চলারপথে রিপোর্ট :
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার সরাইলে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহিরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম।
আলোচনা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে দলীয় আনুগত্য মেনে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাস্টার। এর আগে তিনি জনতার চাপে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন বলে জানান।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার দুপুরে সরাইল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফছির এর সঞ্চালনায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাস্টার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন -২০২৪ এ সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আমি মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করি। তাই বিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৮মে তারিখে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি এবং আমার জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও দলের বৃহত্তর স্বার্থে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করছি।
সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল হক এর নিকট লিখিত আবেদন জমাদানের মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাওলানা মাহমুদুল হাসান রাজধানীতে গুলিতে নিহত হন। হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট বাড্ডায় নিহত হন তিনি। তার মৃত্যুর ৫২ দিন পর উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে এই মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে। সম্প্রতি নিহতের গ্রামের বাড়িতে সরাইল থানা থেকে পুলিশি তদন্তের জন্যে কাগজ গেলে এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিহত ব্যক্তির নামে মামলা হওয়ায় সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নিহত মাহমুদুল হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করতেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া চাঁদপুর বাজার মসজিদের খতিব ছিলেন তিনি।
নিহত মাহমুদুল হাসানের চাচা সাইদুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট বিকেলে বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় আমার ভাতিজা মাহমুদুল হাসান। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাকে কয়েকদিন আগে ফোন করে জানায়, আমার ভাতিজা মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা হয়েছে। তা শুনে আমি হতভম্ব! মৃত ব্যক্তির নামে এতোদিন পরে মামলা কীভাবে সম্ভব হয় !
তিনি আরো বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় মাওলানা মামুনুল হক এবং ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়দের সাথে কথা বলেছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি কঠিন ভাবে দেখবেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগে সরাইল থানা থেকে ফোন দিয়ে মাহমুদুল হাসানের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। কারণ জিজ্ঞেস করায় তারা জানালেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুনে আমি অবাক হলাম। কারণ ঢাকায় নিহত হওয়ার পর তার মরদেহ আমাদের গ্রামে দাফন করা হয়েছে। এখন সে নাকি মামলার আসামি! পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার জানালেন, তার মৃত্যু সনদ দিতে। আমি বিষয়টি তার চাচাকে জানাই।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়ে বলেন, রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে একটি অনুসন্ধান স্লিপ এসেছে। যেহেতু অভিযুক্ত মৃত, সেই অনুযায়ী আমরা প্রতিবেদন সেখানে পাঠিয়ে দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল থেকে প্রকাশিত সরকার নিবন্ধিত সাপ্তাহিক পরগণা পত্রিকার বন্ধু ফোরামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি শুক্রবার ক্ষুধার্তদের মাঝে এক বেলা খাবার বিতরণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে উক্ত দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
পরগণা পত্রিকার সম্পাদক ও সরাইল প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়।
এর আগে সাংবাদিক সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি পরগণা বন্ধু ফোরামের এই মানবিক কার্যক্রমে যারা অর্থনৈতিকভাবে মানবিক এ কাজে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন সকলের নাম ঘোষনা করেন এবং এ কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে এইজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পরগণা পত্রিকার সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ ইউসুফ এর এ ধরনের মানবিক কাজের ভূঁয়শী প্রশংসা করেন এবং এ কাজে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদের খতিবসহ সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খান, সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুর রাশেদ, সরাইল বিকাল বাজার কমিটির সভাপতি মাওলানা কুতুব উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, সরাইল পরগণা বন্ধু ফোরামের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিল শাপলা জলমহাল ইজারা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার জেলেরা। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। নাসিরনগরের জেলেরা বলছেন, বংশ পরম্পরায় ওই বিলে মাছ ধরে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করছেন। কয়েক দশক ধরে সরকারের কাছ থেকে ইজারাও নেন। সম্প্রতি এক রাজনৈতিক নেতার তদবিরে সরাইলের জেলেরা বিলটি ইজারা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা নাসিরনগরের জেলেদের মাছ ধরতে বাধা ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। অপরদিকে সরাইলের জেলেদের ভাষ্য, তাঁরা মিলেমিশে বিলে মাছ ধরতে চান।
৩৯৬ দশমিক ৬৫ একরের বিল শাপলা জলমহালটির অবস্থান নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রামের পূর্ব পাশে। কাছেই তিতাস নদী। জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতিতে নিবন্ধিত জেলে ৫৩৮ জন। এ ছাড়াও অনিবন্ধিত আরও প্রায় ৭০০ জেলে এখানে মাছ ধরেন। সব মিলিয়ে ১২০০ জেলে পরিবারের সদস্য প্রায় ১০ হাজার। তাঁরা সবাই বিলের ওপর নির্ভরশীল। বিলের দক্ষিণে সরাইল উপজেলার শাহাজাদাপুর গ্রাম। শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নিবন্ধিত সদস্য ৪৯।
জেঠাগ্রামের প্রবীণ জেলে মিলন দাস মঙ্গলবার বলেন, ‘আমার বাপের জন্ম এই বিলের পাড়ে। আমার জন্মও। ছেলেমেয়েও জন্ম নিছে এ বিলের পাড়েই। আমরার আগের পুরুষ বিলের পাড় থাইক্যা মাছ ধরত।’ নিজেদের কোনো জমিজমা না থাকায় বিলের মাছ আর পরের জমিতে শ্রম বিক্রি করেই জীবন পার করছেন মিলন। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বিল না পাই, মাছ ধরতাম না পারি, তইলে বাল-বাচ্চা (ছেলেমেয়ে) লইয়া না খাইয়া মরণ লাগব।’
তাঁর মতো এমন হাজারো জেলের আশঙ্কা–এবার না বিলের ইজারা সরাইলের শাহজাদাপুরের জেলেরা নিয়ে যান! এর কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি জলমহালটি ছয় বছরের (১৪৩০-১৪৩৫ বঙ্গাব্দ) উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ জন্য আবেদন করে শাহাজাদাপুর গ্রামের তিতাস মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে–এমন আশঙ্কায় জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কোনো সুপারিশ করেনি। তাই তিতাস সমিতির আবেদন বাতিলে সিদ্ধান্ত হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বরের সই করা চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়। পরে জলমহালটি তিন বছর মেয়াদে নতুন করে ইজারা দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন। এতে আগ্রহী হয়ে তদবির শুরু করে শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।
নাসিরনগরের জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির নেতারা জানান, ১৯৭৭ সালে সমিতি গঠনের পর থেকে সরকার নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে তাঁরাই বিলটি ইজারা নিয়ে আসছেন। সম্প্রতি শাহাজাদাপুরের জেলেরা তা ইজারা নিতে চাইছেন। নাসিরনগর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ এর ৪(চ) অনুযায়ী স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবী সংগঠন, নিকটবর্তী বা তীরবর্তী মৎস্যজীবীদের জলমহাল বন্দোবস্ত প্রদান করতে হবে। এ হিসেবে জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির এ অধিকার বেশি।
জেঠাগ্রামের জেলে হিরামন দাস বলেন, ‘বিলে মাছ ধরনের লাইগ্যা নতুন জাল, নৌকা কিনা হয়ছে এনজিও থেইক্যা (ঋণ নিয়ে)। এই গেরামের কয়েক হাজার মানুষ কোটি টাকা ঋণ নিছে।’ এভাবে ঋণ নিয়ে মাছ ধরে তা শোধ করেন জানিয়ে হিরামন বলেন, ‘আমরার এলাকার বিল যদি সরাইলের মানুষরে দিয়া দেয় তাইলে ঋণ শোধ করতে বসতঘরটাও বেইচ্যা দিয়ন লাগব।’
জেলে নয়ন দাসের ভাষ্য, ‘আমরার লোকজন বিলে গেলেই সরাইলের লোকজন মাইরধর করে। এহন হুনতাছি সরাইলের লোকেরা নাকি বিল লইয়া যাইব। এই বিলের লগে আমরার রক্ত মিশ্যা আছে। জান থাকতে বিল কেউরে নিতে দিমু না।’
জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, ইজারা বিষয়ে শুনানির জন্য গত ৭ মে জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়েছে। সরাইলের জেলেদের সঙ্গে মিলেমিশে মাছ ধরারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের অভিযোগ, জলমহালের ইজারা সরাইলের জেলেদের পাইয়ে দিতে তদবির করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।
সরাইলের শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাস বলেন, ‘কাগজেপত্রে বিলের মৌজা নাসিরনগরের। মিলেমিশেই বিলের মাছ ধরতে চাই। আমরাও জেলে পরিবার। কিন্তু ওই এলাকার জেলেরা তাতে রাজি হচ্ছেন না।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কারও পক্ষে কথা বলিনি। বিলটি নাসিরনগরের, এটা সবাই জানে। সরাইল ও নাসিরনগরের প্রকৃত জেলেরা যেন মিলেমিশে মাছ ধরতে পারে–সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’ বিভিন্ন সময়ের কাগজপত্র ঘেঁটে বিলটি দীর্ঘদিন ধরে নাসিরনগরের জেলেরাই ইজারা নিয়ে মাছ ধরছেন বলে জানান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার। ইউএনও ফখরুল ইসলাম বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী নিকটবর্তী ও তীরবর্তী হিসেবে নাসিরনগর উপজেলার জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামই আসে।
বিল ইজারা দিতে রাজনৈতিক চাপের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী যাঁরাই উপযুক্ত, তাঁরাই এ বিল (ইজারা) পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার অরুয়াইল বাজার এলাকায় তিতাস নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন সেট, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নৌকার যাত্রী ও ভুক্তভোগী মোকাদ্দেস এবং হাবিব মিয়া জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের কাশেম মিয়ার যাত্রীবাহী ট্রলারটি ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার অরুয়াইল বাজার নৌ-ঘাট থেকে বারপাইকা গ্রামে যাচ্ছিল। ট্রলারটি তিতাস নদী দিয়ে উপজেলার পাকশিমুল ও বারপাইকা এলাকায় আসার পর আরেকটি ট্রলারে করে ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালায়। যাত্রীবাহী ট্রলারের কয়েকজনকে মারধরও করে ডাকাতেরা। আহতদের মধ্যে কয়েকজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ট্রলারের মালিক মো. কাশেম মিয়া বলেন, ট্রলারটি অরুয়াইল স্পিডবোট ঘাট থেকে ছেড়ে পাকশিমুল ও বারপাইকা গ্রামের মাঝামাঝি যাওয়ার পর নৌকায় করে একদল ডাকাত আমাদের নৌকাটি আক্রমণ করে যাত্রীদের মারধর করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল নিয়ে যায়। যারা চিৎকার দিতে চাইছে তাদেরকে বেশী করে মারধর করে করেছে।
সরাইল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ও অরুয়াইল বিটের বিট কর্মকর্তা নুরুল করিম বলেন, আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের সাথে কথা বলেছেন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ডাকাতরা ডাকাতি করে সব নিয়ে যায় তাহলে আমরা যাবো কোথায়? অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না।