অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল রোজার মাসে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ অফিসকক্ষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, নির্বাচন কমিশন চার ধাপে উপজেলা নির্বাচনের তালিকা প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের তফসিল দিতে ৪০ থেকে ৪২ দিন সময় লাগে।
এ ক্ষেত্রে রোজার মাসেই তফসিল ঘোষণা হবে। সেটা পরবর্তী কমিশন সভায় নির্ধারণ করা হবে।
৯ মার্চ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের (রংপুর ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচন) প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ২৩৩ নির্বাচন হলেও বড় নির্বাচন মাত্র কয়েকটা। সেগুলোতে আচরণবিধি যথাযথ পালনের জন্য অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইসির কমিশন সভার সদ্ধিান্ত অনুযায়ী চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছিলেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। ইসি সচিব জানিয়েছিলেন, প্রথম ধাপ ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপ ১১ মে, তৃতীয় ধাপ ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ মে।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব আরো জানিয়েছিলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে রমজানের মাঝামাঝি সময়ে।
প্রথম ধাপের তফসিলের পর পর্যায়ক্রমে প্রতি সপ্তাহে একেকটি ধাপের তফসিল হবে।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা এবং মার্চে রমজান মাস বিবেচনায় ঈদের পরে উপজেলা পরিষদ ভোট আয়োজন করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে রোজার শেষ দিকে।
ইতিমধ্যে উপজেলাগুলোর নির্বাচনের ভোটের তারিখ জানিয়েছে ইসি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৩৪৪ উপজেলার নির্বাচনের ভোটের তারিখ প্রকাশ করেছিল ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা।
পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৩৭টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তারিখ। দেশে উপজেলা পরিষদ রয়েছে ৪৯৫টি।
চলারপথে রিপোর্ট :
অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার খবরে আখাউড়ায় আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
২৩ অক্টোবর বুধবার রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজারে বিএনপির অফিসের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ কওে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় উপজেলা ছাত্রদলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ সময় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জিয়াউল হাসান খান (সানী), আখাউড়া উপজেলার ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন জীবন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক পলাশ ও আবির হোসেন টিপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সই করেন জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২-এর সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মিছিল করার প্রতিবাদে আজ ৪ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে সড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ অবরোধের সৃষ্টি করা হয়। এ সময় তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে পুলিশের অনুরোধ সড়ক থেকে সরে দাঁড়ায় শিক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেলা তিনটার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হন। পরে তারা কাউতলী এলাকায় গিয়ে সড়ক অবরোধ সৃষ্টি করেন। এসময় মহাসড়কের উভয়পাশে ২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় অভিযোগ করা হয়, ছাত্রলীগ মিছিল করা মানে গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃংখলা বাহিনী ব্যর্থ। তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো দৃশ্যমাণ কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। এ সময় সদর থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেন জানান, ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাও দায়ের হয়েছে। কারা কারা জড়িত তাদের সবাইকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এ সময় আন্দোলনকারিদের পক্ষে বোরহান উদ্দিন সিয়াম ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় আবার আন্দোলন করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়ায় মিছিলটি বের হয়ে পৈরতলা অভিমুখে যায়। পরে সেখানের সড়কের পাশে রাখা মোটর সাইকেলে কেক রেখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকি উদযাপন করা হয়।
রাতেই জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ফেসবুকে এ সংক্রান্ত ভিডিও ও ছবি পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, মিছিলকারীরা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষে শুভেচ্ছা শ্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা আবারো ফিরবে এবং সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ও সাবেক সাংসদ র.আ.ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীর মুক্তির পক্ষে শ্লোগান দেয়। পরে নেতকর্মীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপক রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি আত্মপ্রকাশ করেছে। নতুন এ দলের সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম। আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন পার্টির আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন।
বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বা মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠের শুরুতে রফিকুল আমীন বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের ৫৪ বছরেও দেশের মানুষ বঞ্চনা ও বৈষম্যের সাথে লড়াই করে চলেছে। তাই দেশের মানুষকে এক হয়ে স্বৈরাচার বিদায় করতে হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায় বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি।
তিনি বলেন, দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন, সরকারি-অফিস ও আদালতে ডিজিটালাইজেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালতে রাজনীতি নিরুৎসাহিত করাসহ বেশ কিছু সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে বলে জানান বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টির আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন।
দলটির সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, রাজনৈতিক সচেতনতা না থাকলে দেশে আবার স্বৈরাচার সরকার গঠন হবে। আমরা আওয়ামী স্বৈরাচার দলকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছি। সামনেও আমরা কাউকে স্বৈরাচার হতে দেব না।
অনুষ্ঠানে ২৯৭ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদল কোনো পরামর্শ দেয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি আজ ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুরের পর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাইবার আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি ওনাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে জনগেণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ হবে। এই সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন উপমহাদেশে নেই, এমনকি এদেশেও ৫০ বছর ছিল না, সেটি প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, তাদের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে তাতে কী পরিবর্তন রয়েছে সে বিষয়ে। আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি। নির্বাচন নিয়ে তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিসিয়ারি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিসিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। তারা মামলাজট সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছি তা বলেছি।
আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে। আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট রয়েছে সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এই ৩টি জিনিস খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা তারা চায়।
সংলাপের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপ হবে কিনা জানতে চাননি। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি-না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না- সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।