বিজয়নগরে ইটভাটার শ্রমিকের মৃত্যু

বিজয়নগর, 18 February 2024, 749 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা জাপান ইটভাটার শ্রমিকের লাশ পাওয়া গেছে।

banner

আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে স্থানীয়রা ধানের জমিনের আইলে লাশ পরে থাকতে বিজয়নগর থানা পুলিশকে অবহিত করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শ্রমিক মোঃ ফজলুল হক (৫৫) এর লাশ উদ্ধার করে।

সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মৃত মোঃ হেলাল উদ্দিন ছেলে।

জাপান ইটভাটার মালিক পক্ষ দাবি করেন, শ্রমিকের দায়িত্ব সর্দারের। আর তাদের খোঁজ রাখার দায়িত্বও সর্দারের। শনিবার সন্ধ্যায় ওষুধ আনতে ডাকবাংলো মোড় যাওয়ার জন্য বের হয়।

বিজয়নগর থানার এস.আই মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, জমিতে লাশ পরে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

বিজয়নগরে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোকতাদির চৌধুরী এমপি

বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 19 December 2023, 1611 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় গুরুত্ব পাচ্ছে মাদকের বিষয়টি। আওয়ামীলীগে ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাদক বিরোধী পোষ্ট ও স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

banner

আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সিঙ্গারবিল বাজারে এক পথ সভায়ও মাদকের বিষয়টি তুললেন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সিঙ্গারবিল বাজারের পথ সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাজারে দুধ ও পাওয়া যায় মদও পাওয়া যায়। আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম আপনারা কোনটা কিনবেন। তবে আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা দুধ কিনবেন।

পথসভায় র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে বিজয়নগরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি গত ১৩ বছরে কি করতে পেরেছি সেটা আপনারা জানেন। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট দেয়ার সময় আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ীকে না বলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।

এ সময় র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভ‚ইয়া, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিসেস নাছিমা লুৎফুর রহমান (নাসিমা মুকাই আলী), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সিঙ্গারবিল বাজারের পথ সভার পর মোকতাদির চৌধুরী এমপি সিংগারবিল বাজার থেকে বিষ্ণুপুরে যান।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগ, স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এই আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব ছিলেন। গত ১৩ বছরে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন।

সরকারের উন্নয়ন জনগণের মাঝে উপস্থাপন করুন : মোকতাদির চৌধুরী এমপি

বিজয়নগর, 28 January 2023, 1511 Views,

বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের পরিকল্পিতভাবে সব সেক্টরে বিশাল উন্নয়ন ঘটিয়েছে। উক্ত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনা দরকার। তাই আপনারা যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী জনগোষ্ঠী রয়েছেন তাঁরা আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধারণ জনগণের মাঝে তুলে ধরে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবেন পরিকল্পিত উন্নয়নের দ্বারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারও ক্ষমতা আনার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদান করার জন্য বলে উপস্থিতি জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতি ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।তিনি বিজয়নগর উপজেলার অভাবনীয় উন্নয়নের কিছু বর্ণনা প্রদান করে এবং বিজয়নগর উপজেলাকে সাজিয়ে তুলতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে এমন অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার জন্য এখন থেকে মাঠে নির্বাচনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

banner

আজ ২৮ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১ টায় বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ করে এমন বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় বিজয়নগর উপজেলায় মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় বিজয়নগরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি মাদক চোরাচালান বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো সতর্ক থাকার আহ্বান করেন। শেখ কামাল আন্তঃ স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় বিজয়ী বিভিন্ন শিক্ষার্থী মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান খাঁন শাওন, বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রাণীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এর আগে সকালে তিনি উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেন।

বিজয়নগরে তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি গ্রেফতার

বিজয়নগর, 4 April 2023, 1411 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি শাহপরান ওরফে পরানকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩ এপ্রিল সোমবার রাতে জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

banner

পরানের বিরুদ্ধে ১০টি মাদক মামলা চলমান রয়েছে। তিনি একটি মামলায় পলাতক ছিলেন। পরান উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের উথারিয়াপাড়া এলাকার প্রয়াত নান্নু মিয়ার ছেলে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন জানান, পরান তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার একটি মাদক মামলায় পলাতক ছিলেন। সোমবার ভোরে তাকে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা গ্রেফতার করে।

এসময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা এবং দুটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়। পরে বিকেলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

নারী সমাবেশ ও উঠান বৈঠক

বিজয়নগর, 1 December 2024, 279 Views,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উঠান বৈঠক ও ছত্তরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এমবিবিএস ডা. জাগ্রত জীবন, প্রধান শিক্ষক ছত্তরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস, ইউপি সদস্য শেখ মিন্টু এবং উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক চান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবিএম মোরশেদ কামাল, সহকারি শিক্ষক মোছাঃ সেলিমা আক্তার, সহকারি শিক্ষক রুনা লাইলা, সহকারি শিক্ষক স্নিগ্ধা সাহা, সহকারি শিক্ষক রিপন দেবনাথ, সহকারি শিক্ষক মোছাঃ তাহমিনা বেগম সহ প্রায় আটশত নারী পুরুষ।

banner

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান বলেন বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গঠন করার জন্য সবার আগে একটি শিক্ষিত সমাজ ব্যবস্থার প্রচলন করতে হবে। একমাত্র শিক্ষায় পারে সমাজের সকল অসংগতি দূর করতে।

তিনি আরো বলেন, অশিক্ষাই সকল অজ্ঞতার মুল। আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মূলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সর্ম্পূণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চাই, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সর্ম্পূণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন নারীদের যে দুইটি রোগ বেশি হয় তা হলো জরায়ু মুখ ক্যান্সার অন্যটি বেস্ট ক্যান্সার। তাই অবস্যই ৫ম -৯ম শ্রেণী ছাত্রীদের এবং ১০-১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্য এইচপিভি টিকাদান ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরোও বলেন আমাদের দেশে, শিক্ষায় নারীরা যদিও এগিয়ে যাচ্ছে তথাপি বাল্য বিবাহের পরিমান কমানো যাচ্ছে না যা আমাদের সমাজের জন্য একটি হুমকির স্বরুপ। তাই বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহব্বান জানান।

উক্ত নারী সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে অন্যান্য বক্তারা বলেন বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকি স্বরুপ।

বিজয়নগরে বিপণিবিতান নির্মাণে ভরাট হচ্ছে চার দশকের পুরোনো পুকুর

বিজয়নগর, 20 January 2024, 777 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বিপণিবিতান তৈরির জন্য চার দশকের পুরোনো একটি পুকুর ভরাট করছেন স্থানীয় কয়েকজন। যদিও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিদিন ট্রাক্টরে মাটি ফেলে ভরাট চললেও রহস্যজনক কারণে নীরব কর্তৃপক্ষ। দুই মাস ধরে পুকুর ভরাটের কাজ চলছে।

banner

ভরাটকাজে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, সবাইরে ‘ম্যানেজ’ করেই তাঁরা ভরাট করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। তবে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, তাঁরা কাউকে পুকুর ভরাটের অনুমতি দেননি। একবার ভরাটের খবর পেয়ে ভরাট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আবার ভরাট শুরু হলে তাঁরা উদ্যোগ নেবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, পুকুরটি বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের ৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। ইউএনও, সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রতিদিন পুকুরের সামনে দিয়ে যাতায়াত করেন। তাঁরা এ বিষয়ে কোনো কিছু বলছেন না। দুই মাস ধরে মাটি ফেলার কাজ করলেও তাঁরা শুরু থেকে নীরব।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগরের চান্দুরা-আখাউড়া সড়কে ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর মোড়ে রাস্তা-সংলগ্ন পুকুরটি ৪০-৫০ বছরের পুরোনো। পুকুরের পূর্ব দিকের বাসিন্দা জলফু মিয়া, তাঁর ছোট ভাই আজিজুল হক ওরফে মলাই মিয়া, করিম মিয়াসহ কয়েকজন পুকুরটির ৭২ শতকের মালিক। সাড়ে তিন মাস আগে পুকুরটি ভরাট করতে পানি সরানো হয়। এরপর জলফু, মলাইসহ পাড়ের বাসিন্দারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি এনে ভরাটের কাজ শুরু করেন। পুকুরটি ভরাট করে সেখানে বিপণিবিতান নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। এ জন্য তাঁরা ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ভরাট করা বেআইনি। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী, প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি। কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

অন্যদিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের (২০১০ সালে সংশোধিত) ৬ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।’

বিজয়নগর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের নাজির মো. সৈয়দ মিয়া ও বুধন্তি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের তহসিলদার কাজল বণিক বলেন, তাঁরা যতটুকু জানেন, জমিটি নালা শ্রেণির। সেটি ভরাটের অনুমতির জন্য তাঁরা ইউএনওর কাছে আবেদন করেছেন বলে শুনেছেন।

বিজয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান খান বলেন, অভিযোগ আসার পর ভরাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবার শুরু করলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। জমিটি জলাশয় না পুকুর শ্রেণির কাগজপত্র না দেখে বলা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন ও শ্রেণিভুক্ত না হলে ভরাটের অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে জমিটি কী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুকুরের মালিক আজিজুল হক বলেন, ‘আপনে আমারে কেন জিগাইতেছেন। ম্যাডামরে (ইউএনও) জিগান। ম্যাডামের কাছে সব কাগজপত্র জমা আছে। সব দিছি। জায়গাটি ২০০০ সালে আমরা কিনছি। এইডা পুকুর না, জলাশয়। এখানে জায়গা আছে ৭২ শতক। আমরার ভাই-বোনদের বাড়িঘরের প্রয়োজনে এইডা ভরাট করতাছি।’

তবে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, ‘আনুমানিক ৪০ বছর ধরে পুকুর হিসেবে দেখতেছি। ভরাট বন্ধের জন্য বলেছি। বিষয়টি ইউএনওকেও জানিয়েছি।’

কোনো পুকুর ভরাটের জন্য কাউকে অনুমতি দেননি বলে দাবি করেন ইউএনও রুবাইয়া আফরোজ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। প্রশাসনকে উৎকোচ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যিনি এই অভিযোগ করছেন, তাঁকে রেকর্ড বা প্রমাণ থাকলে দেখাতে বলেন। আমি তো বলছি, আমাকে একটু সময় দিন।’ দুই মাস ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় ভরাট চলছে উল্লেখ করলে রুবাইয়া আফরোজ বলেন, ‘আমি খোঁজ নেব।’