চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাডেমির উপদেষ্টা কবি আসাদ চৌধুরীর স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী এ আয়োজন সংগঠনের নবীন-প্রবীণদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার শহরের গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাহিত্য একাডেমির পরিচালক অ্যাডভোকেট আবু তাহের-এর সভাপতিত্বে ও কবি জয়দুল হোসেনের পরিচালনায় শুরুতে সংগঠনের সদস্যদের পরিচিতি, বিগত বছরের কার্যতালিকা পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদ্দূছ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন সৌরভ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব ফয়েজুল কবীর, জেলা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, আবরনি নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ, তরী আহবায়ক শামীম আহমেদ।
এছাড়া সাহিত্য একাডেমির উপদেষ্টা ডা. আহমদ আল মামুন ও কবি মুজিবুল বারী, পরিচালক মণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসরারুননবী মোবারক, একেএম শিবলী, পরিমল ভৌমিক, ফারুক আহমেদ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা মো. রিফাত আমিন ও সংগঠনের সদস্য জিয়াউদ্দিন ঠাকুর।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাক্তন স্কাউটস সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও কার্যনির্বাহী কমিটির যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজন করা হয়েছে। আজ ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার পৌর শহরস্থ নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে প্রাক্তন স্কাউটসদের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই উপস্থিত সকল স্কাউট্স দের পরিচয় প্রদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্কাউটার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রাক্তন স্কাউটস সদস্য আল আমীন শাহীনের সঞ্চালনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক স্কাউটার মোঃ হাবিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বিশেষ সাধারন সভায় কার্যবিবরনী পাঠ করেন শাহ আলমগীর।
বিগত সাধারণ সভা আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শাহীন, প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করেন স্মৃতি সাবোন, মোর্শেদ আমিনী মিলি ও ঘোষ। এর পর গঠনতন্ত্রের বিষয়বস্তুর উপর সকল স্কাউটরা আলোচনা করেন।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্রীণ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপচার্য সাদমান সাদিক রকি।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস যুগ্ন সম্পাদক-১ খশরুজ্জামান খান বাপ্পী, স্কাউটস এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কমিশনার মোঃ সাহিদুল ইসলাম, স্কাউটাস এস কে শাহীন মাহমুদ, স্কাউটাস রেজাউল কাইউম স্বপনসহ প্রাক্তন স্কাউটস সদস্যবৃন্দ।
উক্ত সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাক্তন স্কাউটদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন, নতুন প্রজন্মের স্কাউটদের উৎসাহ, স্কাউটিং আন্দোলন বিকশিত, প্রাক্তন স্কাউটসদের যুক্ত করা এবং সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র ও কার্যবিবরণী নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। প্রাক্তন স্কাউটস সমাজিক কার্যক্রম বাড়ানোর উপর বক্তারা জোড় দেন। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে যদি বাধা আছে তাহলে বাধাদানকারীদের বুঝিয়ে ও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রাক্তন স্কাউটসদের বিশেষ সাধারণ সভায় সংগঠনের সভাপতির পদত্যাগের বিষয়ে অবহিতকরন এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব প্রদান ও সংগঠনের নতুন নামকরণে সাধারন সম্পাদকের নাম প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ড. মুুহম্মদ শহীদুল্লাহ গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড (২০২৩) পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার প্যানেল মেয়র, পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মোঃ শাহীন।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গত শনিবার ঢাকার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মীর মোঃ শাহীনের হাতে এই সম্মাননা এ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন এম.এ আউয়াল।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দেশবরেণ্য গীতিকার ও সুরকার মোঃ মাসুদুর রহমান মিলকী ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সহ-সভাপতি লায়ন খন্দকার রেজাউল করিম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব এম. এইচ আরমান চৌধুরী।
এ ব্যাপারে সম্মাননা পাওয়া মীর মোঃ শাহীন বলেন, জাতীয়ভাবে সম্মাননা পেয়ে আমি গর্বিত। সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ আমার আরো বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, এর আগেও আমি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কাজের স্বীকৃতি পেয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান চালিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্স। আজ ২১ অক্টোবর সোমবার দুপুরে জেলা শহরের ফারুকি ও জগৎ বাজারে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। এসময় দুটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
টাস্কফোর্স সূত্র জানায়, ফারুকি বাজারে ডিমের আড়তদার ইব্রাহিম ট্রেডার্স নিজে পাইকার হয়ে ভুয়া ভাউচার দেখাতে নিজের মালিকানাধীন আরেকটি খুচরা দোকানে ডিম সরবরাহ করতেন। কিন্তু মূল্য জালিয়াতি করে বাড়তি দামে ডিম বিক্রি করছিল গ্রাহকদের কাছে। তার খুচরা দোকানে একটি মূল্য তালিকার সামনে এক রকম মূল্য এবং পেছনে আরেক মূল্য লিখে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। টাস্কফোর্সের অভিযান চলাকালে মুহূর্তেই মূল্য তালিকা বদলে ফেলেন দোকানি। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া জগৎ বাজারে অভিযান চালিয়ে মেসার্স শাহ আমানত ট্রেডার্স নামে একটি পেঁয়াজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ক্রয় রশিদ ছাড়াই মৌখিকভাবে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছে টাস্কফোর্স। সরকারি বন্ধের দিনেও এই অভিযান চলবে। এর ফলে শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অভিযানে গত ১ বছরে (২০২৪ সালে) প্রায় একশত পঞ্চাশ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৮৬ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ১ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি, এসি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১শত ৪৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৩১৯ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধ মাদক ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। একই সময় এসব মাদক ও চোরাচালানীর সাথে জড়িত ৮৬ জনকে গ্রেফতার এবং ২০ জন পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে হুইস্কি ১০৭৭১ বোতল, বিয়ার ১৭০৮ পিস, ইস্কফ সিরাপ ৩৯১৩ বোতল, গাঁজা ৩৯২০.৯ কেজি, ফেন্সিডিল, ৩৪১৪ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট- ৪৬,০৬৮ পিস, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ি ১৭১৬৬ পিস, গরু ৩৩৩ টি, বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ফোন ১৯৪৮ টি, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ৪৫০৪০ টি, বাসমতি চাল ৩৭৩১৮.৫ কেজি, চিনি ১০,৯৫,৬৭০.৫ কেজি, নেহা মেহেদী ২১৫৮১৫ পিস, জিরা ১৫৬২ কেজি, বিভিন্ন প্রকার চকলেট ১১৭৯৯৮ পিস, বিভিন্ন প্রকার তালা ১৪,২৩৪ পিস, বিভিন্ন প্রকার বাঁজি-৬৩,৯০,০০৯ পিস, বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ঔষধ সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার কাপড়, কসমেটিক্স সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশ, মোটর সাইকেল, সিএনজি, বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রকার মাছ ইত্যাদি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী এলাকায় অভিযান দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সায়মন মিয়া (২৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের ভাদুঘর এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে ও দাতিয়ার এলাকার আবুল ফায়েজের ছেলে ওমর ফারুক রনি (২০)।
আজ ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা। গ্রেফতার সায়মন মিয়া ডাকাত দলের সর্দার। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জনস্বার্থে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।