তারা নাসিরনগরবাসীকে নিরাপদে রাখতে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম সাংবাদিকদের জানান তিনি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগন পরিবর্তন চায়, এক ব্যক্তির কারাগার থেকে মুক্তি চায়। তিনি বলেন, আগে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় আমার সাথে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আছে। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত তিন প্রার্থী আমার জন্য কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিমও আমাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন। সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাচ্ছি। বর্তমান পরিবেশ যদি বজায় থাকে তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা রাফিউদ্দিন আহমেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি মোনাব্বর হোসেন,থানার অফিসার্স ইনর্চাজ(ওসি) মো: সোহাগ রানা,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: অভিজিৎ রায়,উপজেরা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: নুরে আলম,উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হক,অধ্যক্ষ মো ইলিয়াস মিয়া,পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক, চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম, গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, ধরমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম,ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া, গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হক, চাপরতলা ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ ভূইয়া, প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম,প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়াসহ আইনশৃংখলা কমিটির সসদ্যগণ।
সভায় বক্তারা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি মাদক-জুয়া,চুরি-ডাকাতি বন্ধসহ আইনশৃংখলা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবের তাইয়্যেবাহ শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. শেখ ওয়ারু মিয়া (৫৫) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় আলমগীর নামের আরেক প্রবাসী গুরুতর আহত হয়েছেন। তার বাড়ি কুমিল্লার জেলায়।
নিহত ওয়ারু মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রামে। তিনি মো. উঞ্জুর আলীর ছেলে।
ওয়ারু মিয়া সৌদি আরবের তাইয়্যেবাহ শহরে বসবাস করতেন। সেখানে তিনি একটি কোম্পানিতে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন ভোরে তাইয়্যেবাহ শহরে সড়কের পাশে প্রবাসীদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
নিহত ওয়ারু মিয়ার ভাতিজা প্রবাসী গিয়াসউদ্দিন বলেন, মরদেহ বর্তমানে সৌদি আরবের একটি সরকারি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে। মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
“নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নাসিরনগরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৪ জুলাই সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিরনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২ হাজার ৬৩২ টি পুকুরে ১ হাজার ৫৭৮ জন মৎস্য চাষি মাছ চাষ করছেন। বর্তমানে উপজেলায় মাছের চাহিদা ১৩ হাজার ৪৭৩ মেট্রিক টন এবং উৎপাদন হচ্ছে ১৩ হাজার ৯৭৩ মেট্রিক টন। তবে গত অর্থ বছরে উৎপাদন ছিল ১৩ হাজার ৩০৮ মেট্রিক টন। গত বছরের চেয়ে এবছর ৬৬৫ মেট্রিক টন উৎপাদন বেড়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার বলেন, আধুনিক মাছ চাষের দিকে চাষিরা ঝুঁকছে, নতুন নতুন মাছ চাষি তৈরি হচ্ছে। আমরা কিছু বিল নার্সারি করেছি। আবার রেনু থেকে পোনা করে সেই পোনা বিলে অবমুক্ত করছি। এতে মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ভোরের ডাক প্রতিনিধি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক সবুজ, দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সমকাল প্রতিনিধি মুরাদ মৃধা, আজকের পত্রিকা প্রতিনিধি বরুণ সরকার, এশিয়ান টিভি প্রতিনিধি আব্দুল হান্নান।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ব্রাহ্মণ ও পুরোহিতগণের সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা ব্রাহ্মণ কল্যাণ সমিতির সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.মোনাববর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনাথবন্ধু দাস, সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বরুণ কান্তি সরকার, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, থানা কমিউনিটি পুলিশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরুণজ্যোতি ভট্টাচার্য, সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস ও উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ ও পুরোহিতগণসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সভায় বক্তারা আসন্ন দুর্গাপূজা অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে করার জন্য উপজেলার প্রত্যেক পূজা মন্দিরে ডিজে গান বন্ধ ও মদ্য পান বর্জনসহ পূজার সময় শান্তি বিঘ্নিত হয় এসব কার্যাবলী থেকে বিরত থাকার আহ্বান করেন।