চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলো নালার কালভার্টের নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক।
২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কন্যাশিশুটি মারা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিন্ত করেছেন হাসপাতালের এনআইসিইউর ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স হালিমা বেগম।
তিনি জানান, নবজাতকটির মুখমণ্ডল, হাত ও পা পোকামাকড় ক্ষতবিক্ষত করায় শারীরিকভাবে শিশুটি অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তার চিকিৎসা চলছিল। সন্ধ্যার দিকে শিশুটি মারা যায়। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে জেলা শহরের মেড্ডা পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় একটি কালভার্টের নিচে স্থানীয় পাহারাদাররা শিশুর কান্না শুনতে পান। তারা একটি নালার কালভার্টের নিচে পলিথিনে মোড়ানো একটি নবজাতক দেখেন। নালায় ফেলে দেওয়ায় নবজাতকের মুখের একাংশ কামডে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে পোকামাকড়। এ অবস্থায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। নবজাতকটি উদ্ধারের পর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটপাত দখল করে ফুল বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে সেখান থেকে ফুল বিক্রেতাদের সরিয়ে দেওয়া হয় এবং জরিমানা করা হয়।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে শহরের জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা।
দন্ডপ্রাপ্ত ফুল বিক্রেতারা হলেন- জেলা শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা উত্তম কর্মকার (৪০) ও মধ্যপাড়ার বাসিন্দা রাজু মালাকার (২৫)। তাদের প্রত্যেককে সাতদিন করে কারাদন্ডসহ এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো তিনদিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের হাসপাতাল সড়কের জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ফুল বিক্রি করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পথচারীরা ভোগান্তি পোহাতে হতো। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত দলখমুক্ত করতে ফুল বিক্রেতাদের নির্দেশ দেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত তারা সেখান থেকে কোনো কিছু সরিয়ে নেননি। ফলে বেলা ২টার দিকে সেখানে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা। এসময় ফুল বিক্রেতা উত্তম কর্মকার ও রাজু মালাকারকে সাতদিনের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে অন্য ফুল বিক্রেতারা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে ফুটপাত থেকে ফুল বিক্রেতাদের সব সরঞ্জাম ও ফুল গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা জানান, ফুটপাতটি দীর্ঘদিন ধরে ফুল বিক্রেতাদের দখলে ছিল। তাই ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় দুই ফুল বিক্রেতাকে কারাদন্ডসহ এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট:
দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, ইউনিভারসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন পাঠকনন্দিত পাক্ষিক মত ও পথ পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদ এর পক্ষে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনিভারসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হলরুমে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি দৈনিক সমতটবার্তার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক মো. মনজুরুল আলম। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক তিতাসকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক সৈয়দ মো. মিজানুর রেজা, দৈনিক ফ্রনটিয়ার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক, দৈনিক হালচালের সাংবাদিক সৈয়দ মো. আকরাম প্রমুখ। এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, অধ্যাপক এস আর এম ওসমান গনি সজীব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এসময় মনজুরুল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক ক্ষেত্রে একজন ফাহিমা খাতুন প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চারদিক বিকশিত করছেন।
তাঁর প্রজ্ঞা ও মেধার আলোয় আমরা নতুন নতুন পথ দেখছি। তিনি তিতাস জনপদের অন্যতম আলোকবর্তিকা। মনজুরুল আলম বলেন, ফাহিমা খাতুন তাঁর মননশীলতা দিয়ে আমাদের শিক্ষা, শিল্প সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমান্তরালভাবে। তাঁর মতো একজন মানুষকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদে যুক্ত করতে পেরে আমরা নিজেরা গর্বিত আনন্দিত।
এসময় বক্তারা বলেন, মানবিক মমতাময়ী হয়ে তিনি আমাদের পাশে আছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার জন্য তিনি ছায়া হয়ে আমাদের পাশে আছেন। বক্তারা বলেন, মত ও পথের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি পত্রিকায় যেখানে গুণী লেখকদের লেখা ছাপা হয়, সেই পত্রিকার সম্পাদক হওয়ায় আমরা জেলা সংবাদপত্র পরিষদ নিজেরাই ধন্য হয়েছি।
প্রফেসর ফাহিমা খাতুন তাঁর অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমি মনে প্রাণে একজন শিক্ষক, এখানেই আমি আনন্দ পাই। তিনি বলেন, আমি আদ্যোপান্ত একজন শিক্ষক। মত ও পথ হচ্ছে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির ব্রেইন চাইল্ড। আমি এই পত্রিকার সম্পাদক হতে পেরেছি, এটা আমার জন্য গর্বের আনন্দের। তিনি বলেন, আমি যখন যে কাজটা করি সিরিয়াসলি করি। মত ও পথের যে দায়িত্বটা আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেই দায়িত্বটাও আমি সেভাবেই করার চেষ্টা করবো। তিনি উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আছেন, আমাদের পাশে থাকবেন, আপনারা পাশে থাকলে আমি এগিয়ে যেতে পারবো। এসময় তিনি আরও বলেন, সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, প্রজাবন্ধু সম্পাদক আবুল হাসনাত লিটন, সাংবাদিক আবুল হাসনাত রাফি, আশিকুর রহমান মিঠু, রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচনী প্রচারণায় আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। গতকাল ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার এজাহার জমা দেওয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল জব্বার মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, ফিরোজুর রহমান গত ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সুহিলপুরে এক নির্বাচনী সভায় র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছিলেন। ওই বক্তব্যের কারণে ফিরোজুর রহমানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে পর পর তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সেই নোটিশ আমলে নেননি। অতঃপর আদালতে শতকোটি টাকার মানহানির মামলা করা করেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। আগামী রবিবার আদালত এ মামলায় শুনানি হবে।
এ ব্যাপারে ফিরোজুর রহমান বলেন, আমি নির্বাচনী একটি সভায় বলেছিলাম- তিনি যে আমার মদের ব্যাবসা নিয়ে কথা বলেন, আমি তো উনার ইউনিভার্সিটিতে ৫ লাখ টাকা ডোনেট করেছিলাম। এটা বলাতে উনার মানহানি হয়েছে নাকি। তবে যা সত্য তাই তো বললাম। মামলা করার আগে উনি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন কিন্তু নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে সেদিকে মনোনিবেশ করতে পারিনি। সেটি লক্ষ্য করলে হয়তো মামলা করতেন না। যেহেতু মামলা করেছেন আইনিভাবে আমি জবাব দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক বলেছেন, সরকারি অফিসের একজন পিয়ন যখন অবসরে যান তখন তাকে ফুলের তোড়া ও হাতে একটি চেক দিয়ে বিদায় করা হয়। তিনি হাসিখুশিভাবে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু একজন সাংবাদিকের অবসরের সময় ফুলের তোড়াও অনেক সময় দেওয়া হয় না। চোখের জলে বাড়ি ফিরতে হয়। আমরা চাই ষাটোর্ধ্ব সাংবাদিকদের জন্য পেনশন চালু করা হোক।
আজ ৬ মার্চ বুধবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দশম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা, নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ, টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য অভিন্ন বেতন কাঠামো ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুক। এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান প্রমুখ।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ‘সাংবাদিকরা মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেন। অথচ তারাই অবহেলিত। তারা যে বেতন পান সেটা একদিনের বাজার খরচের সমান। এ পেশায় ঝুঁকিও অনেক বেশি। সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যে পেশায় জীবন ও অর্থের নিরাপত্তা নেই।’
এসময় বক্তারা বলেন, ‘সঠিক বেতন-ভাতা দেওয়া, আবাসন নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলতে থাকবে। মাঠ পর্যায়ে সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয়ভাবে সমাবেশ করা হবে।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘ইতিহাস বলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না। তৃণমূল পর্যায় থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে আমরাও দাবির বিষয়ে সফলতা পাবো।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউ কে’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান অ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন ইকো। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য। দু’বছর মেয়াদী এই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ চৌধুরী। গত ১২ নভেম্বর লন্ডনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যতম এই সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।
ইকো ব্রাহ্মণবাডিয়ার বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন-এর পুত্র। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্টের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পূর্ব লন্ডনের ক্রিস্টাল ব্যাংকুয়েটিং হলে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত সংগঠনের ষষ্ঠ এ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। বিদায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ডাকসুর সাবেক সদস্য দেওয়ান গৌস সুলতান এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, এমদাদ তালুকদার এম বি ই, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউ কের সভাপতি এ কে এম ইয়াহিয়া এবং বাংলাদেশ টিচার্স এসোসিয়েশন ইউ কের সভাপতি আবু হোসেন, প্রশান্ত পুরকায়স্থ, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান, মেহেরুন আহমেদ মালা, মুস্তাফিজুর রহমান, ফয়জুল হক রিপন, ড. অজিত কুমার ঘোষ, কাজী কল্পনা, ব্যারিষ্টার আবুল কালাম, মতিন চৌধুরী প্রমুখ।
৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হচ্ছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রশান্ত পুরকায়স্থ বিইএম, সহ-সভাপতি সহুল আহমেদ মকু, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান ও সিরাজুল বাসিত চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক সলিসিটার সৈয়দ আবু আকবর আহমেদ ইকবাল, ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও ব্যারিস্টার মাহারুন আহম্মেদ মালা, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোহাম্মাদ কামরুল হাসান, ব্যারিস্টার কামরুল হাসান ও বেলাল রশীদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ ফাইজুল হক রিপন ও খোকন কান্তি ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান, রীপা সুলতানা রাকীব সাংস্কৃতিক সম্পাদক, খালিদ ইয়াহইয়া প্রেস অ্যান্ড পাবলিসিটি সম্পাদক ও এ্যারিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যকরি কমিটির সদস্যরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, ইসমাইল হোসেন, মাহফুজা রহমান, সৈয়দ সাইদুর রহমান ফারুক, সৈয়দ এনামুল ইসলাম, মির্জা আসাব বেগ, ফখরুল মোহাম্মদ ইসলাম, মোহাম্মদ রফিক আহমেদ, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আবুল কালাম, শারমিন চৌধুরী, সৈয়দ হামিদুল হক, মিসেস কল্পনা কাজী ও সৈয়দ ফারহানা সুবর্ণা। সভায় সংগঠনের জ্যেষ্ঠতম সদস্য ‘একুশের গান’ খ্যাত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও আরো তিনজন অ্যালামনাইর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহন এবং পরলোকগত সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য মাওলানা মোবারক আলী।
এছাড়া সভায় ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনবাসীদের উপর নৃশংস আক্রমনের প্রতিবাদে ও অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে একটি বিশেষ প্রস্তাব পাশ এবং এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।
সভায় ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার শিকার অগণিত অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে তহবিল সংগ্রহ করা হয় এবং র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে সংগৃহিত সমুদয় অর্থ গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের ত্রাণকাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।