চলারপথে রিপোর্ট :
সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মোহাম্মদ রিফাত (২৭) নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে শহরের মেড্ডা তিতাসপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুটি শহরের একটি ভাড়া বাসায় মা–বাবার সঙ্গে থাকত। তার বাবা রিকশাচালক ও মা গৃহকর্মীর কাজ করেন। আটক রিফাত জেলা শহরের বাসিন্দা। ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেন।
পুলিশ, হাসপাতাল ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে এলাকার একটি গণশিক্ষা কার্যক্রমে শিশুটিকে পাঠান মা। পড়া শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে শিশুটি। তখন মা অন্যের বাড়িতে কাজ করছিলেন, বাবাও বাড়ি ছিলেন না। শিশুটিকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে রিফাত ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর পরিবার। সন্ধ্যায় শিশুটি পেটব্যথায় চিৎকার শুরু করে। কারণ জানতে চাইলেও কিছুই বলছিল না। আজ সকালে শিশুটির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে মায়ের কাছে গতকালের ঘটনা খুলে বলে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী শিশু ও তার পরিবারের বক্তব্য শোনে। বিকেলে শহরের মেড্ডা তিতাসপাড়া এলাকা থেকে রিফাতকে আটক করা হয়।
হাসপাতালের কয়েকজন নার্স জানান, নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত রিফাত পুলিশের হেফাজতে থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তাঁর বাবার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ধরেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আইয়ুব আলী বলেন, বিকেলে অভিযুক্ত রিফাতকে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের পূর্ব পাশে মেড্ডা তিতাসপাড়া এলাকা থেকে আটক করে ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলামকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সাইদুল ইসলাম সুহিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি একই গ্রামের মৃত একরাম হোসেনের ছেলে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, সাইদুল ইসলাম গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দায়ের হওয়া বিষ্ফোরক মামলার আসামি। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমীর আয়োজনে তিনদিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনদিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী
বৈশাখী উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক উপাধ্যক্ষ এ.কে.এম শিবলীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদুস, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরি বাপ্পী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক জয়দুল হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৈশাখী উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মানিক রতন শর্মা।
তিন দিনব্যাপী বৈশাখি মেলায় বিভিন্ন ধরনের পন্য নিয়ে ১৫টি ষ্টল অংশ গ্রহন করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। মেলা আগামী ২ মে পর্যন্ত চলবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১০০ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৭ মার্চ রবিবার সকালে প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ড্রিম ফর ডিসঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে এ আয়োজনে প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মাঝে এ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। এ সময় তিনি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
ড্রিম ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মো. হেদায়েতুল আজিজ মুন্না বলেন, ‘এমন একটি দিনে জেলা প্রশাসন আমাদেরকে স্মরণ করায় আমরা খুবই খুশি। কৃতজ্ঞতা জানাই মন্ত্রী মহোদয়কেও। আশা করি সকলের সহযোগিতায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্নরা আরও এগিয়ে যাবে।’
এরপর মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আতিকুল ইসলাম নামে এক বিএনপি কর্মী গুমের অভিযোগে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ১০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এ মামলা হয়।
মামলাটি করেন ওই বিএনপি কর্মীর স্ত্রী নাছিমা ইসলাম।
অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুছা আনসারী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, চিনাইর গ্রামের হামদু মিয়া, শহরের কাজিপাড়ার রাজ্জাক মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া ও জসিম মিয়া, আতাউর রহমান ভূঁইয়া শাহীন, নবীনগরের নান্দুরার আবুল কাশেম, জিলানী ও শহরের মেড্ডা এলাকার জাকির মিয়া।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের শেষ দিকে কাজিপাড়ার সেলিম মিয়ার সঙ্গে আতিকুল ইসলামের জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে সেলিম সে সময়ের এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে আতিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আতিকুল ইসলামকে গুম করে প্রাণে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করেন তারা। ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর দুটি মাইক্রোবাস যোগে আতিককে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়। তুলে নেওয়ার সময় তারা বলেছিলেন- র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সাহেব আপনাকে সালাম দিয়েছেন। আপনাকে আমাদের সঙ্গে উনার বাড়ি যেতে হবে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়ার পর আর কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় তখন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে মোকতাদির চৌধুরীর হস্তক্ষেপে গ্রহণ করেনি। ১২ বছর যাবত আতিককে সন্ধান না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হয়।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত একমাসে ৩টি হত্যাসহ পাঁচটি মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কমপাউন্ড থেকে সরকারি ইনজেকশন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ ৩১ জুলাই সোমবার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে হাসপাতালের কম্পাউন্ড থেকে ১০৮ পিস সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালে উত্তর পাশের গেটের সামনে থেকে ১০৮ পিস সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার পুলিশ সাধারণ ডায়েরি করেছে।
এ বিষয়ে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ইনজেকশন উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।