চলারপথে রিপোর্ট :
বসন্তের আবাহন, ভালোবাসা দিবসের তারুণ্যের উদ্দাম সমুদ্র পাড়ি দিয়ে এবছর পাঠক নন্দিত যুগান্তরের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকালের কনে দেখা রোদ্দুর গায়ে মেখে নবীনগরের স্বজনেরা জাঁকজমক সহকারে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করেছে।
কর্মসূচিতে ছিল কেক কাটা, আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা ও স্বজনদের সাহিত্য বাসর। স্বজন সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মো. সাদেকের সভাপতিত্বে নবীনগর স্বজনের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আবু কামাল খন্দকারের সঞ্চালনায় উপজেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অংশ নেন আমিনা খাতুন, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, আবু কাওসার, মিঠু সূত্রধর পলাশ, মাজেদুল ইসলাম, বই মজুর স্বপন মিয়া, ক খ ম হযরত আলী, যুগান্তরের নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি মো. সাফিউল আলম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা, যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া যুগান্তরের প্রকাশক ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মিসেস সালমা ইসলামের দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের বক্তারা আগামীদিনও যুগান্তর অবিরাম দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃতি সন্তান, দেশবরন্যে চিত্রনায়ক আলমগীর এবছর একুশে পদক লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানানো হয়।
এছাড়া শুভেন্দু চক্রবর্তী শুভর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা পাঠ, সংগীত পরিবেশনে অংশ নেন শেখ হুমায়ন, নাসিমা আক্তার স্মৃতি, এ কে এম ফজলুল হক, মাহমুদা বেগম, আজমাইল আদিল, রাইসা জাহান, তারিনা মিমি, ইসরাত ঐশী, হামিদা তিশা, ফাহিমা আক্তার, সাজিদা মীম, নওশিন আনজুম রামিছা, ফারজানা, লাবণ্য হাসি, তাসনিম খন্দকার, তাসনিম মায়িশা, ফাহমিদা আক্তার, হাফসা হেনা, নেহা সাহা, শবনম মুস্তারিন, জান্নাতুল ফেরদৌস, ইতি দেবনাথ, মূহনা চৌধুরী, সাওদা মনি, তাসফিনা, খাদিজা আক্তার, সাফায়েত মারজুক, লিখন সাহা, অন্বেসা,আদিব, নুশরাত জাহান, পূজা রানি, জিনিয়া, বাইজিদ বোস্তামী, সানিয়া, সোহান, ছাবিহা মিম, অন্তরা, আফরিনা, আনুদ, উম্মে হানি, হালিমা, তামিম, সুমাইয়া মিম।
ফাগুনের আগুনে রাঙ্গানো পলাশ-শিমুল-কৃষ্ণচূড়ার ফুলে ফুলে শোভিত ভাষা শহীদ দিবসকে সামনে রেখে যুগান্তরের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এ বছর এক অনন্য মাত্রা পেয়েছে। তাই অনুষ্ঠানটির স্মৃতি স্বজনদের স্মরণ সভায় বহুদিন ধরে উঁকি দিবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত চলছে ঈদের কেনাকাটা। গত ৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার সদর বাজারসহ অন্যান্য কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ছোট বড় শপিং মলের পাশাপাশি বিক্রি বেড়েছে ফুটপাতেও।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নবীনগর উপজেলার শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান ও রাস্তার পাশের ফুটপাতে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদের নতুন চালান থেকে বেছে নিচ্ছেন অভিভাবকসহ তরুণ তরুণীদের ড্রেস ও প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই শিশুরাও, অভিভাবকরা শিশুদের জন্য কিনছেন বাহারি রকমের পোশাক। ঈদ বাজার জমজমাট হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও। আধুনিক সমবায় সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। পুরো পরিবার নিয়েই অনেকে হাজির হয়েছেন শপিং মার্কেটে। নবীনগর পৌর এলাকার পূর্ব পাড়ার মুসা মিয়া বলেন, প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসেছি বন্ধুবান্ধবসহ পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করব। পরিবার ও নিজের জন্য ঈদের কেনাকাটা করছি।
ঈদের শপিং করতে আসা বিদ্যাকুট গ্রামের ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ঈদের কেনাকাটা করবো বলেই উপজেলার সদর বাজারে আসছি কিন্তু এ বছর তুলনামূলক সবকিছুর দাম বেশি মনে হচ্ছে। সমবায় মার্কেট থেকে শার্ট ও প্যান্ট কিনেছি, এখন জুতা কিনতে সালাম রোডের দিকে যাচ্ছি।
রসুলাবাদ থেকে আসা আফরোজা বেগম বলেন, ঈদের কেনাকাটা করতে নবীনগর বাজারে আসছি। ঈদের জন্য জামা কাপড় কিনেছি। ছেলে ভাইনা করেছে নীল রঙের ঘড়ি কিনবে, ঘড়ির দোকানে যাচ্ছি। দামের বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দাম একটু বেশি।
পৌর এলাকা রাজ্জাক মিয়া বলেন, গত দুই মাস আগে যে শার্ট ৫০০-৭০০ টাকায় কিনেছি এখন তা ৮০০-১০০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
খাজানগর গ্রামের রহিছ মিয়া জানান, ঈদের কেনাকাটা করতে পরিবার নিয়ে শপিংমলে আসছি। গত বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম বেশি মনে হচ্ছে। একটি থ্রি পিস কিনতে গেলে ৩২০০ টাকা দাম বলেন, যা পরে আমার কাছে ১১০০ টাকা বিক্রি করেন। নির্ধারিত মূল্য তালিকা না থাকায় ঈদকে সামনে রেখে কিছু দোকানদাররা এই সুবিধা নিচ্ছেন বলে তার অভিযোগ। তুলনামূলক রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানগুলোতে এবছর বেড়েছে বিক্রির পরিমাণ। শপিংমল গুলোতে মূল্য বেশি হওয়ায় অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মন্দার কারণে আগের চেয়ে সব পণ্যের দাম চওড়া। তাই আমাদের কিনতে হয় বেশি দামে। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারাও দেখে শুনে যাচাই করে নিচ্ছেন
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল। তিনি এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০৭ জন। আসনটির ১৪৯ ভোট কেন্দ্রের ৯৭৭টি ভোট কক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে সকলেই অকৃতকার্য হয়েছে।
আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার নবীনগর উপজেলা থেকে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় ২০৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১৪৭১ জন পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০০ জন, পাশের হার ৭১.৪১%। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ২০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ২০১ জন পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন, পাশের হার ৯৭.১০%। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় ৮৭ জন অংশগ্রহণ করে ৮০ জন পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন, পাশের হার ৯১.৯৫%। একমাত্র কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজই শতভাগ ফেল।
কেউ পাশ না করা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ ফেলের কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজন এর ব্যবস্থা না হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের আরো একটি মেগা প্রকল্প শিবপুর- রাধিকা সড়কের দুইটি অংশের মধ্যে আজ ১২ মে শুক্রবার রাধিকা অংশের পিচ ঢালাই কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
কাজের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ নবীনগর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, নবীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, বিশিষ্ট শিল্পপতি রিপন মুন্সি, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ প্যানেল মেয়র নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট সুজিত কুমার দেব, কাজী ইয়াবের হাসান জামিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, তাণ ও পূর্ণবাসন সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কবির আহমেদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার শফিকুর রহমান, কাজী ফেরদৌস, কার্যকরী সদস্য সাইফুর রহমান সোহেল, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান মোসাম্মাৎ শিউলি আক্তার ও তার স্বামী কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের স্টোর কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ২৫ মে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফি মো. নাজমুস্ সাদাৎ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মো. হাবিবুর রহমান উপজেলার চরলাপাংয়ের চিত্রী গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক জানান, মো. হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী শিউলি আক্তার একে অপরের সহযোগিতায় এক কোটি ৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ভোগদখলে রেখেছেন।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, হাবিবুর রহমান ১৯৮৮ সালে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে স্টোরকিপার পদে ও ২০১৫ সালে স্টোর অফিসার পদে পদোন্নতি লাভ করে বর্তমানে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন। হাবিবুর রহমানের নামে ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৬ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করার তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া তার আয়কর নথিতে প্রদর্শিত পারিবারিক ব্যয় ১৫ লাখ ৬ হাজার ৫০৮ টাকা। পারিবারিক ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৭৪ টাকা। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ২০১৭-১৮ কর বর্ষে আয়কর নথি খোলার সময় পূর্বের বছরগুলোতে চাকরির বেতন-ভাতা হতে সঞ্চয় এবং আয়কর নথি খোলার পরের বেতন-ভাতাসহ আয় পাওয়া যায় ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫০৮ টাকা। অনুসন্ধানকালে তার নামে অর্জিত সম্পদের চেয়ে আয়ের উৎস ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৬ টাকা কম পাওয়া যায়।
অপরদিকে তার স্ত্রী নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি আক্তারের আয়-ব্যয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯ সাল থেকে নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ২০১৪-১৫ কর বর্ষ হতে ২০২১-২২ কর বর্ষ পর্যন্ত খাত ভিত্তিক আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী দাখিল করে আসছেন। তিনি তার দুই ছেলের নিকট থেকে হেবা ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত স্থাবর সম্পদ ব্যতীত তার নামে এক কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৪৯ লাখ ৩২হাজার ৫১৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি নিজের নামে এক কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩৩ টাকা। পারিবারিক ব্যয়সহ তার সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৭ টাকা। এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ২০১৪-১৫ কর বর্ষে আয়কর নথি খোলার পূর্বের বছরগুলোতে বিভিন্ন আয় এবং আয়কর নথি খোলার পরের ব্যবসা, বাড়িভাড়া ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রাপ্ত ভাতাসহ তার এক কোটি ১২ লাখ ১১ হাজার ৩৪৯ টাকার আয়ের উৎস পাওয়া যায়। তার নামে অর্জিত সম্পদের চেয়ে ৭৯ লাখ ২৫ হাজার ৯৮ টাকার আয়ের উৎস কম পাওয়া যায়। অনুসন্ধানকালে মো. হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রীর এক কোটি ৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।