চলারপথে রিপোর্ট :
একটি নান্দনিক সাহিত্য সংকলন-‘তিতাস পাড়ের পদ্য পাতায় পদ্মাসেতু’র মোড়ক উন্মোচন হলো।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। এসময় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, অধ্যাপক-লেখক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যক্ষ বিভূতি ভুষণ দেবনাথ, কবি মনির হোসেন, কবি আমির হোসেন, কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজী মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা বারের পিপি এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন প্রমুখ।
এসময়, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে আমি সালাম ও শুভেচ্ছা জানালাম।
এসময় তিনি পৃথিবীর বুকে বাংলার গর্ব পদ্মাসেতু নিয়ে এই বিশেষ সংকলনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুই বাংলার খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় বাচিকশিল্পী মো. মনির হোসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে নিয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থীরা। আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
জেলার ছয় আসনের মধ্যে পাঁচ প্রার্থী উপস্থিত থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একজন দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে প্রত্যাহার করেন।
প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে জাকির হোসেন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন জহিরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে সেলিম কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে জামসেদ মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আব্দুল আজির।
জেলা জাকের পার্টির সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা পাঁচজন প্রার্থী উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের প্রার্থী দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনে আবেদন করে প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আছে কিনা তা বুঝতেই পারছেন। আমরা কোনো সমঝোতার নির্বাচনে অংশ নিবো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ সীমানা প্রাচীর, টিনের ঘর ও চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে প্রায় তিন শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার সুলতানপুর ও রামরাইল ইউনিয়নের অধীনে সেন্দ মৌজায় রামরাইল ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের সৈয়দ জাকির হোসেন বাহারের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। জাকির হোসেনের জায়গার উত্তর পাশে রয়েছে সরকারি রাস্তা। সরকারি সার্ভেয়ার নিয়োগ করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণের জন্য ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাকির হোসেন বাহার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। ওই বছরের ৮ মার্চ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ারকে নিয়ে মাপঝোঁক করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করেন।
সে সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা ও রাস্তার সীমানার উপর ছয়টি পিলার স্থাপন করে জাকিরকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া নিষ্পত্তিকৃত সীমানা নির্ধারণ লঙ্ঘণ করে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে বরাদ্দ নিয়ে সরকারি রাস্তাটি বিভাজন করেন। পরে তারা জাকিরের জায়গা দখলের পায়তাঁরা শুরু করেন। এক পর্যায়ের তারা সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করা শুরু করেন। ২০২০ সালের ১২ জুলাই জাকির হোসেন বাহার নকশা অনুযায়ি সরকারি রাস্তাসহ তার ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে কাছে লিখিত আবেদন করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া সেন্দ মৌজার ১ নং বিএস খাস খতিয়ানভুক্ত ৫৬৩২ দাগে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন। সেখানে তারা অবৈধভাবে দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর নির্মাণ করে বসবসা করে আসছিলেন।
২০২০ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ( রাজস্ব) আদালতের এক উচ্ছেদ মামলার রায়ের নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসসক কার্যালয়ের এক চিঠি অনুযায়ী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন অবৈধভাবে দখলদার চার ভাই সেলিম, মনির, খোকন ও মামুনকে প্রথমে গত ১০ এপ্রিল পরে গত ৫ জুনের মধ্যে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও তারা কর্ণপাত না করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের চার ভাইয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এসময় দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিমশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন জানান, অবৈধ স্থাপনাসহ দখল সরিয়ে নিতে তাদের দুই দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু দখলকারীরা কোনো কর্ণপাত করেননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদালতের উচ্ছেদ মামলা মূলে খাস জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উক্ত অবৈধ স্থাপনা সমূহের কারণে সেখানে সরকারি রাস্তা নির্মান করা যাচ্ছিল না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন,খন্দকার মোশতাক জাতির পিতার সাথে বেঈমানি করে চিরকালের ঘৃণার পাত্র হয়ে আছেন আর জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়ে নেতার প্রতি অবিচল বিশ^াসের প্রমাণ চির স্মরণীয় হয়ে আছেন। জাতীয় চার নেতা দেশপ্রেমের উজ্জল উদাহরণ আর আনুগত্যের চরম প্রকাশ। আমরা চাই জেলহত্যার সাথে জড়িত পালিয়ে থাকা খুনীদের দ্রুত বিচার কার্যকর করা হউক।
আজ ৩ নভেম্বর শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মো.ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড.শাহানুর ইসলাম,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, জেলা কৃষকলীগ যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম ভূঞা, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলি করে ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান ওরফে ইজাজ (২২) হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও পুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে।
আজ ২৯ জুন শনিবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নিহতদের স্বজন ও বন্ধুরা। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভন, যুবনেতা শনিবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নিহতদের স্বজন ও বন্ধুরা। মোহন, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজহার উদ্দিন মিঠু, ছাত্রলীগ নেতা সামি আহমেদ নাবিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের হোসেন শ্রাবণসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ভূইয়া।
সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নব-নির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহলের ইশারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের মেধাবী ছাত্র, ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফ রহমান ইজাজকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গত ২১ দিন ধরে মামলার প্রধান আসামি সহ আর কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, নিহত আশরাফুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কলেজপাড়ার আমিনুর রহমানের ছেলে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ওরফে শোভনের (আনারস প্রতীক) পক্ষের কর্মী ছিলেন।
চতুর্থ ধাপে গত ৫ জুন বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা আনন্দমিছিল বের করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জেলা শহরের কলেজপাড়ায় ওই মিছিলে গুলি করা হয়। এতে মিছিলে থাকা ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। মিছিলে থাকা ছাত্রলীগের অপর একটি পক্ষ এই গুলি চালায়।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। গত ৮ জুন হত্যাকারী হাসান আল ফারাবী জয়কে নেত্রকোণা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পানির ট্যাংক থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৪ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কলেজপাড়ার ধন মিয়ার বাড়ির পানির ট্যাংক থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে ধন মিয়ার স্ত্রী বাড়ির কাজে পানির কল ছাড়লে পানির সাথে রক্ত বের হয়ে আসে। এ সময় বিষয়টি তার সন্দেহ হলে কয়েকজনকে পানির ট্যাংক দেখতে পাঠানো হয়। তারা ট্যাংকের ভেতর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তবে নিহত যুবক ওই এলাকার নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফর হোসেন জানান, বিকেলে স্থানীয়রা পানির ট্যাংকের পানি থেকে রক্ত বের হতে দেখেন। পরে তারা পানির ট্যাংকের ঢাকনা খুলে ভিতরে লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পানির ট্যাংক কেটে ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, পানির ট্যাংকের ভিতরে লাশ ছিল। নিহতের মুখ থেথলে গেছে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ কয়েক দিন আগের হবে, লাশে পঁচন ধরে গেছে। তার বয়স আনুমানিক ২৮-৩০ হবে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটি একটি হত্যা, তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে।