চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান মারা গেছেন। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল পৌনে ৩ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি আইসিইউ হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফায়েজুর রহমান ফয়েজ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়াবেটিক, হাই প্রেসার ও হার্টের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল দুপুর দেড়টায় তিনি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজস্ব কক্ষে অসুস্থতা অনুভব করেন। তখন হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি হার্ট এ্যাটাক করেছেন বলে বিষয়টি জানা যায়। পরে তাকে ঢাকা নেওয়া প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই ডাঃ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানের শারীরিক অবস্থান অবনতি ঘটলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কুমারশীল মোড়স্থ আইসিও স্প্যাশালাইজড হাসপাতালে তাকে আইসিওর লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তবে বিকাল পৌনে ৩টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
চিকিৎসক মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ২১ বিসিএস এর ক্যাডার। ২০২১সালে ২৩জুন তত্ত্বাবধায়ক পদে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিযুক্ত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২ ব্যবসায়ীকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের মেড্ডা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী জানান, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা বাজারে বাজার মনিটরিং করা হয়। বাজার মনিটরিংয়ে রমজানকে সামনে রেখে কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি ও ক্রয় রসিদ প্রদর্শন করতে পারেনি।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ এর ধারায় ২ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সদর মডেল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) থেকে সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহনে এক শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে স্থাপিত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন পুষ্পস্তক অর্পন করেন। পরে জাতির জনকের প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এর পর পর্যায়ক্রমে জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, পৌর সভার পক্ষে মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের প্রধানগন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌর শহরের সকল ওয়ার্ডে কাঙ্গালী ভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ ১২ জুন সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের বিরাসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে নতুন ও পুরাতন কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এ ঘটনায় নতুন কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। আজ সোমবার নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ আনন্দ মিছিল করার জন্য বিরাসার এলাকায় জড়ো হয়। এ সময় পুরাতন কমিটির আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও অন্য নেতৃবৃন্দ একই স্থানে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। একপক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত মহা-পরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এর ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, একটি উন্নত জাতি গঠন করতে গেলে জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
তিনি আজ ৪ জুন রবিবার জেলার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পৃষ্টপোষকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক আয়োজিত দিনব্যাপী “পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) স্কিম” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি আমরা পরিচর্যা না করি, যদি আমরা শিক্ষায় গুরুত্ব না দেই তাহলে আর কিছুতেই আমাদের উন্নতি হবেনা। সেজন্যই জাতির পিতার পর আমরা দেখেছি তারই সুযোগ্য কণ্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার উপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং তারই নির্দেশনায় শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করেছে যাতে আমরা শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারি। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখন চোখে পড়ার মত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য। এত প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার পাপিয়া আক্তার, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার জিসান আহমেদ।
কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিগন অংশগ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
“অলিম্পিক খেলায় জয় লাভই বড় কথা নয়, অংশ গ্রহণই বড় কথা” এই স্মরণীয় বাক্যকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার দিনব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬২তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ নিজস্ব মাঠে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান ভূঞার সভাপতিত্বে ও স্বাগত বক্তব্যে আয়োজিত ক্রীড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোসাইন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জুলফিকার হোসেন, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, গভর্ণমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ, সাবেরার সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামান, সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, সাংবাদিক মোঃ নুরুল আরাফাত মুগ্নি, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোরায়রাহ। ছাত্রীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি মাহমুদা আক্তার জাতীয় পতাকা এবং বিশেষ অতিথি ইকবাল হোসাইন ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করেন। ক্রীড়াবিদ, যুব রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড, হলদে পাখি ও গার্ল ইন স্কাউট সদস্যাদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ-মাঠ পরিভ্রমণের পর প্রধান অতিথি শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ক্রীড়াবিদগণ শপথ গ্রহণ ও অলিম্পিক মশাল নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীরা মনোজ্ঞ শরীর চর্চা এবং নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, খেলাধুলা শরীর ও মনকে উজ্জীবিত করে। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে পরিচিতি ঘটে। তিনি আরও বলেন, খেলার পাশাপাশি পড়ালেখাও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে যথাযথভাবে তোমাদের নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পর্যাপ্ত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকেও সরকার প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে নিজ যোগ্যতাবলে এগিয়ে যেতে হবে এবং সুন্দর দেশ গড়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও সিনিয়র শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সার্বিক পরিচালনায় মোট ৩৬টি আইটেমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার ২১ শত প্রতিযোগী অংশ নেন। বিগত ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী শিক্ষায় ধারাবাহিক অবদান রেখে চলেছে। অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।