চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সময় দুটি ভেকু ও তিনটি ট্রাক্টর জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভেকু ও ট্রাক্টর জব্দ করেছে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিলে কয়েকটি চক্র ফসলি জমি খননযন্ত্র দিয়ে পুকুরের মতো কেটে মাটি উত্তোলন করছেন। সে সব মাটি ট্রাক্টরের মাধ্যমে নিয়ে পুকুর ও জলাশয় ভরাট করছেন। তারা ফসলি জমিগুলোতে নষ্ট করে ফেলছেন।
বিকেলে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা কালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ভূমিখোরেরা পালিয়ে যাই। পরে অভিযানে দুটি ভেকু ও তিনটি ট্রাক্টর জব্দ করে স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় রাখা হয়।
তিনি আরো জানান, এর আগে ধরন্তি বিলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা এক জনকে আটক করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। ধুরন্তি বিলে চলতি মাসে এটি পঞ্চম অভিযান। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জাতীয় পার্টির উপজেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের কালীকচ্ছ বাজারে জাতীয় পার্টির স্থানীয় কার্যালয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
সরাইল উপজেলা সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ফজলুল হক মৃধা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. আলী নেওয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ মিয়া, উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি হুসেইন মুহম্মদ শাওন, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মো. মামুন, কালীকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল ফাতেহ মুহম্মদ ভুট্টো, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আবু তাহের, কালীকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত প্রমুখ।
সভায় আগামী ১৭ মে কর্মী সম্মেলনকে সফল করার জন্য হাফেজ মো. আলী নেওয়াজকে আহ্বায়ক ও মাহফুজ মিয়াকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিয়াউল হক মৃধা তাকে সিলেট অঞ্চলের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ায় বেগম রওশন এরশাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা রওশন এরশাদ ও জিয়াউল হক মৃধার প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ২৫ মার্চ, ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে । এ উপলক্ষে আজ ২৫ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাহীকর্মকর্তা মোঃ মেজবা উল আলম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বআলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর, বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার নাসরিন সুলতানা, সরাইল থানা তদন্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলী, পানিরশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য মোঃ আমজাদ হোসেন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, আমরা জয়লাভ করি। বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস চর্চায় উৎসাহিত করতে হবে।
১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার নৃশংসতা ছিলো ভয়াবহ। অচিরেই আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এ দিবস স্বীকৃতি লাভ করবে এবং গণহত্যার বিচার করা সম্ভব হবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।
পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর বধ্যভূমি প্রাঙ্গনে গণহত্যার স্মৃতিস্তম্বে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনা আয়োজন করা হবে। সন্ধায় ৭ টায় মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে। ও রাত দশটায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এক মিনিটের জন্যে প্রতিকী ব্ল্যাক আউট করা হবে।
বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন বুধবার। ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসন গঠিত। দুই উপজেলায় রয়েছে ১৭টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় রয়েছে ৯টি ইউনিয়ন ও আশুগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৮টি ইউনিয়ন।
উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯টি এবং আশুগঞ্জ উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার।
উপ-নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৩২টি। এর মধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪৮টি ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে।
উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া-(কলারছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী-(লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের ২ বারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (আপেল প্রতীক), জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল-(গোলাপ ফুল), ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ-(মোটর গাড়ী প্রতীক)।
তবে প্রতীক বরাদ্দের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন।
উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমানে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি প্রতীক) গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি আবু আসিফ নিজেই আত্মগোপন করেছেন।
এদিকে নিখোঁজ স্বামীর (আসিফ) সন্ধান পেতে ও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ করতে জেলা প্রশাসক ও উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা মেহরিন। মঙ্গলবার দুপুরে লোক মারফত তিনি রিটার্নিং অফিসারের কাছে এই আবেদনপত্র পাঠান। আবেদনের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আশুগঞ্জ থানার ওসির কাছে ও দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও উপ-নির্বাচরে রিটার্নিং অফিসার মোঃ মোঃ শাহগীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলারছড়ি প্রতীক) নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন।
“উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সমর্থক গোষ্ঠির ব্যানারে” বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা আজাদ ওরফে শিউলী আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকারের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় কলারছড়ির পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্থানীয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে নির্দেশনা দেন। প্রচার-প্রচারণায় সরকারি দলের নেতাদের সহযোগীতা পেয়ে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। নির্বাচনে তিনি চমক দেখাতে পারেন বলে মনে করছেন নির্বাচনী এলাকার লোকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার আশুগঞ্জ ও সরাইল এলাকার একাধিক ভোটার বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসনে বিএনপির সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা প্রার্থী হতে পারেন। ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা যাতে নির্বাচনী এলাকায় সুবিধা না করতে পারেন সেজন্য আওয়ামীলীগ বিএনপির পদত্যাগী নেতা উকিল আবদুস সাত্তারের পক্ষে মাঠে নেমেছে। উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসন থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের প্রত্যাশা করেছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঞা।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। নির্বাচনে ১হাজার ১শত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার পাশাপাশি থাকবে ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম এবং ৪টি স্ট্রাইকিং টিম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২জন আনসার, লাঠিধারী ১০জন আনসার ও ২জন গ্রাম পুলিশ।
উপ-নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপ-নির্বাচন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। কোন ধরনের বিশৃংখলা সহ্য করা হবেনা। কেউ বিশৃংখলার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেউ বিশৃংখলার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে স্বর্গীয় ‘আশুতোষ চক্রবর্তী স্মারক শিক্ষাবৃত্তি-২০২৪’ পেল ১০০ মেধাবী শিক্ষার্থী।
আজ ১৩ জুলাই শনিবার ইউনিভার্সেল কলেজ হাসপাতাল ঢাকা এর শিক্ষা সামাজিক উদ্যোগে সরাইল উপজেলা কমপ্লেক্সের স্বাধীনতা হলে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরাইল ও আশুগঞ্জের ১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে এ শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়েছে। তাদের দশম আয়োজনে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জনকারীদের পাশাপাশি অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীরাও স্থান পেয়েছে। উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় স্থানীয় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাও দেয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আশুতোষ চক্রবর্তীর স্ত্রী পুষ্ফ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা।
জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, প্রভাষক ও বাচিক শিল্পী মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন-বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-২ মো. শহীদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাথাওয়াত হোসেন বিপিএম (সেবা), প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. নজরুল ইসলাম, সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. রাকিবুল হাসান, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ও সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি এমন একটি মহৎ আয়োজনের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান করে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষা ছাড়া পৃথিবীতে কোন জাতিই উন্নতি করতে পারে না। তাই আমাদেরকে অবশ্যই শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আরো গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে পাঠ গ্রহন ও পড়ালেখায় অধিক মনোযোগি হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাদক ও বাল্যবিয়েকে না বলতে হবে।