চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গার ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারীরা ও কুমিল্লায় ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে গ্রেফতারকৃত এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ সময় গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি পাসপোর্টসহ অন্য কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে এসব তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া।
পুলিশ জানায়, মিয়ানমারের বলিবাজার থেকে কক্সবাজার হয়ে কুমিল্লায় এসে ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করার সময় এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করা হয়। পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলার সময় কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তাঁরা তাঁকে আটক করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করেন।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়। এ মামলার মূল আসামি রোহিঙ্গা নাগরিক মো. ইয়াছিরের তথ্যর ভিত্তিতে আজ ডিবি ও কোতোয়ালি থানা-পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আড়াইওরা এলাকার মো. মোশারফ হোসেন (৪২), একই জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ (২২) ও ব্রাহ্মণ চাপিতলা এলাকার মো. ফয়সাল মিয়া (২৮)।
অভিযানে আসামি মোশারফকে কুমিল্লা সদরের নোয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতারের সময় তাঁর প্রতিষ্ঠান আল-মদিনা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস থেকে ছয়টি ভুয়া পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট জমার স্লিপ উদ্ধার করা হয়।
ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারী অপর আসামি কম্পিউটার অপারেটর শরিফকে (২৫) মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় নকিব ট্রাভেলস থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে আটটি ভুয়া পাসপোর্ট ও কিছু পাসপোর্ট জমার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক ইয়াছির মিয়ানমারের বলিবাজার এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে। তিনি মিয়ানমার থেকে ২০ দিন আগে কক্সবাজারের বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-৯-এ আসেন।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া জানান, ভুয়া পরিচয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে পাসপোর্ট করার সময় গ্রেপ্তারকৃত রোহিঙ্গা নাগরিক ও রোহিঙ্গা নাগরিকের ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারী আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর ট্রেনে কাটা পড়ে জনি তম্পা নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ ৩১ জুলাই সোমবার ভোরে লাউয়াছড়া বন সংলগ্ন ভাড়াউড়া চা বাগানের ৯ নম্বর সেকশন এলাকায় রেল লাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জনি তম্পা লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মৃত মেজরলি সু:ঙ-এর ছেলে। খবর পেয়ে জিআরপি পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের ধারণা সিলেটগামী পারাবত ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের এক হাত ও এক পা ট্রেনে কাটা ছিল। মাথায় আঘাত ছিল।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর সাব্বির আলী বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়নের জন্য দ্বিতীয় দিনে আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে মোট এক হাজার ২১২টি দলীয় ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ৩২টি।
এ নিয়ে দুই দিনে ক্ষমতাসীন দলটির মোট মনোনয়ন ফরম বিক্রি হলো দুই হাজার ২৭৬টি।
আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার দ্বিতীয় দিনের ফরম বিক্রি শেষে আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরমের মূল্য ৫০ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনে সরাসরি বিক্রি হয়েছে ছয় কোটি ছয় লাখ টাকা। আর অনলাইনে ১৬ লাখ টাকার মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
এর আগে ১৮ নভেম্বর শনিবার প্রথম দিন মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয় এক হাজার ৬৪টি।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলবে আগামী ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে। ফরম সংগ্রহ ও জমা কার্যক্রম চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিভিন্ন সময় হারানো ১৪৩টি মোবাইল ও প্রতারকের খপ্পরে পড়ে খোয়া যাওয়া ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে সাতক্ষীরা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।
আজ ২৫ জুন রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মোবাইল ও উদ্ধারকৃত টাকা ফেরত দেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, ডিবির ওসি তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ, অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার এএমজে সোহেল, ডিআইও ওয়ান ইয়াসিন আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, মে-জুন মাসে ১৪৩টি হারানো মোবাইল প্রযুক্তির সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। যার মূল্য আনুমানিক ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এছাড়া বিকাশে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ১০ জন গ্রাহকের খোয়া যাওয়া ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মোবাইল ও টাকা প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলার সাইবার ক্রাইম ইউনিট অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাহকদের এই সেবা দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবা অব্যহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে একুশে আগষ্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ২০ আগস্ট রবিবার রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। দিবসটি উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘২১ আগষ্টের মামলার নিম্ন আদালতের কাজ শেষ হয়েছে। তার মানে একটা পর্যায়ে কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী এবং আইনের শাসনে যে প্রক্রিয়া সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে। আমি যতদূর জানি, এখন মামলাটার হাইকোর্টে শুনানি চলছে। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলার বিচার এ বছরই শেষ হচ্ছে।’
পলাতকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টেও ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার বিচার কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক উম্মে কুলসুম, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, মো. শাহিনুর ইসলাম, ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, কাজী আরিফুজ্জামান ও ড. শেখ গোলাম মাহবুব সহ মন্ত্রণালয়ের বিভিনœ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরের গুরুদাসপুরে শিকারীর ফাঁদ থেকে উদ্ধার হওয়া ২০টি বক পাখি মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের সাহাপুর মাঠে পাখিগুলো উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগ। এ সময় শিকারি পালিয়ে গেলেও শিকারির হাত থেকে উদ্ধার করা ১৮টি বক পাখি ও দুইটি শিকারি বক পাখি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধন, সাধারণ সম্পাদক সুবাসিষ কবিরসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্থানীয়দের নিয়ে অবমুক্ত করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মশিন্দা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সুজন, রিয়াদ, আক্তার, আরিফ,মুক্তার ও সোহাগ।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধন ও সাধারণ সম্পাদক সুবাসিষ কবির জানান, ‘মশিন্দা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাহাপুর মাঠে পাখি শিকার করার সময় শিকারির ফাঁদ থেকে ২০টি বক পাখি ও ফাঁদ আটক করে খবর দেয়। ততক্ষণাৎ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের নিয়ে পাখিগুলো মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেছি। পাখি শিকার বন্ধে পরিবেশকর্মীদের পাশাপাশি উপজেলা ছাত্রলীগ তৎপর রয়েছে। পাখিগুলোকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তবে শিকারি পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া স্থানীয়দের নিয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে। আশা করছি এমনভাবেই একসময় পাখি শিকার বন্ধ হয়ে যাবে।
গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাদের পাশাপাশি এ সকল মানবিক কার্যক্রম করে থাকে। সমাজের সকলেই যদি সচেতন হতো তাহলে পাখি শিকারিরা পাখি শিকার করতে পারতো না। আশা করছি সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে আমরা পাখি শিকার বন্ধ করতে পারবো।