চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে অবৈধভাবে ডোবা ভরাটের দায়ে একজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান। তিনি জানান, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় একটি চক্র অবৈধভাবে ফসলি জমি খননযন্ত্র দিয়ে কেটে বালু উত্তোলন করছেন ও খাল-ডোবা ভরাট করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সরকারি খালের অংশ ও মালিকানাধীন ডোবা অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভরাট করার সময় শফিক মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শফিক মিয়াকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ড্রেজার মেশিনের পাইপসমূহ জনস্মুখে বিনষ্ট করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পৃথক আরেক অভিযানে উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের গোসাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে ড্রেজার দিয়ে বালু এনে ফসলি জমি ভরাট করতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় জনসম্মূখে পাইপসমূহ বিনষ্ট করা হয়। ভবিষ্যতে আর যদি কেউ ভরাট কাজ করে তবে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে মামলা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযান পরিচালনার সময় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এস এম রাসেল মাহমুদ ও নবীনগর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন সরকারি খাল ও জমি থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কেটে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাটি অন্য উপজেলায় বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েছে।
এসময় গতকাল মঙ্গলবার রাতের আধাঁরে গুচ্ছ গ্রামে ইউএনও একরামুল ছিদ্দিকের নেতৃত্বে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ারের সহযোগিতায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান কালে, উপজেলার বাশারুকের আব্দুর রহমানের ৪টি ড্রেজার ও গাঙ্গেরকোর্টের মোমেনের ২টি ভেকুর ব্যাটারি জব্দ সহ ২ জন ড্রাইভার কে আটক করা হয়। এরমধ্যে দু’জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অপর দু’জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক বলেন, অবৈধ ভাবে মাটি পাচার ও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটিকাটার সময় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৪টি ড্রেজার মেশিন, ২ টি ভেকুর ব্যাটারি,কিছু পাইপ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ড্রেজার প্রশাসনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বাঘাউড়া গ্রামের আলোচিত শফিকুল ইসলাম শফিনূরকে হত্যা মামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
গতকাল ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে মানববন্ধনে অংশ নেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এ সময় শফিকুল ইসলাম শাফিনূর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি শিবপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবি আরেক অন্যতম আসামি রবিউল সহ অন্যান্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। মানববন্ধনে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে শাফিনূরের ভাই হাসান বলেন, গত বছর ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বরে আমার ভাই খুন হয়েছে
আমার নিরপরাধ ভাইকে তারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে, হাবি,রবিউল,হনিফেরা কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন তারা মাদকের গড ফাদার,কিছু আসামী জামিনে বেড় হয়ে গ্রামের অস্ত্র নিয়ে মোহরা দিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করে আমাদেরকে নানান হুমকি দামকি দেয়, আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে বিচার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ কারি গ্রামবাসীরা বলে সফিকুল ইসলাম শাফিনূর অনেক ভালো ছেলে ছিল সে একজন নিরপরাধ মানুষ তাকে যারা খুন করেছে তাঁদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার করা হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মো. হাসান, মজিবুর রহমান, খুরশিদ আলম, মুমিনুল, বোরহান উদ্দিন, শহীদ মিয়া, রুবেল মিয়া, মো. আবির, সোহেল মেম্বার, ডাঃ রোকোনুজ্জামান রোকন,ডাঃ আতাউর সহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর সদরে ১৯৬৮ সালে সাবরেজিস্ট্রি জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময় হতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের প্রধান করণিক মরহুম হাজী আব্দুর রাজ্জাক মসজিদের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণের পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে মসজিদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন বিধায় ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদের অরিজিনাল দলিলপত্রাদি সংরক্ষণে রাখেন।
মরহুম হাজী আব্দুর রাজ্জাকের তৃতীয় পুত্র নারায়ণপুর ডি.এস কামিল (এম.এ) মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক, সাংবাদিক এ. কে. এম. হাবিবুর রহমান হেলাল ১৫ জুলাই সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে সাব রেজিস্টার ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ তফাজ্জল হোসেনের নিকট ওই মসজিদের প্রতিষ্ঠালগ্নের অরিজিনাল দলিল পত্রাদি হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক মাহাবুব আলম লিটন, মোঃ জহিরুল ইসলাম, কাওসার আলম ভূঁইয়া অপু, আবু হাসান আপন, দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জারু মিয়া ও অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতা কাপ মহিলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গভ. মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি ও ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি’র প্রধান উপদেষ্টা আ. ফ. ম কাউসার এমরানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গভ. মডেল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, প্রেসক্লাবের সাবেক আইসিটি সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এর সভাপতি করবী চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় দাস। সুষ্মিতা সাহার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটির সাধারন সম্পাদক শিশির সিকদার।
ব্যাডমিন্টন খেলায় এককে রূপালী চ্যাম্পিয়ন, অনিতা রানার আপ হন। দ্বৈতে রূপালী ও নন্দিনি চ্যাম্পিয়ন এবং জান্নাত ও লিটা রানার আপ হন। এককে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ রূপালী ও দ্বৈতে জান্নাত। অতিথিরা খেলোয়ারড়দের হাতে নগদ টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘খেলো স্পোর্টস সোসাইটি নারীদের নিয়ে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলার মতো যেসব আয়োজন করছে সত্যিই প্রশংসনীয়। নারীদেরকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীরা এখন সমানতালে এগিয়ে চলছে’।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার নিজ গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে প্রতারণা করে প্রায় কয়েক কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন ছাত্রলীগ নেতা শান্ত কুমার রায়।
অভিযুক্ত শান্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
তিনি উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের নির্মল রায়ের ছেলে।
প্রতারণার শিকার ৬ ভুক্তভোগী নির্মল রায় ও তার ছেলে শান্ত রায়কে অভিযুক্ত করে ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, শান্ত কুমার রায় ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি এলাকায় সিগারেটের এজেন্ট ও র্স্বণের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রামে তার বাবার স্বর্ণের দোকান রয়েছে। সে নাম ব্যবহার করে তার বাবার সহযোগিতায় শান্ত কুমার রায় এলাকায় বিশ্বস্ত হয়ে উঠেন, সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার ঘনিষ্ঠজনদের টার্গেট করে ব্যাংকের রেটের চেয়ে উচ্চ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে সিগারেটের ব্যবসা ও স্বর্ণের ব্যবসায় বিনিয়োগ করার কথা বলে নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।
গত শনিবার ও রোববার (১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি) অনেকের টাকা ফেরত দেওয়ার তারিখ ছিল, ওইদিন থেকেই শান্ত লাপাত্তা, তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। শুরু হয় কানাঘুষা, বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক টাকা নেওয়ার তথ্য। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেই তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আরো জানা যায়, নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামের হকের ৪০ লাখ টাকা, মো. সুজন মিয়ার ২০ লাখ টাকা, আব্বাস উদ্দিনের ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ছগির আহমেদের ১২ লাখ টাকা, শ্যামল চন্দ্র দাসের ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা, অক্লান্ত চন্দ্র দেব নাথের ৩ লাখ টাকা ও নিখলী গ্রামের খোরশেদ আলমের ৫ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
এছাড়া থোল্লাকান্দি গ্রামের বিকাশ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের ৩৯ লাখ টাকা, থোল্লাকান্দি গ্রামের আতিকুর রহমান রনির (বিকাশের দোকান) ৩ লাখ টাকা, বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের শাহ জালালের (বিকাশের দোকান) ৫৩ লাখ টাকা, ধরাভাঙ্গা গ্রামের বাবলু মিয়ার ১১ লাখ টাকা, বাড়াইল গ্রামের (বিকাশের দোকান) মাহফুজুর রহমানের ৩ লাখ টাকা, নরসিংদী জেলার মুরাদনগরের বাদল মিয়ার ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শান্ত ও তার বাবা নির্মল রায়। এসব পাওনাদাররা শান্ত ও তার বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অভিযোগকারী শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, স্বর্ণ কিনবে বলে আমার কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয়। লাভ হলে এর কিছু অংশ দেবে বলে আমাকে জানায়। কিন্তু টাকা দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। এখন খুঁজে পাচ্ছি না।
অপর ব্যক্তি ছগির আহমেদ বলেন, ব্যবসায়িক কাজে শান্ত আমার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নেয় গত জুলাই মাসে। বলেছিল তার বাবার স্বর্ণ ব্যবসা আছে দিলে লাভ হবে। কিন্তু এরপর থেকে আমার টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন তারিখ দিতে থাকে। গত শনিবারে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তাকে আর পাচ্ছি না। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাচ্ছি। সে আমার মতো অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে।
ব্যবসায়ী মো. হক সাহেব বলেন, শান্ত ও তার বাবা ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে প্রায় সময়ই টাকা নিতো, আবার ফেরতও দিয়ে দিতো, সর্বশেষ ৪০ লাখ টাকা নিয়েছে, অন্য কারও কাছ থেকে টাকা নিতো এটা আমার আগে জানা ছিল না, এখন শুনতে পাচ্ছি আমার মতো ৩০ থেকে ৪০ জনের কাছ থেকে সে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
অপরদিকে সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে রিফাত আহম্মেদের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা, বড়িকান্দি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি পদ দেওয়ার কথা বলে জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শান্ত কুমার রায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা শান্ত কুমার রায়কে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তার মোবাইল ফোন (০১৭৮৮৫৫০১৩০) বন্ধ পাওয়া যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুউদ্দিন আনোয়ার বলেন, এ পর্যন্ত ছয়জন পাওনা টাকার বিষয়ে নির্মল রায় ও তার ছেলে শান্ত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।