চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ, গুজব, অপপ্রচার ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নারী উন্নয়ন কেন্দ্রে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতামূলক কাজটি করে যাচ্ছে। জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসললামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক ভিকারুন নেছা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাবেয়া সুলতানা ইভা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদস সদস্য ক্যাপ্টেন(অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনকল্যাণ ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের ভালোবাসা নিয়ে দেশ ও দশের কল্যাণ সাধন করা। আওয়ামী লীগ রাজপথে জন অধিকার আধায়ের সংগ্রামী একটি রাজনৈতিক দল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে অদ্যাবধি দেশ ও দলের অধিকার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তারই বাস্তব প্রমাণ আজকেই সুজলা-সুফলা এই সোনার বাংলা।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরি করতে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে নিয়ে যেতে তার কোনো বিকল্প নেই। সামনের নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান একেএম শহিদুল হক বাবুল, পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবিএম মাহবুবুর রহমান উজ্জল, দরিকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ শফিকুল ইসলাম স্বপন, সোনারামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমূদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা শ্রমিকলীগ আহ্বায়ক সৈয়দ আ. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
এছাড়াও তেজখালী, দরিয়াদৌলত, সোনারামপুর ইউনিয়নে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতি বার্তা পৌঁছে দিতে পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
হবিগঞ্জের বাহুবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে শহিদ মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তির হত্যার পেছনে রয়েছে রাস্তা নিয়ে পূর্ব বিরোধ। রোববার (১১ ডিসেম্বর) নিহতের ভাই মাসুক মিয়া ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে বাহুবল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে তিনি রাস্তা নিয়ে পারিবারিকভাবে পূর্ব বিরোধের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামের মৃত দেওয়ান আলীর ছেলে শহিদ মিয়ার বাড়ির সীমানা নিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত লোকজনের পূর্ব বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে বিবাদীরা বিভিন্ন সময় বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে হয়রানিসহ নানা রকমের হুমকি দিয়ে আসছিল। গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুটবল বিশ্বকাপের ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার খেলা নিয়ে নিহত শহিদ মিয়ার ছেলে রোকন মিয়ার সঙ্গে রুবেল মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে দিলেও আসামিরা হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরদিন শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহিদ মিয়া বাড়ির পার্শ্ববর্তী কচুবিল থেকে ধানের খড় মাথায় নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে একা পেয়ে কয়েকজন তার ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে হামলাকারীদের আঘাতে গুরুতর আহত হন শহিদ মিয়া। পরে তাকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দু’পক্ষের মধ্যে রাস্তা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। এর সঙ্গে খেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির বিষয়টি যুক্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহতের ভাই মাসুক মিয়া ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে বাহুবল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামিও করা হয়।
ওসি রকিবুল ইসলাম খান বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে আপাতত কোনও আসামির নাম বলা যাবে না। কারণ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আকাশে মেঘ দেখলেই আঁতকে উঠছে শিশু শিক্ষার্থীরা। এই বুঝি ঝড় এলো, নামল বৃষ্টি। কালবৈশাখীতে উড়ে গেছে বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনের ঘরের চালা। বিকল্প নেই বলে ভাঙা ঘরেই চলছে পাঠদান।
শনিবার রাতে কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনের ঘরের চালা উড়ে গেছে। চালাবিহীন ঘরে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। রোদ ও বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করে ক্লাস করছে তারা। প্রখর রোদে ক্লাস বন্ধ, বৃষ্টি এলে তো কথাই নেই।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনের ঘরের চালা উড়ে সামনেই পড়ে রয়েছে। অফিস কক্ষের সব মালপত্র লন্ডভন্ড। বিধ্বস্ত টিনের ঘরেই চলছে পাঠদান। স্কুল ভবন বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেকটাই কম শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। বিদ্যালয়ে একমাত্র শৌচাগারটিও বিধ্বস্ত। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পাশের বাড়িতে যেতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হান মোল্লা বলেন, ‘স্কুলে আসলে ভয়ে থাকি কখন আবার ঝড় আসে। রোদের মধ্যেই আমরা ক্লাস করছি, বৃষ্টি আসলে আমাদের ছুটি। স্কুল ভবন ভেঙে যাওয়ায় অনেকে স্কুলে আসছে না।’
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিয়া সোমাইয়া বলেন, রোদের মধ্যে ক্লাস করতে অনেক কষ্ট হয়। আবার ভয়ে থাকতে হয় কখন আবার ঝড়-বৃষ্টি আসে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক রায়হানা ইয়াসমিন বলেন, ‘শনিবারের ঝড়ে আমাদের একমাত্র স্কুল ভবনটির চালা বিধ্বস্ত হয়েছে। আমাদের অন্য কোনো ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে রোদের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছি। বৃষ্টি হলে ছুটি হয়ে যাচ্ছে স্কুল।’
প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন জানান, কালবৈশাখীতে স্কুলঘরের চালা উড়ে গেছে। বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। বিশেষ বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলে মেরামত করা হবে। এখন বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চালাবিহীন স্কুলঘরে পাঠদান করাতে হচ্ছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘স্কুল ভবনের চালা বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টা শুনেছি। বিষয়টি ডিপিওকে জানানো হয়েছে। বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে ভবনটি সংস্কার করা হবে। আমরা বলেছি, প্রধান শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের বিকল্প কোনো জায়গায় পাঠদান করাতে।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, বিষয়টি তাঁকে কেউ জানায়নি। তবে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেল নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শকসহ (তদন্ত) তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রুবেলের মা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, এএসআই আল আমিন মানিক ও উপজেলার মধ্যপাড়ার রবি উল্লাহকে। ভুক্তভোগী রুবেল বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের লিল মিয়ার ছেলে।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, মামলার তিন নম্বর আসামি রবি উল্লাহর সঙ্গে রুবেলের পরিবারের লোকজনের আগে থেকে বিরোধ ছিল। রবি উল্লাহর বিরুদ্ধে তারা আদালতে মামলাও করেছেন, যা চলমান রয়েছে। ১৪ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে তারই প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কোনো কারণ ছাড়াই এক নম্বর আসামি এএসআই আল আমিন অপর ৪ পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বাড়ি থেকে রুবেলকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি, লাথিসহ লাঠি দিয়ে মারধর করে তারা। থানায় নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে ও এএসআই আল আমিন আবারও তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এতে রুবেলের পুরো শরীর মারাত্মক জখম হয়। থানায় নির্যাতনের বিষয়ে রুবেলের মা আমেনা বেগম সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে ১৬ মার্চ দুপুর ২টায় রুবেলকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
রুবেলের মা আমেনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ১৪ মার্চ বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় অথচ ১৬ মার্চ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রেখে আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান বলেন, বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের ধারায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আদেশ দেওয়ার জন্য রেখেছেন। ২০ মার্চ সোমবার আদেশ দিতে পারেন। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, শুনেছি আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে আমাদের পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। এএসআই আল আমিন মানিক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরকীয়ার জেরে বাচ্চু মিয়া হত্যা মামলায় ভায়রা ভাইকে মৃত্যুদণ্ড ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা দায়রা জজ শারমিন নিগার এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাড়াইলচর গ্রামের তুজু মিয়া মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগমকে। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়। রিনা বেগমকে ফের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বড়াইলচর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে পেঁয়াজ, রসুন ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার লাশ খল্লা গ্রামের কলাবাগানে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বাচ্চু মিয়ার ভাই আলমগীর মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার তদন্ত করে।
তদন্ত শেষে আদালতে দায়ের করা অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) উল্লেখ করা হয়, রফিকুল ইসলাম এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বাচ্চু মিয়াকে একটি মোটরসাইকেলে করে নির্জনস্থানে নিয়ে প্রথমে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাচ্চু মিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। মূলত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগমের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। রফিকুল ইসলাম রীনা বেগমের খালাতো বোনের জামাই।
পরকীয়া চলা অবস্থায় রিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রফিকুল। তখন রিনা জানান বাচ্চুকে খুন করতে পারলে তাকে বিয়ে করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রফিকুল এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় এবং ঘটনার পর অন্যদের মতো বাচ্চু মিয়াকে খুঁজতে থাকে। এলাকার লোকজন সন্দেহবশত ওই দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।