চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থেকে নিখোঁজ গৃহবধু খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) ঢাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে।
ঢাকা কাফরুল থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিজয়নগর থানা পুলিশ ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে কাফরুলের একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজয়নগর থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি স্বামীর বাড়ি বিজয়নগরের কাঞ্চনপুর থেকে ময়না নিখোজ হয় বলে ময়নার মা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর পুলিশ ময়নার শশুর শাশুড়ী ও ননদকে আটক করে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ খাজিদা আক্তার ময়নার বাবা বাড়ি একই উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর গ্রামে। সে ছতুরপুর গ্রামের সেলিম মিয়া বড় মেয়ে। প্রায় ৭ বছর পূর্বে একই উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মো: রমজান মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া সৌদি প্রবাসীর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। স্বামী প্রবাসে থাকলেও ওই গৃহবধূর তাবাচ্ছুব (৫) বছরের একটি কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতো স্বামীর বাড়িতে। গত ১৯ জানুয়ারি বিকাল ৩ টায় খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ।
অজ্ঞাত স্থান ময়না স্বামীর কাছে একটি বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধারের আবেদন করে। গৃহবধূ জানায়, আমারে কিভাবে ভুলে থাকতেছো, আমাকে কি বাঁচাইবানা, আমি কোথায় আছি বলতে পারছি না। চারপাশে পাহাড় আর প্রচন্ড ঠান্ডা। আম্মা (শাশুড়ি) এবং আপা(স্বামীর ছোট বোন) জানে আমি কোথায় আছি। আমার মোবাইল পপি আপা কোথায় জানি রাখছে। তুমি পপি আপার সাথে কথা বল। এখানে অনেক ঠান্ডা। স্বামীর কাছে ইমুর মাধ্যমে খাদিজা আক্তার ময়নার পাঠানো ভয়েস বার্তায় পরে স্বামী রাসেল মিয়া প্রবাস থেকে এ ভয়েস বার্তা ময়নার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এরপরই ময়নার মা সুমি বেগম থানায় অভিযোগ করেন। তবে এটি অপহরণ নাকী স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া নিয়ে রহস্য রয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গাজী রবিউল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গৃহবধূ ময়নাকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে সুস্থ আছে। তাকে আদালতে নেয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলতে পারছি না।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে ১৯৯ বোতল ফেনসিডিলসহ বাবুল হোসেন (৪০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে। আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোরে অভিযানটি চালায় র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের দলটি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেল তল্লাশি চালিয়ে ১৯৯ বোতল ফেনসিডিল ও দুটি মোবাইল ফোনসেটসহ বাবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের স্কোয়াড কমান্ডার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী জানান, গ্রেফতার আসামি দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব থানায় মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার অবশেষে খোঁজ মিলেছে।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। খবর দেয়া হয় বিজয়নগর থানা পুলিশকে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, পুলিশ নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় থেকে উদ্ধার করেছে। বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে আনতে নারাগঞ্জের কাঁচপুরে গিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।
ওসি আরো বলেন, প্রীতি খন্দকারকে দুইজন নারী তাকে পান খাইয়েছিল এরপর তার কিছু মনে নেই বলে জানায়। তবে সে নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলে আসছিলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগীয় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় যায় প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানোর পর থেকে প্রীতির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় তিনি দাবী করেন প্রীতি খন্দকারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তার স্ত্রীকে গুম করেছে। এ বিষয়ে তিনি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করার পাশাপাশি থানায় একটি জিডি করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে নিখোঁজের একদিন পর আরাফাত খাঁন (৯) ও মোঃ সামির (৮) নামে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১ মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়ার একটি পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত আরাফাত সাটিরপাড়া গ্রামের এনাম খাঁনের ছেলে ও সামির উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিঙ্গা গ্রামের শিপন মিয়ার ছেলে। সামির তার নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো।
চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোঃ রেজুয়ান আহমেদ বলেন, রবিবার বিকেল থেকেই এই দুই শিশু নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সব জায়গায় তাদেরকে খোঁজাখুজি করে তাদের না পাওয়ায় রাতের বেলা এলাকায় মাইকিং করা হয়। এ ব্যাপারে সোমবার সকালে থানায় জিডি করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুকুরে তাদের লাশ ভেসে উঠে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পুকুরে ডুবে ওই শিশুরা মারা গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ মোটর সাইকেল চালককে বার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ চান্দুরা টু সিঙ্গারবিল রাস্তার মির্জাপুর মোড়ের দক্ষিণ পাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা টু সিঙ্গারবিল রাস্তার মির্জাপুর মোড়ের দক্ষিণ পাশে মঙ্গলবার বিকালে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সনদবিহীন মোটরযান চালানোয় চার অভিযুক্তকে জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ। অভিযুক্তদের পাঁচটি মামলায় মোট বার হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এসময় একটি ট্রাক ও আরো একটি মোটর সাইকেল আটক করা হয়। তারা কাগজপত্র নিয়ে আসবে বলে জানান।
এ ব্যাপারে ইউএনও এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সনদবিহীন মোটরযান চালনা করায় ৫ অভিযুক্তকে বার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারার আলোকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই জরিমানা করা হয়। এ ধরনের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে জমি সংক্রান্ত তুচ্ছ ঘটনায় শাহজাহান মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যুর হয়েছে। সে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের কেনা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার কেনা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার সাথে তার ভাতিজা মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে আউশ মিয়া, গিয়াস মিয়া ও সুজন মিয়ার সাথে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধ মেটাতে আজ ১ জুন বৃহষ্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে জমি মাপামাপি করার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহজাহান মিয়াকে তার ভাতিজারা মারধর করে। এ ঘটনায় শাহজাহান মিয়া বিষপান করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মাঝে ঝামেলা চলছিল। আজকে জমি মাপঝোক চলছিল এসময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শাহজাহান মিয়াকে তার ভাতিজারা লোকজনের সামনে মারধর করলে অভিমানে সে বিষ পান করে। পরে লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। তবে নিহতের স্ত্রীর দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে বিষ খাইয়ে তাকে মেরে ফেলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।