চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইলে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ।
২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি: প্রধান কার্যালয়ের ভিজিলান্স টিম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের একটি টিমের যৌথ অভিযানে ৪০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন করে। এসময় তারা ৮শত ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপ উত্তোলন, কিলোমিটার অধিক ১ইঞ্চি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক নিষ্ক্রিয় করে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রধান কার্যালয়ের ভিজিলেন্স টিমের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর বাদশা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম, ব্যবস্থাপক জসীম উদ্দীন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম অভিযানে অংশ নেন।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহও করে আসছে বাখরাবাদ।
বাখরাবাদের সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ের লক্ষ্যে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে বাখরাবাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের পাশাপাশি প্রধান কার্যালয়ের ভিজিল্যান্স টিম।
আভিযানিক টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল এলাকার প্রতিটি মহল্লার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করে সংযোগ অবৈধ হলে বিচ্ছিন্ন করছেন, বিল বকেয়া থাকলে আদায় করছেন, তাৎক্ষণিক বিল পরিশোধ না করে সময়ক্ষেপণ করলে সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে শহর, সদর উপজেলা, ও সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বাখরাবাদের আওতাধীন সবগুলো পাড়া-মহল্লা-গ্রাম পরিদর্শনের কাজ চলমান আছে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, রামরাইলে অভিযানে ৪০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৮শত ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপ উত্তোলন, কিলোমিটার অধিক ১ইঞ্চি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ চিহ্নিত করনে ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান পথিকৃৎ মহাকালের কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব ২০২৫ এর আজ ছিলো সমাপনী দিন। তিন দিনব্যাপী নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথমবারের মতো এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হককে সোনালী কাবিন পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ছিলো একটি পদক ও আর্থিক চেক।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সমাপনী দিনে, সকাল ১০টায় স্বরচিত কবিতা পাঠ, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল তিনটায় শুরু হয় আলোচনা সভা। সন্ধ্যা ৬টায় সোনালি কাবিন পদক প্রদান করা হয়। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবছর সোনালি কাবিন পদক গ্রহণ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি মহিবুর রহিম। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, কবি মোবারক হোসেন আকন্দ, কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, নবীনগরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক সরকার। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত।
বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক সোনালী কাবিন পদক গ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, আল মাহমুদের কবিতার ভাষা বেশ বিশ্বস্ত। তাঁর কবিতায় জীবন শুধু দুঃখময়ই নয়, জীবন যাপনযোগ্য এবং সৌন্দর্যমন্ডিত। তিনি হতাশাবাদীদের মতাদর্শ গ্রহণ করেননি। এখানেই তিনি স্বাতন্ত্র্য একটি সাহিত্য জগত তৈরী করেছেন। বাংলা সাহিত্য আজ আল মাহমুদকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অবশ্যই দিতে হবে। কারণ তাঁর লেখা ব্যতিক্রম।
তিনি বলেন, নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে একটা সময় আল মাহমুদ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, অথবা তাঁকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমি বলবো আল মাহমুদকে দূরে রাখার প্রবণতাই এজন্য দায়ী। তিনি বলেন, আমাদের উচিৎ তাকে কবি হিসেবে দেখা। আল মাহমুদ অনেক বড় মাপের একজন মানুষ ও কবি। এসময় তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আল মাহমুদের একটা জীবনী রচনা করার দায়িত্ব আজকের তরুণদের নিতে হবে। তাঁর কবিতা ও কবি জীবন নিয়ে লেখা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। আমরা যদি তাঁর একটা রচনাবলী প্রকাশ করি, তবেই আমরা বুঝতে পারবো তিনি কত বড় মাপের কবি ও মানুষ ছিলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের জাতি, রাষ্ট্র ও জনজীবনকে উন্নত করতে হবে। সন্ধ্যায় আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অংশ নেন, কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ, সাহিত্য একাডেমি, আবরণী, আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সাগর মিউজিক প্লাস এবং নৃত্য পরিবেশন করবেন জিয়া আমিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্কাউটস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৬০৯তম স্কাউটিং বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কোর্সের এবং সদর উপজেলা স্কাউটের ৩৮০টি ইউনিটের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির ৪ হাজার বৃক্ষরোপন কর্মসূচি আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয়েছে।
বেলা ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ স্কাউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা শাখার সভাপতি মোঃ শাহগীর আলম পৌর এলাকার ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত স্কাউটিং বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কোর্সের এবং বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে ও শিক্ষিকা শারমীন সুলতানার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, বাংলাদেশ স্কাউট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার কমিশনার ও প্রধান শিক্ষক সাহেদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য, জেলা স্কাউটের সম্পাদক অধ্যক্ষ নিয়াজ মোহাম্মদ কাজল, ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শামীম উদ্দিন প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাউটিং সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকতে হবে। স্কাউট যদি দাঙ্গা প্রতিরোধ বিষয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে তাহলে লজ্জায় হলেও তারা দাঙ্গা করবে না। কর্মপরিকল্পনা করে স্কাউটের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। মানুষকে সঠিকভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে, মানুষ পরিবর্তন হবে। তিনি আরো জানান, তিনি বলেন, এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে ৮জন মারা গেছেন। তালগাছ বজ্রপাত প্রতিরোধ করে। মানুষ তালগাছ কেটে ফেলেছে বলেই এর প্রতিদান মানুষকে প্রাণ দিয়ে দিতে হচ্ছে। এর আগে তিনি বিদ্যালয় চত্বরে বৃক্ষ রোপন করে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি মাসিক সভা আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি’র সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মীর মোঃ এমতাজুল হক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবার হোসাইন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ,কে এম কামরুজ্জামান মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জিপি অ্যাডঃ ওয়াসেক আলী, ডাঃ মোঃ মাহমুদ হাসান, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আঃ কাইয়ূম, জেল সুপার শহীদুল ইসলাম, এনটিভির স্টাফ রিপোটার শিহাব উদ্দিন বিপুর, এনজিও প্রতিনিধি এস.এম শাহীনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধিবৃন্দ।
এসময় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি ও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার বলেন, গরীব অসহায় ব্যক্তিদের মামলা ব্যয় বাংলাদেশ সরকার দেয় এ শ্লোগানটি সর্বমহলে পৌছে দিতে হবে।
দুলাল মিয়া :
১৬ জুলাই বিকালে ১ম সেমিফাইনাল আশুগঞ্জ উপজেলা একাদশ বনাম সরাইল উপজেলা একাদশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় সরাইল উপজেলা একাদশ ১-০ গোলে জয়লাভ করে। অন্যদিকে ১৭ জুলাই বিকালে ২য় সেমিফাইনাল ভৈরব উপজেলা একাদশ বনাম টেংকের পাড় ব্র্রাহ্মণবাড়িয়া একাদশের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় টেংকেরপাড় একাদশ ২-১ গোলে জয়লাভ করে।
হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে খেলা দুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভুইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদ কবির আখন্দ।
প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি হাজী মোঃ আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, মাঠ কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম পাভেল।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মোঃ খাদিম মিয়া, মোঃ আনোয়ার হোসেন জানু (শিক্ষক), মোঃ আব্দুস সালাম (শিক্ষক), মোঃ আঃ মতিন আক্কাছ, মোঃ মিজানুর রহমান (শিক্ষক), মোঃ ওসমান গণি, সহ-সভাপতি বশির আহমেদ, মোঃ ফারুক আহমেদ (শিক্ষক), মোঃ হারুন অর রশিদ, মোঃ এনামুল হক বকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, নাজির হোসেন, নুরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের গাজী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলাল সরকার, তোফায়েল সরকার, আক্তার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ার, সহ-অর্থ সম্পাদক মোঃ বোরহান উদ্দিন (প্রভাষক), ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ জামির হোসেন, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ ইউসুফ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ জাকির হোসেন, প্রচার সম্পাদক ও ধারাভাষ্যকার মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, কার্যকরী সদস্য মোঃ আবুল কালাম, এনামুল হক সেলিম, ব্যবসায়ী মোঃ শাকিল আহমেদ, প্রবাসী আব্দুল মন্নাফ, প্রবাসী মোঃ শাহ আলম, মাঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবু আলী, মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সফর আলী, জালাল মিয়া, আব্দুল হালিম, সার্ভেয়ার মোঃ শফিকুল ইসলাম।
আগামী ২ আগস্ট ২০২৫ বিকালে টেংকেরপাড় একাদশ বনাম সরাইল উপজেলা একাদশ এর মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত খেলায় প্রধান অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
মাঠে উপস্থিত থেকে ফাইনাল খেলা উপভোগ করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হল।
চলারপথে রিপোর্ট :
কয়েক মাস ধরে সরকারি জায়গাসহ ফসলি জমি কেটে ট্রাক্টরে করে মাটি নিয়ে কাঠবাড়িয়ার পুকুর ভরাট করেছে প্রভাবশালী এই চক্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসন প্রকল্প করে প্লট আকারে জায়গা বিক্রি করতে শত বছরের পুরোনো পুকুর ভরাট করছেন যুবলীগ নেতা। কয়েক মাস ধরে সরকারি জায়গাসহ ফসলি জমি কেটে ট্রাক্টরে করে মাটি নিয়ে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের গৌতমপাড়ার কাঠবাড়িয়ার পুকুর ভরাট করেছে প্রভাবশালী এই চক্র। পুকুরের প্রায় ৯০ শতাংশ ভরাট করে ফেললেও স্থানীয় প্রশাসন নীরব রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মাহিন খন্দকার শত বছরের পুরোনো ওই পুকুর ভরাট করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার সরকারি দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা পরোক্ষভাবে যুবলীগ নেতাকে মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি জায়গা থেকে বালু উত্তোলন এবং সরকারি কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় যুবলীগ নেতা মাহিনকে আসামি করে সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন তালশহর পূর্ব ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা পংকজ কুমার বর্ধন।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা এর শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।
তবে ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, ‘পুকুর ভরাট করার কোনো সুযোগ নেই। বিশেষ কোনো প্রয়োজনে পুকুর ভরাট করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। সেখানে আগেও একবার অভিযান চালানো হয়েছিল। নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য খোঁজ নেওয়ার সুযোগ হয়নি। আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পুকুর থেকে সম্পূর্ণ মাটি উত্তোলন করে নিলামে বিক্রি করা হবে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার ঘাটুরা গৌতমপাড়ার কাঠবাড়িয়া এলাকায় শত বছরের পুরোনো একটি পুকুর রয়েছে। একসময় পুকুরটির মালিক ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। পরে পুকুরটির মালিক হন শহরের পৈরতলা এলাকার জাহাঙ্গীর কবির। তিনি সম্পর্কে এরশাদ সরকারের সময়ের সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবিরের আপন ভাই। জাহাঙ্গীর কবির থেকে আবাসন প্রকল্প করে প্লট আকারে জায়গা বিক্রি করতে পুকুরটি কেনেন মাহিন খন্দকার ও স্থানীয় কাজী রানু মিয়া। তিন–চার মাস ধরে তাঁরা মাটি দিয়ে পুকুরটির ভরাটকাজ শুরু করেন। প্রথমে তাঁরা খননযন্ত্র দিয়ে পুকুর ভরাট করেন। পরে তাঁরা পুকুর থেকে প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে গৌতমপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনের পশ্চিম দিকের ফসলি জমি খননযন্ত্র দিয়ে কেটে মাটি উত্তোলন শুরু করেন। সেই মাটি ট্রাক্টরে ভরে ফসলি জমির ওপর দিয়ে নিয়ে পুকুরে ফেলে ভরাট করছেন। পাশাপাশি অষ্টগ্রাম মৌজার ১ নম্বর খতিয়ানের ৩৫ শতক সরকারি নাল জায়গা থেকে অবৈধভাবে খননযন্ত্রের সাহায্যে মাটি কেটে ভরাটের জন্য কাঠবাড়িয়ার পুকুরে ফেলেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে যুবলীগ নেতা মাহিনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা হয়।
সদর উপজেলার অষ্টগ্রাম মৌজার ১ নম্বর বিএস খতিয়ানের ‘ক’ তফসিলভুক্ত একটি ইজারা মামলার বিএস ৭৩৪৯ দাগে ১১ শতক, ৭৩৫০ দাগে ১২ শতক, ৭৩৫১ দাগে ১২ শতক মোট ৩৫ শতক ভূমি থেকে অবৈধভাবে খননযন্ত্রের মাধ্যমে মাটি কেটে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন মাহিন খন্দকার। তিনি সরকারি সম্পত্তি ব্যাপকভাবে আত্মসাৎ করেছেন। ১৫ জানুয়ারি সকাল ১০টায় বাধা দিলে মাহিন ও তাঁর লোকজন অকথ্য গালিগালাজ করেন। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন মাহিন।
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী, প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি। কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী, ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাসিন্দা বলেন, পুকুরটি মাহিন ও রানু মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন জাহাঙ্গীর। আবাসন প্রকল্পের জন্য তাঁরা পুকুরটি মাটি দিয়ে ভরাট করছেন। পরে ভরাটকৃত জায়গা প্লট আকারে বেশি দামে তাঁরা বিক্রি করবেন।
অভিযুক্ত সুহিলপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মাহিন বলেন, ‘আমি এর সঙ্গে জড়িত নই। এটি আমার পুকুর না।’ স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই আপনার নাম বলছেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুকুরটি আমার ছিল। এক বছর আগে বিক্রি করে দিয়েছি।’