অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন হজ মৌসুমে অনুমতি ছাড়া হজ পালন থেকে বিরত থাকার জন্য পর্যটক এবং বাসিন্দাদের সতর্কতা দিয়েছে সৌদি আরব। আর যারা এ আইন ভঙ্গ করবেন তাদের ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ১৫ লাখ টাকার সমান।
গতকাল শুক্রবার আমিরাত ভিত্তিক গণমাধ্যম গালফ নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন ও সুন্দরভাবে হজ মৌসুম শেষ করতে এমন সব কঠোর শাস্তির বিধান রেখেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। হাজিদের পরিবহন সেবা দানকারীদেরও সতর্ক করে দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
তারা বলেছে, যে বা যারা অনুমতিবিহীন ব্যক্তিদের মক্কায় পরিবহন করার সময় ধরা পড়বেন তাদেরকেও ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে। প্রবাসীদের বেলায় শাস্তি আরও কঠোর করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব প্রবাসী হজ মৌসুমের এই আইন ভঙ্গ করবেন, তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। কারাভোগের পর নিজ দেশে তাদের ফেরত পাঠানো হবে এবং পরবর্তী ১০ বছরে সৌদিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
এছাড়া শাস্তির আওতায় আসা ব্যক্তিদের পরিচয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। যাতে জনসাধারণ তাদের চিহ্নিত করে রাখতে পারে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর জুনের ১৪ তারিখে হজ শুরু হতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
সুদানে আটকে পড়া ব্যক্তিদের সরিয়ে আনতে যাওয়া তুরস্কের একটি উড়োজাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানী খার্তুমের কাছে ওয়াদি সেইদনা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার শিকার হওয়ার পরও সি-১৩০ মডেলের উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। সেটির জ্বালানিব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানবন্দরে তা মেরামতের কাজ চলছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে উড়োজাহাজটিতে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
উড়োজাহাজটিতে হামলার জন্য সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে এ দাবি নাকচ করে এক বিবৃতিতে আরএসএফ বলেছে, ‘মধ্যরাত থেকে আমরা যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছি, তা মেনে চলতে আমাদের বাহিনী কঠোরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর ওয়াদি সেইদনার আকাশসীমায় আমরা কোনো উড়োজাহাজকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছি, এমন খবর সত্য নয়।’
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে আরো তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় আরএসএফ। তবে এই যুদ্ধবিরতি তেমন একটা কার্যকর হয়নি। যুদ্ধবিরতির পরও গতকাল রাতভর খার্তুমে আরএসএফের নানা লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে সুদানের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো। এর আগের তিন দিনের যুদ্ধবিরতির সময় সুদান থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কাজে হাত লাগিয়েছে তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুদানের সামরিক বাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ১৫ এপ্রিল লড়াই শুরু হয়। এ সংঘাতের এক পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি। প্রায় দুই সপ্তাহের সংঘাতে দেশটিতে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার।
দুই পক্ষে সশস্ত্র এই লড়াই সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে খার্তুম ও আশপাশের এলাকাগুলোতে। লড়াই শুরুর আগে সেখানে কোটি মানুষের বসবাস ছিল। সংঘাতের মুখে অনেকেই সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। আর এখনো যাঁরা থেকে গেছেন, তাঁরা খাবার, পানি ও জ্বালানির চরম সংকটে রয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে চারদিন আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামী ১৬ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ব্যবসায়িক ছুটি ঘোষণা করায় এ সময় আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম বুধবার সকালে জানান, ১৬ জুন রবিবার থেকে ১৯ জুন বুধবার নাগাদ বন্দরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি দু’দেশের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের ইতোমধ্যে অবহিত করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে উত্তরের পাহাড়ি অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নতুন একটি দাবানল। এতে এরই মধ্যে প্রায় ২১ বর্গকিলোমিটার এলাকার গাছপালা ও ঝোপঝাড় পুড়ে গেছে। ২২ জানুয়ারি বুধবার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কাস্টেইক লেক এলাকায় এই দাবানলের কারণে হাজারও বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষ জরুরি আদেশ জারি করেছে।
দমকলকর্মীরা জানান, কাস্টেইক লেক এলাকায় শুরু হওয়া ‘বিশাল আগুন’ স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি তৈরি করেছে। ওই এলাকায় প্রায় ১৮ হাজার ৬০০ মানুষ বসবাস করেন। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুন সেখানে গাছপালা ও ঝোপঝাড় ধ্বংস করে দিচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ বিভাগের রবার্ট জেনসেন স্থানীয়দের দ্রুত এলাকা ত্যাগ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এর আগে পলিসেডস ও ইটন দাবানলে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ধরনের বিপর্যয় এই এলাকায় আমরা দেখতে চাই না। আপনাকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়ে থাকে, দয়া করে এখনই চলে যান।
সান্তা আনা নামক শুকনো ও শক্তিশালী বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমির পাশাপাশি পানিবাহী উড়োজাহাজ থেকেও কাজ করছেন।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে আবহাওয়াবিদদের মতে, এই সময়ের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ পরিস্থিতি, অর্থাৎ শক্তিশালী বাতাস ও কম আর্দ্রতার কারণে দাবানলের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।
লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলের ইটন ও পালিসেডস দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ইটন দাবানল ৯১ শতাংশ এবং পালিসেডস দাবানল প্রায় ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ঘরবাড়ি।
পরিস্থিতি দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য অভিষিক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেস সফর করবেন বলে জানা গেছে।
বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা আকুওয়েদার জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস অঙ্গরাজ্য। প্রথমে ২০ একর এলাকায় দাবানল দেখা দিলেও পরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ১২০০ একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণহানি এড়াতে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দাবানলের উৎপত্তি। ৮০-১০০ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাসের পাশাপাশি শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে মুহূর্তেই তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, চারপাশ ঘন ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। দাবানল ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ জিম ম্যাকডোনেল বলেছেন, রাতে আগুন আরোভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এ অবস্থায় রেসকিউ টিমকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সড়ক থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে নিয়ে ফাঁকা করে দিতে বলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৫৮ জন নিহত হয়েছেন ও ৮৪ জন আহত হয়েছেন। ২২ ডিসেম্বর ভোর থেকে সোমবার পর্যন্ত এসব হামলা ঘটে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ নিয়ে ১৪ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৩১৭ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আরো ১ লাখ ৭ হাজার ৭১৩ জন আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে অনেকে চাপা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। তাছাড়া, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, যা উপত্যকাটির মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ।
গত মাসে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে এরই মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছে দখলদার দেশ ইসরায়েল। নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, রয়টার্স